বেপর্দা নারী | নারীর পর্দা | ইসলামিক পর্দা নিয়ে স্ট্যাটাস

পর্দাশীল মেয়েদের পিক

পর্দাশীল মেয়েদের পিক

রহস্যময় গল্প

 আমার বড় বোনকে জ্বীন বলে ছিল তুই তোর রুপ মানুষকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছিস। তকে আমি প্রতিদিন দেখি তুই বেপর্দা ভাবে চলা ফেরা করতে, চুল ছেড়ে পর পুরুষের সাথে হাঁটা হাঁটি করতে।
আবার ঠিক দুপুরে বেলায় মাথায় কাপড় না দিয়ে আমার সামনে দিয়ে যেতে। তোর কি ভয় লাগে না, তুই যানিস আমি তোর অনেক বড় ক্ষতি করতে পারি। তকে সারা জীবন এর জন্য পাগল করে দিতে পারি। ভালো হয়ে যা তানা হলে তোর চৌদ্দগুষ্টিকে পাগল বানিয়ে ছাড়বো। তখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবি আর পাগলামি করে বেরাবি। এখন ও সময় আছে ভালো করে চলা ফেরা কর। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় কর, আর বেপর্দা ভাবে আর যাতে চলা ফেরা করতে না দেখি। তাহলে কিন্তুু সমস্যা হবে তোর।

আমার বড় বোন খুব ভয় পায়, আর এসব কথা মার কাছে এসে বলে। মা এসব কথা বাবাকে বলে, বাবা এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবকে বললে, ইমাম সাহেব বলেন: জ্বীন‌ আপনার মেয়েকে যা'যা বলছে তাই করতে বলোন। আপনি যা কিছু বলছেন সব কিছুই শুনেছি। আমার মনে হয় জ্বীন আপনার মেয়ের ভালোর জন্য ঐ বলছে। আর যদি জ্বীন‌ আপনার মেয়ের কোন ক্ষতি করে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ তাকে আটকাতে পারবে না। তাই তাকে বলোন যাতে সে ভালো করে চলা ফেরা করে। তাহলে জ্বীন মনে হয় আপনার মেয়ের কোন ক্ষতি  করবে না।

বাবা: বাড়িতে আসলো আর মাকে ডাকলো, এবং সব কিছু মাকে বললো হুজুর যা কিছু বলছেন। মা আমার বড় বোনকে অনেক বুঝিয়ে বললো, বললো: মা জ্বীন তোর ক্ষতি করবে যদি তার কথা না শুনছ। জ্বীনতো তকে খারাপ কিছু বলে নাই। আমরা মুসলিম আমাদের এভাবে ঐ চলতে হয় মা। তুই বলো করে চললে জ্বীন মনে হয় তোর কোন ক্ষতি করবে না। আর যদি জ্বীন‌ এর কথা না শুনোছ, তাহলে সে তোর সাথে আমাদের ও ক্ষতি করবে। অনেক বলার পরে আমার বোন রাজি হলো, সে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময় মতো আদায় করতো। আর কোন দরকার ছাড়া বাহিরে যেত না। বাহিরে যাওয়ার সময় পর্দা করে বাহিরে যেতো। জ্বীন আর আমার বোনকে ভয় দেখায়নি। এবং প্রায় দুই বছর আর জ্বীন আমার বোনকে কিছু করে নাই এভাবে চলতে লাগলো আমার বোন।

 প্রায় দুই বছর পর এখন আবার আগের মতো হয়ে গেছে। জ্বীন এর কথা ও সে ভুলে গেছে। সে ভুলে গেছিলো জ্বীন তাকে কি বলে ছিল, সে আবার আগের মতো করে সেজে গুজে বেপর্দা ভাবে চলা ফেরা করতে শুরু করলো। এভাবে অনেক দিন হলো, সে এখন নামাজ ও পরে না ঠিক মতো।

হটাৎ করে একদিন আমার বোন পাগলের মতো বাড়িতে আসলো।  
আমার মা তার এ অবস্থা‌ দেখে একটা চিৎকার ঐ দিল, আর বললো আমার মেয়ের কি হয়েছে। মা হয়তো বুঝতে পেরেছে, জ্বীন ঐ তাকে এমন করছে। এলাকার লোকজন বলেছে, আপনার মেয়েকে আমরা দেখলাম রাস্তায় পাগলামি করছে, তাই আমরা তাকে ধরে বাড়ি নিয়ে এলাম। রাস্তার মানুষ দেরকে খারাপ বাসায় খালি গালাজ করছিলো।
তখন তার এমন আচরণ দেখে এলাকার মানুষ  তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন আমার বাবা মা আমার বোনকে অনেক চিকিৎসা করিয়ে ও, আমার বোনকে ঠিক করতে পারে নাই। হুজুরকে বলে ছিল, তখন হুজুর বললো জ্বীন আপনার মেয়েকে আগেই বলে ছিল, তখন সে আবার ও ঠিক একি ভুল করেছে, তাই জ্বীন মনে হয় তার শরীরের ভিতরে ঠুকে গেছে। এখন আল্লাহ পাক এর কাছে বেশি বেশি দোয়া কালাম করুন। হয়তো আল্লাহ পাক তাকে ঠিক করে দিতে পারে।

কিন্তুু আমার বাবা মা অনেক চেষ্টা করেও আমার বোনকে আগের মতো করতে পারে নাই। সে এখন ও পাগলামী করে, এখন প্রায় চার পাঁচ বছর হয়ে গেছে। কিন্তুু সে ঠিক হয়নি এখনো। একমাত্র আল্লাহ পাক ঐ যানে আমার বোন আর কোন দিন ঠিক হবে কিনা।