প্রতিদিন এর মতো আজকে ও আমার শরিলের কাপড় খোলা? আমি উলঙ্গ?

প্রতিদিন এর মতো আজকে ও আমার শরিলের কাপড় খোলা? আমি উলঙ্গ?


 _আজকে ও আমার পেন্ট এর সেইন খুলা এসব এর মানে কি? আমার সাথে এসব কি ঘটছে আমি কিছু ঐ বুঝতে পারছি না ।

_প্রথম প্রথম ভাবতাম হয়তো আমার স্ত্রী আমার সাথে দুষ্টুমি করছে কিন্তুু যখন প্রতিদিন ঐ এসব ঘটতে লাগল । তখন আমি বুঝলাম এটা আমার স্ত্রী করতে পারে না । এসব এর মানে কি কেন এসব হচ্ছে, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । আর আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে ও পারছি না যদি সে কষ্ট পায় । এই সব আর আমি সজ্য করতে ও পারছি না । এভাবে চলতে থাকলে । আমি পাগল হয়ে যাবো । এখন আমার ঘুমাতে ও অনেক ভয় লাগে । এমন ও রাত যায় না ঘুমিয়ে ঐ কাটিয়ে দেই ।


আমার নাম-আকাশ আমার স্ত্রীর নাম-ফারজানা আক্তার । আমি ছোট একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় দুমাস হবে । কিন্তুু বিয়ের আগে আমার সাথে কখনো এসব হতো না । বিয়ের পর যে দিন ঐ আমাদের সহবাস না হতো ঐ দিন আমার পেন্ট খোলা সেইন খোলা দেখতাম । কিন্তুু আমার একদম মনে আসে আমাদের মাঝে কিছু হয় নাই  । রাতে আমি পেন্ট শার্ট খোলিনি ।  সাকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল, কোন দিন আমার শরীরে কোন কাপড় থাকতো না । কোন দিন পোরো উলঙ্গ অবস্থায় উঠতাম । কোন দিন আমার পেন্ট এর বেল খোলা ছিল । আমার এমন মনে হতো আমার সাথে কিছু একটা হয়েছে । যেমন আমার স্ত্রীর সাথে মিলন বা সহবাস হলে যেমন হয় । ঠিক ঐ রকম মনে হচ্ছে । আর সারা শরিলে বেতা করছে । 

_আজকে পায় দুমাস হবে এসব আমার সাথে হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছি না কি করা যায় । এইসব এর জন্য অফিসের কাজে ও মন বসতেছে না । অফিস এর অনেকেই লক্ষ করলো আমার মন মরা অবস্থায় বসে থাকা । আগের মতো করো সাথে কথা না বলা । অফিস এর বস ও আমাকে অনেক জিজ্ঞেস করেছে যে আমার কি হয়ে সে । আমি কিছুঐ বলতে পারিনি ।

_কিন্তুু  এবার ভাবলাম স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবো । যদি সে ঐ আমার সাথে এসব করে থাকে । তা নাহলে আমার  দুশ্চিন্তা যে শেষ হচ্ছে না ।

আচ্ছা ফারজানা তোমার সাথে আমার খুব জরুরী কথা আছে । আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলতে চাই । তুমি আমাকে সব সত্যি কথা বলবা প্লিজ ।

ফারজানাঃ কি হয়েছে আপনার আমি কয়দিন ধরে দেখছি আপনি কেমন যানি করছেন । আপনার শরীল ঠিক আছেতো আমাকে সব খুলে বলেন । আপনার কি হয়েছে? আর আমি আপনাকে মিথ্যা কথা বলবো না কখনো । আমার বাবা মা আমাকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছে, এখন আপনি আমার সব কিছু আপনার সাথে কখনো আমি মিথ্যো কথা বলতে পারবো না, বলেন কি বলতে চাইছেন ।


আকাশঃ তার স্ত্রীর সাথে সব কিছু বললো । স্ত্রী আকাশ এর কথা শুনে চমকে উঠলো । আকাশ বুঝতে পারলো তার স্ত্রী এই সব করেনি । তাহলে কে হতে পারে ।

