রহস্যময় গল্প | ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প ২০২৩

রহস্যময় গল্প

রহস্যময় গল্প

ভূতের গল্প বাংলা

আজ থেকে প্রায় চার পাঁচ বছর আগে, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ি থেকে আসার সময়। বিশাল বড় একটি বাড়ি আমার চোখে পড়ে। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম: এই বাড়িটিতে মনে হয় কেউ থাকে না। আমার স্ত্রী বললো: এই বাড়িতে কেউ থাকতে পারে না। 
বিখ্যাত ভূতের গল্প
এই বাড়িতে অনেক সমস্যা আছে। তাই কেউ এই বাড়িতে থাকতে পারে না। এখন পর্যন্ত যারা এই বাড়িতে থাকতে এসেছে, একদিন এর বেশি এই বাড়িতে থাকতে পারে নাই। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম কেন কি হয়েছে? বাড়িটি দেখতে তো খুব ভালো ঐ, সমস্যা কোথায়? আমার স্ত্রী বললো বাড়িটি বাহির থেকে দেখতে খুব সুন্দর ও ভালো। কিন্তুু সমস্যা বাড়িটির ভিতরে। আমি বললাম কি সমস্যা বাড়ির ভিতর, আমার স্ত্রী বললো এই বাড়িতে যারা এসেছিলো সবাই একরাত এর বেশি থাকে নাই। দিনের বেলায় কোন সমস্যা হয় না, কিন্তুু রাত হলে কেউ ঘুমাতে পারে না। রাতে ঘুমানোর সময় দেখা যায় কোন বাচ্চা মেয়ে জুরে জুরে চিৎকার করছে। এই আওয়াজ পুরো বাড়িটা কাঁপিয়ে তুলে। 
ভয়ংকর ভূতের গল্প
আবার হঠাৎ করে বেসিনের কল শুধু শুধু চালু হয়ে যে। আবার এমন মনে হতো রুম থেকে, কেউ বাহিরের মেন গেট ভেঙার চেষ্টা করছে। আবার মাঝে মধ্যে কোন ছায়া হাঁটতে দেখা যায়। অনেক দিন আগে একটা লোক এই বাড়িতে থাকতে এসেছিলো। লোকটা খুব সাহসী ছিল এলাকার লোকজন বলেছে। লোকটা নাকি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল, হটাৎ করে অনেক জুরে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল। খুব ভয়ংকর কন্নার আওয়াজ, মনে হয় কোন বাচ্চা মেয়েকে কেউ খুব কষ্ট দিয়ে মারছে। আর মেয়েটা খুব জুরে জুরে চিৎকার করছে। লোকটা বললো আমার কেমন যানি মনে হচ্ছে, মেয়েটাকে তার সৎ মা এভাবে নির্যাতন করছে। হয়তো মেয়েটার তার সৎ মা এর কাছ থেকে বাঁচার জন্য এভাবে চিৎকার করছে। কিন্তুু তার সাথে এই বাড়ির কি সম্পর্ক। সত্যি মেয়েটার চিৎকারে আমার খুব মায়া লেগে যায়। আমি ঘরের বাইরে বের হই, কিন্তুু আমার কেমন যানি মনে হচ্ছে কউ আমার পেছন পেছন আসছে। যখন ঐ পিছনে তাকাই কাউকে দেখতে পাই না। মাঝে মধ্যে একটা বাচ্চার ছায়া দেখতে পাই, আমি সারা বাড়িতে হাঁটা হাঁটি করলাম। 
বিদেশি ভূতের গল্প
কিন্তুু আমার কোন ক্ষতি হয়নি এবং আমি বুঝতে পেরেছি এখানে কোন মেয়েকে তার সৎ মা খুব নির্যাতন করে কিছু হয়তো করেছে। হয়তো তাকে মেরে ফেলেছে, এমন কিছু না হলে এমন করছে কেন মেয়েটা। এমন চিৎকার শুনে কোন মানুষ ঘুমিয়ে থাকতে পারবে না। এমন বিকট আওয়াজ শুনলে যে কেউ হাটফিল করে মরতে পারে। আর হটাৎ করে এমন ছায়া দেখলে ও হাটফিল করে মরতে পারে। আমি সারা রাত এভাবে ঐ চলেছি আমার মনে হচ্ছে আর কখনো দিন হবে না। আমি সাহসী বলে যে ভয় পাবো না এটা নয়। সে দিন রাতে আমি আমার জীবনের সব থেকে ভয়ে কাটিয়েছি। সত্যি এখন ও এসব কথা মনে হলে সরিলটা কেঁপে উঠে।
আমার মনে হয় না, এসব দেখে কোন মানুষ এই বাড়িতে থাকতে পারে। 
ভূতের গল্প শোনাও
কোন জীবিত মানুষ এসব আওয়াজ সজ্য করতে পারবে না। লোকটির এসব কথা শুনে এই বাড়িতে এখন কেউ থাকতে আসে না। বাড়িটির মালিক অনেক চেষ্টা করেছে এই বাড়িটি বিক্রি করতে, কিন্তুু মানুষ এর সব কথা শুনে কেউ এই বাড়ি কিনতে চায় না। আমার স্ত্রী বললো তাই এই বাড়িতে এখন তালা ঝুলিয়ে রাখেছে। পরে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ঐ মেয়ের কি হয়ে ছিল। আমার স্ত্রী বললো এলাকার লোকজন কেউ এই বেপারে যানে না। আমি এখন ও এই বাড়িটির পাশ দিয়ে শশুর বাড়ি যাওয়ার সময় আমার কেমন যানি মনে হয়, কেউ আমাকে পিছন থেকে ডাকছে। কিন্তুু কিছু করার নেই এই রাস্তা ছাড়া শশুর বাড়ি যাওয়া যায় না। খুব ভয়ংকর লাগে এখন এই বাড়ির সাথে রাস্তাটা ও।