খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প | রহস্যময় গল্প

অনেক কষ্টের ভালোবাসার গল্প

অনেক কষ্টের ভালোবাসার গল্প

প্রতিদিন একটা মেয়ে এই নির্জন রাস্তায় একা একা দাঁড়িয়ে থাকতো।

আমি পায় ঐ দেখতাম মেয়েটি রাস্তার পাশে বিশাল জংগল এর দিকে কার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতো। আমি প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার এখান দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়া আসা করতাম। এভাবে অনেক দিন দেখলাম মেয়েটি ঠিক এভাবে ঐ কার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতো, কিন্তুু সাহস হচ্ছে না মেয়েটির কাছে যেতে।
যদি আবার কোন জ্বীন পরি হয়ে থাকে তাহলে আমি শেষ। এই চিন্তা করতে আর যাওয়া হয় না, এভাবে আরো কিছু দিন কেটে গেল, কিন্তুু মেয়েটি ঐখানে ঐ এখনো দাঁড়িয়ে থাকতো। এভাবে চলতে থাকলো আরো কিছু দিন। পায় এক মাস হয়ে গেল কিন্তুু মেয়েটি এখনো এভাবে ঐ দাঁড়িয়ে আছে। একদিন সমস্ত বন্ধুদের এই বিষয়ে জানালাম তাঁরা সবাই বললো: মেয়েটা মনে হয় ভূত তারা সবাই হাঁসি ঠাট্টা করে বিষয়টি উরিয়ে দিল।
কিন্তুু আমি তাদের বললাম: তাহলে চল আমি তদের দেখাচ্ছি মেয়ে টাকে। তরা প্রথমে রাজী হচ্ছিল না। তার পরে আমি বললাম তরাতো অনেক ভিতু, সমান্য একটা মেয়েকে ভয় পাচ্ছিছ। তখন সবাই বললো চলদেখে আসি, কি দেখাতে চাস তুই, আমরা ভূতকে ও ভয় করি না। তখন আমরা সবাই সেখানে যাই। আমি আমার বন্ধুদের মেয়েটিকে দেখাচ্ছি কিন্তুু ওরা বলে কি বলছোত এখানে কেউ ঐ নাই। আমি বললাম ভালো করে দেখো সবাই মেয়েটি এখনে ঐ দাঁড়িয়ে আছে। সবাই আমাকে বলতে লাগলো তুই মনে হয় পাগল হয়ে গেছত। আমরা কেউ এখানে কোন মেয়ে দেখতে পাচ্ছি না। এসব বন্ধু তর মনের ভুল, তুই মনে হয় রাতে ভালো করে ঘুমাছ না। তুই বাড়ি গিয়ে ঘুমা সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এখন চল এখন থেকে।
আমি তখন ও মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছি কিন্তুু আমার বন্ধুরা কেন দেখতে পাচ্ছে না?
আমি কিছু ঐ বুঝতে পারছি না। আমার সাথে কখনো আগে এমন হয় নাই, আজকে কেন এমন হচ্ছে।
কে এই মেয়ে আমি কেন তাকে দেখতে পাচ্ছি।
আর শুধু মাত্র আমি ঐ তাকে কেন দেখতে পাচ্ছি। বন্ধু কি চিন্তা করস চল এখন থেকে। এখানে থাকলে তোর মাথা খারাপ হয়ে যাবে। বন্ধুদের সাথে চলে এলাম, কিন্তুু আমার মনে একটা ঐ প্রশ্ন কে এই মেয়ে, আর আমি তাকে কেন দেখতে পাচ্ছি। তাহলে কি এই মেয়ে কোন আত্মা, এসব ভেবে ভেবে আমার মাথাটা পুরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তুু আমি ভয়ে তার সামনে যেতে ও পারছি না। আর এখনতো আমার বাড়ির বাহিরে যেতে ও ভয় করছে।
এই মেয়ে আবার আমার বাড়িতে এসে পরবে নাতো।
এমন সময় আমার দরজায় কে যেন ধাক্কা দিলো। আমি তখন ভয়ে কাঁপছি, পরে মা আওয়াজ দিলো কিরে দরজাটা খুলবি নাকি, তর খাবার টা দিয়ে যাব, ও মা তুমি আমিতো ভেবেছিলাম।
কি ভাবে ছিলি ভূত এসেছে।
তোইতো আমাদের সাথে খাবিনা তর ছোট বেলা থেকেই অব্বাস। একা একা খাবি এইযে খাবার দিয়ে যাচ্ছি খেয়ে নেয়।
মা খাবার দিয়ে চলে গেল, কিন্তুু আমি খেতে পারলাম না।
আমার এইসব চিন্তা গুলো পেটের ভিতরে চলে গেছে, আমি আর এখন খেতে পারবো না। না খেয়ে ঐ শুয়ে পড়লাম, কিন্তুু‌ ঘুম আসছে না। কেন যানি মনে হচ্ছে ঘুমালে যদি এই মেয়ে কে দেখতে পাই। সারা রাত আমি ঘুমাতে পারি নাই এই মেয়েটার কথা চিন্তা করে।
কেন যানি মনে হচ্ছে এই মেয়েটা আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে।
আমার এমন ও মনে হচ্ছে মেয়েটা আমার কোন ক্ষতি করবে না।
মনে মনে ভাবতে লাগলাম, দেখি সব ভয় দূর করে আমি ওর সামনে যাবো।
যা হবার হোক, আমি সে টাকে ভয় করি না। অনেক ভেবে চিন্তে, সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মেয়েটির সামনে যাবো।
পরের দিন সকালে আমি রেডি হলাম মেয়েটার সামনে যাবো বলে। সাইকেল বের করলাম আর বাড়িতে বলে আসলাম, একটু দেরি হবে বাড়িতে আসতে। মা বললো সাবধানে চলাফেরা করিস। আমি বললাম চিন্তা করো না আমার জন্য আমি সাবধানে ঐ চলি। এখন সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি মেয়েটির কাছে, কিন্তুু এবার মনে কোন ভয় নেই মনে হচ্ছে। অনেক খুশি খুশি লাগছে মনটা হয়তো ভালো কিছু হতে পারে। চলে এসেছি ঐ রাস্তায়, দেখলাম মেয়েটি এখনো ঠিক আগের মতো ঐ দাঁড়িয়ে আছে। আমি সাইকেল টা রাস্তার সাইডে রাখলাম, আর মেয়েটির কাছে যেতে লাগলাম। তখন কে আমাকে পিছন থেকে ধরে ফেললো, আমি দেখলাম অনেক বয়েসকো একজন মহিলা।

