ভূতের গল্প | ভয়ংকর ইস্কুল এর ভয়াবহ ঘটনা না ।

রহস্যময় গল্প

রহস্যময় গল্প

ঘটনাটি বাহিরের দেশের। আমি যায়গার লোকেশন বলবো না।
আমি ঘটনা টি আমার মতো করে বলছি।
প্রায় অনেক বছর আগে একটা ইস্কুল ছিল। ইস্কুলটা ছিল অনেকটা জংগল এর মতো, ঐ যায়গার চার পাশে ছিল শুধু গাছ আর গাছ। আশে পাশে কোন বাড়ি ঘর ছিল না। ইস্কুলটা ছিল মেন রাস্তার কিছুটা দূরে। এতোটা দূরে থাকার পরেও ইস্কুলটায়, অনেক বাচ্চারা লেখা পড়া করে। তখন ইস্কুলটায় মানুষে ভরপুর ছিল। বাচ্চারা লেখা পড়া করছে খুব ভালো ভাবে, তখন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তুু  একদিন ইস্কুল টি কোন একটা কারণে বন্ধ দেয়।

ঐ দিন একটা বাচ্চা মেয়ে না যেনে ইস্কুলে চলে আসে। কিন্তুু মেয়েটি ভুল করে চলে আসে ইস্কুলে, মেয়েটি একা একা ঐ ইস্কুলে আসতো। মেয়েটা যখন ইস্কুলের সামনে আসলো দেখলো, গেটে বিশাল একটা তালা ঝুলানো। মেয়েটা তখন বুঝতে পেরেছে, ইস্কুল আজকে বন্ধ। মেয়েটি চলে যাচ্ছিলো এমন সময় কিছু খারাপ ছেলেরা এসে মেয়েটাকে ধরে নিয়ে যায়, ধর্ষণ করে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলে। এবং তার লাশ ইস্কুল এর পিছনে জোপ জাপ এর ভিতর নিয়ে মাটি দিয়ে দেয়। তার পরে থেকে ঐ শুরু হয় সমস্যা গুলো
মেয়েটা মরার কিছু দিন পরে ঐ যারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে তাদের। লাশ পাওয়া যায় ইস্কুলের গেটের সামনে। মোট তিন জন এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তখন থেকে বাচ্চারা ও ইস্কুলের টিচাররা সবাই অনেক ভয় পেয়ে যায়। প্রথম একটা বাচ্চা মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে এখন আবার এই লোক গুলোর লাশ, ইস্কুলের সামনে থেকে পাওয়া গেছে, এর মানে কি? তাহলে কি এই লোক গুলো মেয়েটার সাথে কিছু করেছিলো। আর এই মেয়েটার আত্মা তাদের মেরে ফেলেছে। এসব কথা পুরো ইস্কুলে ছরে গেল, যে লোক গুলোই বাচ্চা মেয়ে টাকে হত্যা করছে এবং মেয়েটার আত্মা তাদের কে মেরেছে। আর আস্তে আস্তে এই ইস্কুল থেকে বাচ্চারা চলে যেতে লাগলো। এখন এই ইস্কুলে কেউ আসে না। ইস্কুলটা সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
এই ইস্কুল এর পাশ দিয়ে বা রাস্তায় রাতের বেলা যদি কোন গাড়ি চলাচল করে। তারা অনেক জোরে জোরে কোন মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পায়। অনেকে ভয়ে রাস্তা দিয়ে হয়, অনেকে আবার যেতে চায় না ফিরে চলে যায়। রাস্তার পাশ দিয়ে গেলে মনে হয় কোন মেয়ে তাদের ডাকছে। এমন ভাবে ডাকছে মনে হয় মেয়েটা খুব বিপদে পড়ে আছে। মেয়েটা বলছে আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও, হয়তো মেয়েটা মানুষকে কিছু যানাতে চায়। এই জন্য ঐ মেয়েটা লোক জনদের ডাকছে। তার পরে কিছু লোক জন থানায় পুলিশ নিয়ে যায়, আর বলে মেয়েটার লাশ‌ এখানে আটকা পড়ে আছে। এই জন্য মেয়েটা এসব করছে। আপনারা মেয়েটার লাশ উদ্ধার করে, তার বাবা-মা এর কাছে দিয়ে আসেন। তাহলে হয়তো মেয়েটার আত্মা শান্তি পাবে। পুলিশ প্রথমে যেতে রাজি হচ্ছে না, পরে উপর মহলের চাপে পড়ে যেতে হয় পুলিশ এর। তাঁরা অনেক জন পুলিশ এবং মেয়েটির বাবা ও মাকে সাথে নিয়ে ইস্কুল এর সামনে পৌঁছায়। পুলিশরা অনেক খুজা খুজি করে মেয়েটির লাশ পায়। মেয়েটির বাবা-মা তার মেয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেংগে পরে। এই লাশ পুলিশ নিয়ে যায় এবং ময়নাতদন্ত করে, আবার তার বাবা মা এর কাছে দিয়ে আসে। সেই মেয়েটি ছিল খ্রিস্টান তাই তাদের ধর্ম মতো তাকে মাটি দেয়। এখন আর এই ইস্কুল থেকে রাতে কোন আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় না। মানুষ এখন খুব নিশ্চিন্তা ভাবে চলা ফেরা করে। আর এখন আবার ইস্কুল টি সম্পুর্ণ ভাবে আগের মতো চালু হয়ে যায়। আর এখন করো কোন সমস্যা হয় না।