ছোট একটি গল্প স্বামী স্ত্রীর | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার স্ট্যাটাস

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

বড় লোক ও গরিব দুই ছেলে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তাঁরা একে অপরের সাথে সবসময় থাকতো, এবং একে অপরের সাথে সব কথা শেয়ার করতো। তাঁদের দুজনই এক সময় বিয়ে করলো, বড় লোক ছেলে বড় ঘরের মেয়েকে, আর গরিব ছেলে গরিব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করলো। তাদের দুজনের স্ত্রী ছিলেন খুব সুন্দর দেখার মতো। বড় লোক ছেলেটি বড় কম্পানিতে চাকরি করতো আর গরিব ছেলেটি দিনমজুরের কাজ করতো। তাঁরা এখন হয়ে গেল তাদের স্ত্রীদের কাছে, একজন বড় স্বামী লোক স্বামী একজন গরিব স্বামী।

বড় লোক স্বামী: 

বন্ধু কেমন আছো, আমি ভালো নেই। বিয়ে করার পর আমি এখন আর ভাল নেই। ভেবে ছিলাম বিয়ে করে অনেক সুখে শান্তিতে থাকবো। কিন্তুু বন্ধু আমারতো বিয়ে করার পর, কপালে কোন সুখ শান্তি নেই। ভেবে ছিলাম আমার এতো ধন-সম্পদ আছে আমি কখনো দুঃখে কষ্টে থাকবো না।

গরিব স্বামী:

কই বন্ধু আমি ও তোমার মতো বিয়ে করেছি। আমিতো ভালই সুখে শান্তিতে আসি। আমারতো তোমার মতো এতো ধন-সম্পদ নেই। দিন আনি দিন খাই, কই আমিতো খুব সুখে শান্তিতে আছি। আর তোমার এতো ধন-সম্পদ আছে, তার পরে ও বলছো তোমার কপালে সুখ শান্তি নেই।

বড় লোক স্বামী:

আমি যখন অফিস থেকে বাড়িতে আসি তখন ও আমার স্ত্রী সাজ গুজ নিয়ে পরে থাকে। আমি খেয়েছি কি-না খেয়েছি তা একবার ও জিজ্ঞেস করে না। মাঝে মধ্যে আমার খাবার নিজে নিয়ে খেতে হয়, তা নাহলে আমার বাড়ির কাজের মেয়েটা আমার খাবার দিয়ে যায়। তা নাহলে আমার না খেয়ে থাকতে হয়। কিন্তুু আমার স্ত্রী কখনো আমার খাবার বেড়ে খায়ায় না। আমার এতো টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ থাকার পরেও, আমার খাবার খেয়ে হয় বাড়ির কাজের মেয়ের হতে।

গরিব স্বামী:

আমি যখন দিনমজুরি করে বাড়িতে আসি তখন আমার স্ত্রী পাগল হয়ে যায়। আমি সারাদিন কি খেয়েছি. আমার শরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে কি'না এসব বলে বলে পাগল করে দেয়। আর সে আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ায়, আর যদি কোন দিন বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে হাত পাখার বাতাস করে আমাকে খাওয়ায়। আমি যতক্ষণ না খাবার শেষ করছি, আমার পাশে বসে বসে সব কিছু বেরে বেরে, আদর যত্ন করে খাওয়ায়। সে আমার কথা ছাড়া চলে ঐ না। আমি যে ভাবে বলি আমার স্ত্রী ঠিক সেই ভাবে ঐ চলে। আমি বিয়ে করে খুব সুখে সান্তিতে আছি বন্ধু।

বড় লোক স্বামী:

আমার স্ত্রী কখনো আমার কথা শুনে না। আমি তাকে কিছু বললে, আমার মুখের উপরে বলে দেয়। আমি এই বাড়িতে কারো বান্দি খাটার জন্য আসিনি, আমার বাপ দাদারা আমাকে কখনো। বাড়ির কোন আজ করতে দেয়নি, আমি সব সময় রাজ রানীর মতো ছিলাম। আর আমার জন্য একটা কাজের মেয়ে সব সময় আগে পিছে থাকতো। আর তুমি আমাকে কাজের হুকুম করো। কাজের ফরমাশ দিতে হলে, বাড়ির কাজের মেয়েকে দেও। আমি এই বাড়ির কাজের মেয়ে না।

গরিব স্বামী:

আমার স্ত্রী কখনো আমার কথাকে না মেনে চলেনি। আর সে কখনো আমার মুখের উপর কথা বলে না। আর আমি যখন তাকে ডাকি সে পাগল এর মতো ছোটে আসে। আর সে কখনো তার বাড়িতে তার বাপ দাদারা তাকে কি ভাবে রেখেছে এসব কথা বলে না। সে সবসময় তার ঘরের কাজ নিজে ঐ করে কোন কাজের মেয়ের দরকার পরে না। 

বড় লোক স্বামী:

সত্যি বন্ধু তুমি অনেক সুখী আমার এতো ধন-সম্পদ থাকার পরেও আমি সুখী না। তোমার কিছুই নেই আজকে খেলে কালকে খেতে পারবে কি'না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তার পরে ও তুমি সুখী।

গরিব স্বামী:

বন্ধু ঠিক বলছো ধন-সম্পদ থাকলে ঐ সবাই সুখী হতে পারে না।