স্ত্রী যখন তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিক এর কাছে চলে যায় | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প

 স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প

স্ত্রী: আমার পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে দেও।

স্বামী: কি বল কালকে ও না পঞ্চাশ হাজার টাকা নিলে আজকে আবার পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে? এতো টাকা দিয়ে তুমি কি করো বলো।

স্ত্রী: আমার টাকা লাগবে দিতে পারবে কিনা বল! আমি টাকা দিয়ে কি করি সেটা তোমাকে কেন বলবো। আমাকে বিয়ে করার আগে অনেক বড় বড় কথা বলছো। আমি যা চাইবো দিবে এখন কেন পারবে না? টাকা না দিতে পারলে আমাকে কেন বিয়ে করছো।

স্বামী: ভাবলো হয়তো কোন সমস্যার জন্য এতো গুলো টাকা নিচ্ছে, তাই টাকা দিয়ে দিল, এবং  অফিসে চলে গেলো।

স্ত্রী: আবার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বামীর কাছে গেলো এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা চাইলো।

স্বামী: এবার ও দিয়ে দিলো। আজকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই, ভাবলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে  অনেক দিন চলতে থাকলো।

স্ত্রী: আমার আজকে এক লক্ষ টাকা লাগবে।

স্বামী: এবার রেগে গিয়ে বলল: এসব তুমি কি শুরু করছো? টাকা টাকা এতো টাকা দিয়ে তুমি কি করো। আজকে আমাকে বলতেই হবে এতো টাকা দিয়ে তুমি কি করো। 

স্ত্রী: আমি তোমাকে শুধু বিয়ে করেছি টাকার জন্য। আর তুমি যেদিন আমাকে টাকা না দিতে পারবে, ঐ দিন আমি চলে যাব তোমাকে ছেড়ে। বলো আমাকে চাও কি না?

স্বামী: এসব তুমি কি বলছো‌ আমরা না ভালোবাসে বিয়ে করেছি, তাহলে এসব কথার মানে কি?

স্ত্রী: আমি তোমাকে কোন দিন ভালোবাসিনি। আমি ভেবে ছিলাম তোমাকে বিয়ে করলে আমি অনেক টাকা পাব। আর টাকা ঐ যদি না পাই তাহলে তোমার সাথে কেন থাকবো।

স্বামী: তুমি এসব কথা রাগকরে বলছো তাই না। তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। আমার এই টাকা পয়সা সবতো আমাদের দুজনেরই। তুমি এভাবে টাকা পয়সা খরচ করো কেন আমাকে বলো। কি বড় কোন সমস্যা আমাকে বল।

স্ত্রী: এবার আরো রাগ হয়ে বললো: আমি তোমাকে কোন দিন ভালোবাসিনি আর ভালোবাসবোও না। আমার টাকার দরকার ছিলো তাই আমি তোমাকে বিয়ে করে ছিলাম। এখন আমি তোমাকে ডিবস দিতে চাই। আর হ্যাঁ আমি অন্য আরেক জনকে ভালোবাসি। তাকে পাওয়ার জন্য তোমাকে বিয়ে করছি।

স্বামী: তাঁর মানে এসব কি বলছো? এসব আমি বিশ্বাস করি না। তুমি এসব করতে পার না আমার সাথে। আমি তোমাকে আমার জীবনের থেকে ও বেশি ভালোবাসি, বল এসব মিথ্যা কথা।

স্ত্রী: না সব সত্যি কথা, আমি তোমাকে বিয়ে করেছি টাকার জন্য, এখন আমি টাকা পেয়ে গেছি। কালকে রাতে আমি সব যানতে পেরেছি, তুমি তোমার সব টাকা পয়সা আমার নামে করছো। এখন সব কিছু আমার হাতে। কালকে রাতে আমি তোমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সব কিছু নিয়ে গেছি।

স্বামী: তুমি আমার সবকিছু নিয়ে নাও তারপর ও আমাকে ছেড়ে চলে যেওনা। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ছোট বেলায় বাবা মাকে হারিয়েছি তোমায় হারাতে চাই না।

স্ত্রী: কি আমি তর সাথে থাকবো, তুই আমাকে ভুলে যা আমি অন্য কাউকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। তাকে পাওয়ার জন্য আমি সব করতে পারি, তুই আমাকে ভুলে যা তাতে তার ভাল হবে।

স্বামী: এবার কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো আমার কি অপরাধ ছিল যে, তুমি আমার সাথে এমন খেলা খেললে। আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি। কালকে রাতে ঘুম এর ওষুধ না খায়িয়ে আমায় মেরে ফেললে না কেন।