আর সে বললো কি করছো তুমি। তুমি জানো এই মেয়ে কে? আমি বললাম: আপনি ও এই মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছেন?

বয়েসকো মহিলা বললো: আমি এই মেয়ের দাদি। কিন্তুু তুমি এখানে কেন এসেছো? আর আমার নাত্নির সাথে তোমার কিসের সম্পর্ক। আপনার নাত্নি প্রতিদিন এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকে কেন। আমি প্রায় এক মাস ধরে দেখতে আসছি । আর আমার বন্ধুরা তাকে দেখতে পাচ্ছে না । এর মানে কি? অন্য কেউ আপনার নাতনিকে দেখতে পাচ্ছে না কেন । আমি কেন তাকে দেখতে পাচ্ছি? সে কে আমি তার জীবনের সব কিছু যানতে চাই । আপনি কি আমাকে তার সম্পর্কে সব কিছু বলবেন । বয়েসকো মহিলা বললো আমি তোমাকে আমার নাত্নির  জীবনের সব কিছু বলবো । চলো আমরা সাথে, এখানে না আমার নাত্নির কাছ থেকে অনেক দূরে । ও এসব বুঝতে পারলে অনেক ভয়ংকর হয়ে যাবে । আমার নাত্নি খুব জিদ্দি মেয়ে ওর সামনে এসব বলতে পারবো না আমি । তাই দূরে, আমার বাড়িতে চলো ঐ খানে সব কিছু বলবো ।