ফারজানাঃ আমি ও আপনাকে কিছু কথা বলিনি যদি আপনি রাগ করেন । আপনি ঘুমের মধ্যে হটাৎ আমার উপরে উঠে যান । এবং আমার সাথে খুব জোরা জোরি করে এসব করেন । কোন মেয়ে ঘুমের মধ্যে হটাৎ করে উপরে উঠে এসব করলে সহ্য করতে পারে না । আর তাছাড়া তখন আমি ঘুমিয়ে যাই, ঐ সময় এসব ভালো লাগে না । আমি আপনাকে আমার উপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও সরাতে পারি না । আমিতো ভেবে ছিলাম তখন আমার স্বামীর পুরো অধিকার আছে আমার উপর । এতে আমি বাধা দিব কি ভাবে । কিন্তুু আমি কখনো ভাবিনি এটা আপনি ঘুমের মধ্যে করেন ।



আকাশঃ তার স্ত্রীর কথা শুনে সেও চমকে উঠলো । এবার সে বললো তুমি আমাকে এসব কথা আগে বললে না কেন । আমাদের দুজনের সাথে এসব হচ্ছে । আর আমি কখন ঘুমের মধ্যে হটাৎ করে তোমার উপর উঠে যেতাম । কই আমারতো কোন কিছু মনে পরছে না । আর আমি কেন ঐ বা তোমার সাথে জোর করে এসব করবো । তুমি আমার স্ত্রী আমার জোর করার দরকার নেই । আর তুমিতো আমাকে মিথ্যা বলবে না । আমার মাথায় কিছু ডুকছে না তোমার কথা শুনে আমার আরো বেশি চিন্তা হতে লাগলো । 


ফারজানাঃ শুনুন এভাবে চিন্তায় ভেঙ্গে পরলে চলবে না । হয়তো আপনি ঘুমের মধ্যে এসব করছেন আপনার মনে নেই । আর কি হতে পারে, ঘুমের মধ্যে এসব হলেতো কারো মনে থাকার কথা নয় । হয়তো আপনার ও মনে নেই, এসব চিন্তা করতে থাকলে আপনি আমি দুজনেই পাগল হয়ে যাবো । তাই দয়াকরে এসব চিন্তা বাদ দিন, দেখবেন এসব আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে ।

আকাশঃ হয়তো তুমি ঠিকই বলেছো, কিন্তুু আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না । আমার শরীরের কাপড় খোলা থাকবে আর এটা আমি বুঝতে পারবো না । এটা কি ভাবে সম্ভব, আর এতো দিন ধরে এসব হচ্ছে । কোন দিনতো আমার মনে হয় নাই যে আমি আমার সমস্ত শরীর এর কাপড় আমি খোলেছি । আর কাপড় খোলার সময় আমার মনে পরবে না কেন । আর তোমার কথা ঐ আমি মেনে নিলাম যে আমি এইসব ঘুরের মধ্যে করেছি । কিন্তুু তুমি বলেছো, আমি হটাৎ করে ঘুমের মধ্যে তোমার উপরে উঠে যাই । আজকে রাতে যখন আমি ঘুমাবো, আর আজকে যদি আবার ঘুমের মধ্যে আমি তোমার উপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করি ।তখন তুমি আমাকে যাগিয়ে দিবে, আর আমি কি করি সব দেখবে । আজকে রাতে একটু কষ্ট করো । হয়তো আমি ঘুমের মধ্যে এসব করছি, এটা বুঝতে পারবো ।



ফারজানাঃ আপনি যতো দিন ঘুমের মধ্যে আমাকে ধরেছেন । আমি কখনো আপনাকে জোর করে সরাতে পারিনি । আমি যানি না ঘুমের মধ্যে মানুষ এর শরীরে এতো সক্তি কথায় থেকে আসে । সত্যি তখন আপনার পুরো শরীরটা অনেক ভয়ংকর লাগে । আমার সমস্ত শরীর এর জোর দিয়ে ও আপনার সাথে পারি না । আমার তখন মনে হয় আপনার সাথে কিছু একটা আছে, যে আপনাকে এতো সক্তিশালী করে তুলে । আর আমি তখন খুব অসহায় হয়ে পড়ি । আমি কি পারবো তখন আপনাকে যাগাতে ।