স্ত্রী: তকে মেরে আমি ফাঁসি তাই না। আমি চাইলে তোর বাড়ি ও লিখে নিতে পারতাম কিন্তু যেই সব টাকা পয়সা নিয়েছি, তা দিয়ে এটার মতো দশটি বাড়ি কিনতে পারবো। তাই যাওয়ার আগে বলে যাই আমাকে ভুলে যাও তোমার ভাল হবে।

স্বামী: আমাকে একা রেখে যেওনা আমি মরে যাব। আমি সত্যি তোমাকে এতো ভালোবাসি তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার সব কিছু নিয়ে ও আমাকে ছেড়ে যেওনা।

স্ত্রী: এবার অনেক রেগে গিয়ে বললো: আমার কথা কি তর কানে যায় নাই। এক কথা‌ বার বার বলছিস আমাকে ছেড়ে যেওনা, আমাকে ছেড়ে যেওনা।

স্বামী: এবার বুক ভরা কষ্ট নিয়ে বললো: চলে যাবে যাও, কিন্তু আজকে আমার সাথে তুমি যা করলে, আমি কোন দিন ও তোমাকে ক্ষমা করবো না। কিন্তু তুমি আজকে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো, এমন এক দিন আসবে তুমি আমার জন্য কাঁদবে, আমাকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসবো না। আমি এখন বুঝতে পারছি দুনিয়াতে কেউ আমাকে ভালবাসে না, সবাই টাকার জন্য ভালোবাসার অভিনয় করে। এখন থেকে আমি কঠিন হয়ে যাব।

স্ত্রী: কি আমি তোমার জন্য কাঁদবো জীবনেও না। হ্যা তুমি বুঝতে পেরেছ মানুষ শুধু মাত্র তোমায় টাকার জন্য ভালোবাসবে। যেমন আমি তোমাকে টাকার জন্য ভালোবাসর অভিনয় করেছি। আর আজকে আমি অনেক খুশি আমি আমার ভালোবাসার মানুষ এর কাছে যাচ্ছি। 

স্বামী: মনে মনে বলছে: হ্যাঁ যাও সময় সব সময় এক থাকে না। সময় এক দিন বলে দিবে তুমি কি হারিছ। আজ তুমি অন্য আরেক জন এর জন্য  তোমার স্বামী কে কষ্ট দিয়ে চলে যাচ্ছো। যার কাছে যাচ্ছ সে যদি অন্য কারো জন্য তোমাকে কষ্ট দেয় তখন বুঝতে পারবে। হয়তো কোন দিন আমার ভালোবাসার কথা মনে পড়ে যাবে, আমার কাছে আসতে চাইবে। তখন আমার কাছে আসতে পারবে না। হয়তো তখন আমি তোমাকে ভুলে যাবো।

স্ত্রী: সব কিছু গুছিয়ে চলে যাচ্ছে আর যাওয়ার আগে একটা গিফট দিয়ে গেছে স্বামীর জন্য।

তালাক এর গিফট স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ এর গিফট। কারো সুখের গিফট কারো জন্য কষ্টের গিফট। কারো সুখের সংসার ভাংগার গিফট আবার কারো সুখের সংসার শুরু হওয়ার গিফট।

স্বামী: আর বুঝতে দেরি হয় নাই এটা কীসের গিফট দিলো তার স্ত্রী। তার পরে ও মনে অন্য কিছু একটা আশা করে গিফটা খুললো। বাক্সে এক খামে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ডিবস এর কাগজটা ছিল। স্ত্রীর সাইন আগে ঐ করা ছিল, সারাটা জীবন মানুষ আমাকে ঠকিয়েছে। এখন আর নয় এসব আর সজ্য হয় না আমার। এখন থেকে আমি আর নরম থাকবো না। মানুষ আমাকে যাতে না আর ঠকাতে পারে। ছোট বেলায় থেকে যারা আমার সাথে বন্ধুত্ব করে ছিলো, সবাই টাকার জন্য করেছে। তাঁরা আমার কাছ থেকে চেয়ে নেয় নাই, আমাকে ঠকিয়ে নিয়েছে। শুনেছি মদ খেলে কষ্ট ভুলা যায়, আমি কোন দিন মদ খাইনি আজকে খাবো আর কোন দিন না। শুধু কষ্ট ভুলে যাওয়ার জন্য।

স্ত্রী: এখন খুব খুশি হয়ে তার প্রেমিক এর কাছে যাচ্ছে, সে যেই ছেলেটির জন্য তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসলো। সেই ছেলে কি পারবে তাকে ভাল রাখতে?