বয়েসকো মহিলার বাড়িতে চলে এলাম খুব ভয়ংকর একটি বাড়ি ‌। এরকম বাড়িতে মানুষ থাকতে পারে আমার মনে হয় না । আমি মহিলা টাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি এই বাড়িতে থাকেন কি ভাবে আপনার ভয় করে না । মহিলাটি বললো‌ ভয়তো লাগে কিন্তুু আমারতো আর কেউ নেই এই নাত্নি ছাড়া । আপনার ছেলে মেয়ে কেউ নেই । মহিলা বললো আমার একটা ছেলে ও দুইজন মেয়ে ছিল । আমি বললাম তারা এখন কোথায় আছে । মহিলা এবার কন্না শুরু করে দিল । কিছুক্ষণ কাঁদার পরে বললো, আমার ছেলে ও তার স্ত্রীকে আর আমার দুই মেয়েকে নিয়ে তারা জংগলের গবিরে পিকনিক করতে গিয়ে ছিলো । আমার নাত্নি এসব পছন্দ করতো না তাই তাকে নিয়ে জেতে পারে নাই । ওকে বেশি জোর করলে ও অনেক খেপে যেত তাই ওরা তাকে জোর করে নাই । তারা সবাই চলে গেল কিন্তুু আজও তারা ফিরে আসে নাই । তাদের কি হয়ে ছিল আপনি যানেন না? না আমি যানি না কিন্তুু আমি তাদের খুঁজে বের হয়ে ছিলাম । অনেক খুঁজা খুঁজি করে ও পাইনি তাদেরকে । আজও তাদের অপেক্ষায় থাকি হয়তো কোন দিন ফিরে আসতে পারে । আচ্ছা আমি আপনাকে দাদি বলে ডাকি । বয়েসকো মহিলা বললো তুমি আমার নাত্নির বয়েস এর ঐ দাদি ঐ বলবা আরকি বলবা । ওকে দাদি এবার আপনি আপনার নাত্নির সাথে কি ঘটছে বলুন । তাহলে শুনো আমার নাত্নি খুব লক্ষ্মী একটা মেয়ে, কিন্তুু একটু রাগি ওর রাগ উঠলে সব কিছু তছ নছ করে ফেলে । তা ছাড়া সব কিছু ঠিক আছে । আমার নাত্নির জন্য একটা ছেলে প্রতিদিন ঐ আসতো, আমার নাত্নির সাথে কথা বলতো গল্প করতো, সারাক্ষণ তারা দুজন একসাথে থাকতো । তাঁরা একে অপরেরকে খুব পছন্দ করতো । এমনকি তারা একে অপরকে খুব ভালোবেসে ফেললো । আমার নাত্নি ছেলে টাকে তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে ফেললো । আমার নাত্নি খুব সুন্দর ছিল তাই আমি ভেবে ছিলাম ছেলেটি তার সুন্দর চ্যাহারা দেখে তার সাথে ভালোবাসার নাটক করছে, আমি আমার নাত্নিকে এই কথা বলে ছিলাম ও খুব খেপে যায়  । আর বলে ও এরকম ছেলে না ও আমাকে খুব ভালবাসে । পরে আমি বুঝতে পারি ছেলেটি আসলে ঐ আমার নাত্নিকে অনেক ভালোবাসে । প্রায় এক মাস আগে ছেলেটি আমার নাত্নিকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাচ্ছিলো । আমাকে শুধু বলে যায় । আমরা শহরে যাচ্ছি ঐখানে গিয়ে আমরা ভালো কিছু করে, তোমাকে ও নিয়ে যাবো । তুমি কয়টা দিন একটু কষ্ট করো দাদি  । ঠিক তখন ঐ তারা চলে যায়, আমাকে শুধু বলে যায় তোমার সব কিছু রেডি করে রাইখ আমরা দুজন তোমাকে নিতে আসবো আবার । দুদিন চলে গেল আমার মনটা কেমন যেন লাগছে আমি চিন্তা করলাম একটু বাহির থেকে ঘুরে আসি । হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখতে পেলাম আমার নাত্নির মতো কাপড় পড়া কে যেন দাঁড়িয়ে আছে, আমি সামনে গেলাম আর জুরে জুরে ডাকতে লাগলাম কিন্তুু আমার নাত্নি পিছনে ফিরলো না । আমি তার কাছে গিয়ে যখন ঐ তাকে ছুঁতে যাবো এমন সময় । আমার নাত্নির গলায় আওয়াজ এলো আমাকে ছুইয়ো না দাদি তোমার ক্ষতি হবে । আমাকে পিছন ফিরাতে চাইলে তোমার মৃত্যু হবে খুব ভয়ংকর ভাবে । আমি এখানে অপেক্ষায় আছি ওর জন্য, আমি চোখ ফিরালে অকে হারাতে পারি । তাই আমাকে পিছনে ফিরানো চেষ্টা করো না । আমি অপেক্ষায় আছি তার জন্য,‌ সে আমাকে বলে দিয়ে গেছে আমি যেন এক মুহুর্তের জন্য কোথাও না‌ যাই  । তুমি চলে যাও এখান থেকে আমি আমার ভালোবাসার মানুষ এর সাথে শহরে যাবো ‌। ও একখুনি চলে আসবে তুমি যাও এখান থেকে । আমি বললাম তুই আমাকে মেরে ফেল তার পরে ও আমি যানতে চাই তোর সাথে ঐ দিন কি ঘটেছে । আমাকে সব কিছু ভালো ভাবে খুলে বল । আমি আর এসব সজ্য করতে পারছি না । আমার ছেলে মেয়েদের ও আমি এভাবে হারিয়ে ছিলাম এখন তকে ও হারাতে বসেছি  । বল আমাকে সব কিছু আমি জানতে চাই সব কিছু । তা নাহলে আমাকে তুই মেরে ফেল । আমার নাত্নি তখন বললো দাদি আমি আর ও এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় ও আমাকে বললো । আমরা জংগল এর ভিতর দিয়ে যাব এখান দিয়ে গেলে আমাদের এতো কষ্ট করতে হবে না । তাঁরা তারি শহরে পৌঁছাতে পারবো তা নাহলে রাত হয়ে যেতে পারে । তখন ও আমাকে এই যায়গায় দার করিয়ে বলে গেছে, এখানে তুমি অপেক্ষা করো কিছুক্ষণ,  আমি দেখে আসি এই জংগল এর ভিতর কোন বড় প্রাণী আছে কি না । আমি যখন ঐ এই রাস্তা দিয়ে এসেছি বিশাল বড় একটা প্রাণীর গর্জন শুনেছি । তাই সাবধানে যেতে হবে । এই জংগল এর ভিতর একটা বড় গুহা আছে ।গুহাটা পেরুতে পার্লে ঐ আর কোন সমস্যা নাই । আমি ওকে বললাম আমাদের এখান দিয়ে না গেলে হয়না । তখন ও বলে চিন্তা করো না আমরা ঠিক যেতে পারবো । তুমি এখান থেকে একমুহুর্তের জন্য লরবা না বলে দিলাম । আমি না আসা পর্যন্ত এখানে ঐ দাঁড়িয়ে থাকো । কিন্তুু ও যাবার কিছুক্ষণ পরে আমি অনেক জুরে একটা প্রাণীর আওয়াজ শুনতে পেলাম । কিন্তুু আমি এখান থেকে এক পা ও লরি নি । কিছুক্ষণ পর ঐ প্রাণীটা আমার সামনে এসে পরে, এমন বিকট ও এতো ভয়ংকর প্রাণী আমি কখনো দেখিনি । সে আমাকে ছিঁড়ে বিড়ে খেয়েছে কিন্তুু আমার এমন মনে হলো । সে আমার দেহটা খেয়েছে আমাকে খেতে পারেনি । তাই আমি এখনো তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি । আমার মনে হচ্ছে আমি এক সেকেন্ড এর জন্য চোখ ফিরালে ওকে হারাবো । আমি আমার নাত্নির কথা শুনে অনেক কান্না কাটি শুরু করলাম ও বলে তোমার কান্নায় আমার সমস্যা হচ্ছে তুমি চলে যাও এখান থেকে ।

