ভূতের গল্প | ভয়ংকর ভূতের গল্প | ভূতের গল্প শোনাও

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প

আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় এক বন্ধুর মুখে শুনা এই ভয়াবহ গল্পটি।
অনেক বছর আগে আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন একজন বন্ধু বললো। আমরা সবাই একটা করে করে ভূতের ঘটনা বলবো: যে যেটা যানে। তখন আমার এক বন্ধু খুব ভয়ংকর এক ঘটনা বললো:
সেই ঘটনাটা তার দাদার কাছে শুনা। 
ও ঐ ঘটনা টা বলতে লাগলো।
একটা গ্রাম আছে যেখানে মানুষ মারা গেলে নদীর এপার থেকে ওপারে যেতে হয় কবর দেয়ার জন্য। আর নদীটির ঐ পারটা ছিল খুব ভয়ংকর। কোন মানুষ রাতের বেলা ঐ খানে যেতো না ভয়ে।‌‌ এমন কি দিন এর বেলায় ও খুব, ভয়ংকর থাকতো যায়গায় টা। কেউ ঐ কবরস্থানে একা যেতো না। কিছু দিন আগে নাকি এই গ্রামের এক লোক মারা যায়, তার পরে তাকে কাফন পরানোর পর কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তুু তখন অনেক রাত হয়ে যায় রাত প্রায় ১টা বা ২টা বাজে তখন। কিন্তুু অনেকেই এতো রাতে যেতে চাইছিলো না। কিন্তুু লাশ ও অনেক টা নরম হয়ে যাওয়ায়। এই জন্য রাতে ঐ যেতে হয়, তার কবর দিতে। তার পরে সবাইকে অনেক বলে কয়ে রাজি করিয়েছে। অনেক জনকে, অনেকে আবার ভয়ে পালিয়ে যায়। সবাই খাঁটিয়া করে লাশটিকে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। এবং লাশটি নৌকায় তোলা হয় ও কিছু লোক নৌকায় উঠে, পায় ৯ বা ১০ জন হবে। নৌকা চালায় সে, নৌকার ইঞ্জিন চালু করে ও নৌকা চালাতে শুরু করে, যখন নৌকা ঠিক নদীর মাঝপথে, ঠিক তখনই নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। নৌকায় থাকা সবাই ভয়ে সূরা কেরাত পড়া শুরু করে দেয়। এমন সময় শুনতে পায় অনেক আওয়াজ করে কে যেন কি খাচ্ছে। হার গুর খেলে যে রকম আওয়াজ হয়, ঠিক সেই রকম আওয়াজ হচ্ছে। তখন একজন লোক লাশের পাশে বসে থাকা লোকটার মুখে লাইড ধরে, এবং যা দেখে তারা। 
ঐ দৃশ্য দেখে সবাই ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। তারা দেখতে পায় লোকটা লাশটার হাত পা গুলো ছিরে ছিরে খাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে সবাই ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় ও পালাতে শুরু করে দেয়। অনেক কষ্ট করে হাবুডুবু খেয়ে নদী পার করে। কিন্তুু ঐ লোক টা ও তাদের পিছনে পিছনে আস্তে শুরু করে। 
আর পিছন থেকে ডাকতে থাকে আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করবো না, আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও, আর যদি তা না করো তাহলে আমি তোমাদের ছাড়বো না। এমন কথা শুনে তারা আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়। তাঁরা জান হারানোর ভয়ে আরো বেশি জোরে দৌড়াতে থাকে। 
দৌড়াতে দৌড়াতে একটি বাড়ির সামনে এসে পরে। তারা, তারাতারি করে ঐ বাড়ির মানুষদের ডাকে, আর বলে তাঁরা তারি দরজা খুলতে, তানা হলে ঐ লোকটা তাদের ছিঁড়ে খাবে। এবং সবাইকে মেরে ফেলবে, ঐ লোকটা। আর এই বাড়িটিতে যারা থাকেন, তারা আগে ও অনেক বার এমন বিপদে পরা মানুষদের, যায়গায় দিয়েছেন। তাই বলার সাথে সাথে বাড়ির মানুষ দরজা খুলে দেয়। আর সবাইকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার কিছুক্ষণ এর মধ্যে ঐ লোক টা ও আসে, এবং বলতে শুরু করে, এবার এর মতো তরা বেঁচে গেলি, কিন্তুু একদিন তদের আমি জীবিত অবস্থায় ঐ খাবো। আজকে বেঁচে গেলি, তখন ঐ বাড়ির লোকজন বলতে লাগলো: কিছু দিন পর পর এমন লোক জন বিপদে পড়ে আমাদের এখানে আসে
প্রথম দিনতো ভেবে ছিলাম হয়তো ডাকাত আসছে বাড়িতে, তার পরে নিজের চোখে দেখে বুজতে পারলাম। না এরা ডাকত হতে পারে না, প্রথম দিনতো আমাদের সামনে ঐ একটা লোককে ছিরে ফেলেছে। এসব আমি বলতে পারবো না। আপনারা অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন। এখন আপনারা সকাল না হওয়া পর্যন্ত বের হবেন না। বের হলেই সমস্যায় পড়তে পারেন। সকাল হলে সবাই চলে যেতে পারবেন। তাঁরা আর কোন সময় রাতে লাশ দাফন করতে বের হয়নি।