প্রেমিক:  আরে তুমি চলে আসলে আমাকে কিছু না জানিয়ে, একটা কল দিতে পারতে। তোমার স্বামীকে কি ডিবস দিয়ে আসছো? নাকি না কোনটা? এখন তুমি শুধু আমার প্রেমিকা কারো স্ত্রী না। কি ঠিক না।

প্রেমিকা : হ্যাঁ আমি তোমার সব, তার জন্য ঐ আমি তোমার কাছে এসেছি। আমি আর কিছু চাই না শুধু তোমায় চাই। এবার আমাকে বিয়ে করো, আমরা সুখের সংসার শুরু করি।

প্রেমিক: আরে বিয়ে করলে প্রেমের মজা থাকে না। বিয়ে করবো একটু আগে প্রেম প্রিতি করে নেই।

প্রেমিকা: কি বলছো এসব তুমি আমাকে বিয়ে করবা না? সারাজীবন প্রেমই করে যাবে। আমাকে তারা তারি বিয়ে করো আমি তোমার স্ত্রী হতে চাই।

প্রেমিক: তুমি কি শুধু বিয়ে বিয়ে ঐ করবা নাকি একটু ভালোবাস দিয়ে মনটা শান্তি করবা। বিয়েতো করবো ঐ তানা হলে তুমাকে ভালোবেসে ছিলাম।

প্রেমিকা: সত্যি বলছো জান‌। তোমার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। তুমি আমাকে কখনো কষ্ট দিবে না বলো।

প্রেমিক: না জানু আমি তোমাকে কোন দিন কষ্ট দিব না। তোমাকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসি। তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি এতো দিন কষ্ট করছি। তুমি শুধু আমার আর আমি তোমার।

প্রেমিকা: তোমার এই কথা শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি। তুমি এই বাড়িতে একা থাকো, আর এই বাড়ি কার।

প্রেমিক: হ্যাঁ আমাদের দুজনের জন্য এই বাড়িটি কিনছি, কেমন হলো জান। আমাদের সন্তানেরা এই বাড়িতে খেলাধুলা করবে, কতটা সুন্দর লাগবে তখন, একটা বার চিন্তা করো।

প্রেমিকা: সত্যি জান চিন্তা করলে আমার খুবই ভালো লাগে। আমাদের বিয়ে হবে আমাদের সন্তান হবে, খুব সুন্দর একটি সংসার হবে আমাদের। তোমাকে বাবা বলে ডাকবে: আমাকে মা বলে ডাকবে: কতটা মজা হবে তখন বলো।

প্রেমিক: চলো এবার আমরা কাজে লেগে পরি। সময় নষ্ট করলে চলবে না।

প্রেমিকা: কি কাজ জান?

প্রেমিক: যা করলে তুমি আমি বাবা-মা হতে পারবো।

প্রেমিকা: কি বলো বিয়ের আগে এসব কি ঠিক হবে জান। মানুষ যানতে পারলে কি বলবে ভেবেছ। আর আমি যে একটা মেয়ে হয়ে তোমার সাথে একা ঘরে, লোক জন দেখলে কি বলবে। তাই চলো আমরা আগে বিয়ে করি, পরে না হয় সব হবে।

প্রেমিক: তার মানে তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না, তাই না। ওকে তুমি চলে যাও তোমার বাড়ি। আমি তোমার জন্য এতো দিন অপেক্ষা করছি। তোমায় এতো ভালোবাসি তোমার জন্য বাড়ি কিনছি, তার পরে ও আমাকে বিশ্বাস করতে পারছ না। চলে যাউ আমার সাথে থাকতে হবে না। 

প্রেমিকা: না জান তোমাকে বিশ্বাস করবো না কাকে করবো বল। আমার সব কিছু ঐ তোমার। তুমি আমাকে যা খুশি করো আমি তোমাকে বাধা দিবো না।

প্রেমিক: সত্যি জানু আমাকে তুমি এতো ভালোবাসো। চলো এবার আমাদের একজন আরেক জনের তিস্তা মিটাই। 

এভাবে প্রায় দুই মাস ধরে বিয়ে ছাড়া চলতে থাকলো, দুই মাস পর আবার।

প্রেমিকা: আচ্ছা আর কতদিন বিয়ে ছাড়া থাকবো বল। আমার আর এসব ভালো লাগছে না। চলো আমরা বিয়ে করি তারা তারি। এখন যদি আমাদের বিয়ে না হয় আমি রাস্তায় মুখ দেখাতে পারব না।