আকাশঃ তার স্ত্রীর কথা শুনে খুব ভয় পেয়ে যায় । সত্যি আমি ঘুমের মধ্যে এতটা ভয়ংকর হয়ে যাই । আমি আমার স্ত্রীকে এভাবে নির্যাতন করি । আর আমার স্ত্রী সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে । এখনতো নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা হচ্ছে । আমি কখনো ভাবতে পারিনি আমার সাথে যে এসব হবে । আর আমার ফুলের মতো স্ত্রীকে আমি কষ্ট দিয়েছি ।

ফারজানাঃ তার স্বামীর চিন্তা পরে যায়া দেখে, বললো আপনি আবার ও চিন্তা করছেন আমি আজকে যতো কষ্টই হোক আমি আপনাকে রাগিয়ে তোলবো । তার পরে ও আপনি কোন খারাপ চিন্তা করে নিজেকে কষ্ট দিয়েন না । আমি আমার সমস্ত সক্তি দিয়ে হলে ও আপনাকে যাগিয়ে তোলবো । ইনশাআল্লাহ



আকাশঃ তার স্ত্রীর কথা শুনে খুব খুশি হয় । আর স্ত্রী ফারজানার কপালে একটা চুমু দেয়, আর বলে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দি..ও । আমি তোমাকে আমার অজান্তে অনেক কষ্ট দিয়েছি । যা কোন স্ত্রী সহ্য করবে না । তার পরে ও তুমি আমাকে একা ফেলে চলে যাওনি, তোমার মতো স্ত্রী পাওয়া সত্যিই খুব ভাগ্যের ।


ফারজানাঃ তার স্বামীর ভালোবাসা পেয়ে বললো । আমি আমার সমস্ত সক্তি দিয়ে হলে ও আপনার সাথে কি হয় রাতে, তা আমি আজকে রাতে দেখবোঐ । আমি যখন আপনাকে জাগানোর চেষ্টা করবো আপনি জেগে যাবেন । হয়তো আমি এভাবে আপনাকে কয়দিন জাগাতে পারলে আপনার আর এসব হবে না । আর আমরা বুঝতে ও পারবো আপনার সাথে বড় কোন কিছু হয় না । আর এভাবেই আপনার ঘুমের মধ্যে এই সব অভ্যাস শেষ হয়ে যাবে । আর আমাদের এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবো ।


আকাশঃ তার স্ত্রীর কথা শুনে ভয় পাচ্ছে, যদি আবার তার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হয় । তাহলে সে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবে না । আমি যানি না আমার ঘুমের মধ্যে এতটা সক্তি কথা থেকে আসে । আমার খুব ভয় হচ্ছে, আমার করণে আবার আমার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হবে নাতো । আমার নিজের জন্য এখন কোন চিন্তা হচ্ছে না শুধু আমার স্ত্রী ফারজানার জন্য চিন্তা হচ্ছে । ও যে ভাবে বলছে, আমি নাকি ঘুমের মধ্যে যখন উঠি তখন খুব ভয়ংকর হয়ে যাই । আমি আবার আমার স্ত্রীর কোন ক্ষতি করে বসবো না তো ।


ফারজানাঃ তার স্বামীর চুপ থাকায় বললো । আপনি কি সব দুশ্চিন্তা করছেন, এসব চিন্তা করলেতো আমরা এখন ঐ ভেংগে পরবো । তখন আমাদের কে সামলাবে । কোন চিন্তা করবেন না সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । আল্লাহ পাক আমাদের সাথে আছে । আজকে রাতে আপনি আমি এশার নামাজ আদায় করে, দোয়া কালাম পড়ে তার পরে ঘুমাবো । দেখবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । আর আপনি এসব চিন্তায় পড়ে থাকলে, কখনো এই সমস্যা থেকে বের হতে পারবো না ।

