জ্বীন তিন বাচ্চার মাকে মেরে ফেললো । সত্যি মা ছাড়া দুনিয়াটা খুব কঠিন ।

রহস্যময় গল্প

এক সাপ্তাহ আগে আমার দোকানে একটা ছেলে আসলো, আর বললো আগর বাতি লাগবে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এতো সকালে আগর বাতি দিয়ে কি করবেন।
সে বললো আমার বড় বোন মারা গেছে তাই লাগবো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সামনে কিছুক্ষণ আগে শুনলাম কে যেন মারা গেছে ঐ টা। সে বললো হুম ভাই ঐটা ওই। আমি তাকে আবারো জিজ্ঞেস করলাম, কিছুক্ষণ আগে দুজন বাচ্চা বললো খুব কম বয়সী এক জন মানুষ মারা গেছে । তাহলে কি কম বয়সী মানুষটি আপনার বোন ছিল । যার কথা বাচ্চারা বললো ছেলেটা বললো, হুম ভাই ওরা আমার বড় বোন এর কথাই বলে ছিল । এবার আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এতো কম বয়সে মৃত্যু কি হয়েছিলো আপনার বোন এর । তখন ছেলেটি বললো আমার বড় বোন এর গায়ে কিসের যানি বাতাস লাগছে । বাতাস লাগার পর থেকে আমার বোন এর এই অবস্থা স্থায়ী । তার স্বামীর বাড়িতে বাতাস লাগছে, বেশি অসুস্থ থাকায় আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় । তার পরে ছেলেটা আগর বাতি নিয়ে চলে যায় ।

ছেলেটি যায়ার অনেক ক্ষন পর, তার ছোট বোন আমার দোকানে আসলো তাদের বাড়িতে আসা কিছু বাচ্চাদের নিয়ে । আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার বড় বোন কি ভাবে মারা গেছে । মেয়ে মানুষতো ভিতরে কোন কথা থাকে না সব বলে দেয় ।

তখন মেয়েটা বললো: আমার বড় আপুকে জ্বীনে ধরেছে, তাও আবার একটা দুইটা নয় অনেক গুলো । আপুকে তারা খুব ভয় দেখাতো, আর আপু ভয় পেয়ে পেয়ে ভিতরে অসুক বানিয়ে ফেলছে । আমি বললাম তোমার বোন এর স্বামীর বাড়ি থেকে বলে ধরেছে জ্বীনে মেয়েটি বললো হুম ভাই । আমার আপুর ছোট ছোট তিন জন ছেলে মেয়ে আছে, তাদের এখন কি হবে । আমি বললাম তোমার আপুর স্বামীরা কেউ আসে নাই । সে বললো, আসছে সবাই ঐ দুলাভাই এখন ও আসে নাই । বাড়ি অনেক দূরে তাই আস্তে একটু দেরি হবে । আমি এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার দুলাভাই এর বাড়ি কোথায় । সে বলে সিলেট আমার আপুর জামাইর বাড়ি । তখন সে ও চলে যায় ।

দুপুর এর সময় আমি দোকানে বসে আছি এমন সময়, যেই মেয়েটি মারা গেছে তার সবার ছোট ভাই আসলো আমার দোকানে । আমাকে বললো ভাই আমাকে পাঁচটা শ্যাম্পু দেন । আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম শ্যাম্পু দিয়ে কি করবে, বাচ্চা ছেলেটা বললো আমার বড় আপুকে এই শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাবে । তখন আমি বললাম তোমার আপুর জানাজার নামাজ কখন হবে । ছোট ছেলেটি বললো ভাই তুমি আমার আপুর জানাজার নামাজ পরবা, আমার তার কথা শুনে খুব মায়া লেগে গেল । আমি বললাম তোমার বোন এর জানাযা কখন হবে, ছেলেটা বললো বিকালে । আমি তখন বুঝতে পেরেছি আসরের নামাজ এর পরে তার জানাজার নামাজ হবে ।


ঐ দিন আমি দুপুরে দোকান বন্ধ করে, মে মেয়েটি মারা গেছে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছি লাম । তখন দেখলাম পাশের বাড়ির এক আন্টি, আমি তাকে বললাম মেয়েটা কি ভাবে মারা গেছে । তখন আন্টি বললো জ্বীন আর কোন মানুষ পেলো না, তিন বাচ্চার মাকে ধরে মারলো । মেয়েটার বাচ্চা গুলো এখন এতিম হয়ে গেলো না । তাদের এখন কি হবে । মা ছাড়া দুনিয়াটা খুব কঠিন । আমি বললাম হতো ভুলে মেয়েটা জ্বীনদের কোন ক্ষতি করে ফেলছে, তার জন্য তাকে তারা ধরেছে । আন্টি বললো হতে ও পারে, কিন্তুু বাচ্চাদের এখন কি হবে তুমি ঐ বলো । আমি বললাম তা ঠিক এখন দুনিয়াটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে ।
আমি দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন মেয়েটাকে জান্নাত বাসী করে এবং তার সন্তানের দুনিয়াতে ভালো ভবিষ্যত করে দেয় । আমিন ।