প্রেমিক: কালকে ঐ আমরা বিয়ে করে নিব। আমি যাচ্ছি সব ঠিক করতে তুমি চিন্তা করো না। আমি আমার কিছু বন্ধু আর কাজি নিয়ে আসবো। তুমি এই সুযোগে আমাদের বাড়িটা সাজিয়ে নাও।

প্রেমিকা: সত্যি বলছো আমার যে কি ভালো লাগছে। তাহলে তারা তারি যাও আর দেরি করো না। আমি তোমার সব কিছু গুছিয়ে দিচ্ছি।

প্রেমিক: আমি যাচ্ছি তুমি ভালো থেকো কেমন। আমি গিয়ে তোমাকে কল দিব। যাই তাহলে তুমি রেডি থাইকো কেমন।

প্রেমিকা: ওকে যাও তারা তারি আইসো আমি এক থাকতে পারবো না। আমার জন্য একটা লাল শাড়ি নিয়ে আইসো। আমি লাল শাড়ি খুবই পছন্দ করি।

প্রেমিক: আমি তোমার জন্য সব কিছু নিয়ে আসবো তুমি চিন্তা করো না। আর বিয়ে করতে মেয়েদের যা যা লাগে সব কিছু নিয়ে আসবো। আমি এখন যাই তা নাহলে দেরি হয়ে যাবে পরে, ফিরতে অনেক কষ্ট হবে। তুমি ঘরে সাবধানে থাইকো কেমন। যাচ্ছি আমি কেমন, ঘরের দরজা বন্ধ রেখো।

প্রেমিকা: অকে যাও গিয়ে আমাকে কল দিতে ভুলো না..…..

দুই তিন ঘন্টা পর একটা লোক আসে দরজায় এসে কলিং বেল বাজাচ্ছে, আমি প্রথম খুলতে চাইনি পরে চিন্তা করলাম দিনের বেলায় আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। সাহস রেখে খুললাম, দরজা খুলতেই লোক বলতে লাগলো। আপনারা এখন ও বাড়ি ছেড়ে যান নাই কেন। মানে আমরা বাড়ি ছেড়ে যাবো মানে? এই বাড়িতো আমরা কিনেছি, কে বলেছে আপনি কিনেছেন। আর এই বাড়িটি শুধু মাত্র আমরা বাসাভাড়া জন্য দিয়ে থাকি। এরকম আরো অনেক বাড়ি বাসাভাড়া জন্য করা হয়েছে। এই বাড়িটিতে থাকার সময় শেষ হয়ে গেছে, আজকে কিন্তু বাড়ি খালি হওয়ার কথা। এটা আমাদের অফিস থেকে নুটিশ। কালকের মধ্যে বাড়ি খালি চাই। নুটিশ টি পরে নিবেন আশা করি। কালকের মধ্যে বাড়ি খালি না হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। লোকটা চলে গেল, এখন ঐ কল দিতে হবে আমার ওকে, আমি ওর মুখে শুনতে চাই সত্যি টা। 

মেয়েটি তার প্রেমিককে কল দিল। অনেক বার কল দেওয়ার পর ধরল কলটা। 

প্রমিকা: হ্যালো তুমি কোথায় আমাদের এই বাড়িতে একজন লোক আসছিলো। সে বলে এই বাড়ি নাকি তুমি কিনো নাই। তুমি তারা তারি বাড়িতে আসো।


প্রেমিক: এবার মুখ খুললেন, এই মেয়ে শুন তর এই বিয়ে করো বিয়ে করো। শুনতে শুনতে আমার মাথাটা পুরো পাগল হয়ে গেছিলো। আমি শুধু তদের মতো মেয়ে কে আমার প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, মজা এবং ফুর্তি করি এর বেশি কিছু না। তর মতো কতো মেয়ে আমার সাথে রাত কাটিয়েছে তার হিসাব নেই। তবে তকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে এতো ভালবাসে বিশ্বাস করে, আমার নামে সব টাকা পয়সা রাখার জন্য। এখন তর সব কিছু আমার কাছে সুনা-গয়না যা তর স্বামী দিয়ে ছিল তকে। পায় বিশ পঁচিশ কোটি টাকা তো হবেই আমি চিন্তা করতে পারি না। এতো টাকা কেউ কারো বউকে দেয় নাকি। আবার চলে যা তার কাছে টাকা পাবি। আমি আর আসবো না আমার মজা করা শেষ আমি চলে গেলাম।