আকাশঃ তার স্ত্রীর কথায় অনেক ভরসা পেলো । আমি আর দুশ্চিন্তা করবো না । তোমার মতো স্ত্রী থাকতে আমি দুশ্চিন্তা করতে পারি । এভাবে সারাদিন কেটে গেল, আর আকাশ আজকে অফিসে ও যায়নি । এখন তারা দুজন রাতে এশার নামাজ আদায় করে, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । তাঁরা দুজন যানে না আজকে রাতে তাদের সাথে কি ঘটতে চলেছে । রাত প্রায় আড়াইটা বাজে তারা দুজন একে অপরেরকে ঝরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে । এমন সময় আকাশ ঘুম থেকে উঠে গেলো । এবং কিছুক্ষণ সময় বিছানায় বসে থেকে তার স্ত্রীর উপর উঠে গেলো । আর আকাশ তার গায়ের সমস্ত কাপড় খুলতে শুরু করলো । এমন সময় ফারজানার ঘুম ভেঙ্গে গেল । ফারজানা খুব জোরে জোরে চিৎকার করছে ।


ফারজানাঃ চিৎকার করে তার স্বামীর ঘুম ভেঙ্গার চেষ্টা করে । আপনি এসব কি করছেন, আমার কথা আপনি বুঝতে পারছেন । আপনি ঘুমের মধ্যে এসব করছেন । এই আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারছেন, আপনি ঘুমের মধ্যে এসব করছেন । 
ফারজানা তার স্বামীকে অনেক চেষ্টা করছে যাগানোর জন্য । কিন্তুু আকাশ এর ঘুম ভেঙ্গছে ঐ না । এবার ফারজানা অনেকটা রেগে যায় আর বলে । আপনি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন না আপনি কি এখন জেগে আছেন নাকি আমি আপনার শরীরের পানি ঠেলে দিব । তখন ফারজানাঃ বিছানা থেকে উঠে পানি আনতে যাওয়ার জন্য উঠতে যাবে । ঠিক তখনই আকাশ ফারজানাকে ধরে ফেললো । আর তার শরীরের কাপড় খোলার চেষ্টা করতে লাগলো । অনেক জোরা জোরি করতে লাগলো, আর ফারজানা চিৎকার করে বলতে লাগলো আপনার কি হয়েছে । আপনি ঘুম থেকে জাগ তেছেন না কেন । ফারজানা আকাশ এর সাথে পেরে উঠছে না, অনেক চেষ্টা করতেছে আকাশ এর থেকে ছুটতে, কিন্তুু পারছে এমন মনে হচ্ছে, আকাশ নয় এটা । এটা কোন একটা সয়তান বা জ্বীন কিছু তার সাথে মিশে আছে । ফারজানা এবার অনেক কষ্ট করে আকাশকে অনেক জোরে ধাক্কা দিয়ে খাট থেকে মাটিতে ফেলে দেয় । আর দৌড়ে গিয়ে রুমের লাইট ধরিয়ে দেয় । লাইট ধরিয়ে দেখে আকাশ এর মাথা দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে অনেক খানি ফেটে যায়, আর তা থেকে রক্ত বের হচ্ছে । আর যখন ফারজানা আকাশ এর চোখের দিকে তাকায় । তখন দেখতে পায় তার চোখে মধ্যে মণি ছিল না । আকাশ এর চোখে মধ্যে মণি নেই, চোখ শুধু হলুদ আর হলুদ, চোখের মধ্যে কোন মণি নেই । মাঝে মধ্যে চোখ দিয়ে হলুদ পানি বের হচ্ছে ।





আর অবশ্যই কপি থেকে দূরে থাকুন । আমাদের অনেক সময় বেয় হয় এই গল্প গুলো লেখতে.... কপি করলে অবশ্যই আমাদের সাইট এর নামে সব ক্রেডিট দিয়ে পোস্ট করুন, আল্লাহ হাফেজ ।