প্রেমিকা: তুমি এসব করতে পারনা তুমি আমাকে কথা দিয়ে ছিলে। আমি তোমাকে ভালোবাসি।

প্রেমিক: এরকম কতো কথা আমি দিয়েছি। এরকম কথা না বললে তর মতো মেয়েরা আসবে আমার কাছে। আর তর ভালোবাসা তর কাছে রাখ কিছু টাকা রাখছি তর বেগে এখান থেকে চলে যা। তর ভালো হবে, না হলে পুলিশ তকে দেহ ব্যবসাই বলে ধরে নিয়ে যাবে। আমি বলি তর আগের স্বামীর কাছে ঐ যা, ও না তকে অনেক ভালোবাসে বলে। আর আমি কোন দিন তকে ভালবাসিনি, তর দেহ আমার কাছে ভালো লাগছে তাই তকে চেয়েছি। তর থেকে হাজার গুণ সুন্দরীদের সাথে আমি এসব করি। আমাকে ভুলে যা, আর আমাকে খুঁজলে ও পাবি না। তাঁর থেকে ভালো আমাকে ভুলে যা তোর ভালো হবে।

প্রেমিকা: আমি সব বুঝতে পেরেছি তোর মতো শয়তান, এর জন্য আমি এতো কিছু করে ছিলাম। আমার ফেরেশতার মতো স্বামীকে ছেড়ে তর কাছে এসেছি। আমার আগে ঐ বুঝার দরকার ছিলো। আমি তকে কোন দিন ক্ষমা করবো না, আমার স্বামী আমাকে পাগল এর মতো ভালোবাসতেন, আমি তাকে ছেড়ে চলে আসছি তোর কাছে। আমার বান্ধুবি বলে ছিল তুই নাকি খুব ভালো ছেলে, ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছে আমি ওকে ও ক্ষমা করবো না।

 প্রেমিক: ওকেতো আমি টাকা দিয়ে ছিলাম। সে ভাবে তুমি তোমার স্বামীকে পটিয়ে ছিলে, তোমার বান্ধবীকে দিয়ে ও আমাকে সব কিছু বলছে। তার কাছে যাওয়ার আগে নিজের দুষ্টা দেখো। আমরা তিন জন ঐ ধোঁকা দিয়েছি, তুমি তোমার স্বামীকে আমি তোমাকে আর তোমার বান্ধবী ও তোমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আমরা তিন জন ঐ ধোঁকা দিয়েছি একে অপরকে তাই আমরা সবাই সমান। আর কোন দিন আমাকে কল দিতে পারবে না। এই সিম কার্ড এখন আমি ভেংগে ফেলে দিবো, তোমার সাথে এই কথা গুলো বলার জন্য আমি এই সিমটি এখনো ভাংগিনি বায় বায়। আমি এখন একজন নতুন আরেক জন পেয়ে গেছি এখন তাকে পটানোর জন্য যাচ্ছি।

প্রেমিকা: এখন বুঝতে পেরেছে সে কি হারিয়েছে। তার কাছে এখন স্বামীর ভালবাসা বুঝে এসেছে। আমি আমার স্বামীর ভালবাসা বুঝতে পারছি। বাসর রাতে আমি যখন তাকে বললাম: আমি এখন তোমার সাথে কিছু করতে পারবো না। আমার স্বামী বিয়ের পর থেকে কোন সময় জোর করে নাই আমাকে, তার সাথে বাদ্দকরে নাই মিলন করতে। শুধু বলছে তুমি নিজে থেকে যখন  রাজি হবে, তখন আমি তোমার সাথে মিলন করবো তোমাকে জোর করে নয়। আমি সব কিছু মন থেকে চাই জোর করে না, আমি আমার স্বামীর কাছে চলে যাবো হয়তো তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

স্বামী: যাওয়ার সময় একটা কথা বলে ছিল না সময় সব সময় এক থাকে না। এখন স্বামীর সময় আস্তে চলেছে।

স্ত্রী: আবার রেডি হচ্ছেন এবার ও তার মনে অনেক খুশি। এখন তার স্বামীর ভালোবাসা বুঝে এসেছে। এখন সে বুঝতে পেরেছে সে কি হারিয়ে ছিলো। আর এখন এই পৃথিবীতে তার স্বামী ঐ তার কাছে ভালো মানুষ। সে বুঝতে পেরেছে স্বামী ছাড়া এই পৃথিবীতে তার আপন কেউ নেই। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস টা হারাতে ভসে ছিলাম। আমি যানি আমার স্বামী আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। সে আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসে।

কিন্তুু সে জানতো না যখন সে চলে আসলো, স্বামীকে ফেলে কি ঘটে ছিল সেখানে। কি হয়ে ছিল তার স্বামীর?

দ্বিতীয় পর্ব