আমি চলে এলাম, কিন্তুু নাত্নির মায়ায় পড়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নাত্নির জন্য যেতাম । দূর থেকে একনজর দেখার জন্য । এভাবে অনেক দিন চলতে থাকলো । আমার নাত্নি এভাবে ঐ এখানে দাঁড়িয়ে থাকতো । কিন্তুু্ একদিন দেখলাম কিছু ছেলেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমার নাত্নির কথা বলছে । তখন আমি তাদের মধ্যে তোমাকে ও দেখেছি । কিন্তুু আজকে আমি দেখলাম আমার নাত্নির কাছে চাওয়ার চেষ্টা করছো তুমি । আর আমি তোমাকে আটকিয়ে ফেললাম । কিন্তুু তুমি আমার নাত্নিকে দেখতে পাচ্ছো কেন সেটা আমি বলতে পারি না ।


এখন আমি বুঝতে পেরেছি, এই মেয়েকে আমি কেন দেখতে পাচ্ছি ছোট্ট বেলায় একজন সাদুবাবা আমাকে বলে ছিল আমার নাকি আলেদা একটা শক্তি আছে । আমি নাকি আশে পাশে অদৃশ্য কিছু দেখতে পাব । আমি সাদু বাবাকে বলে ছিলাম, আমি কি এখন থেকে এসব দেখতে পাব । সাদুবাবা বললো সময় আসলে ঐ বুঝতে পারবি । এখন বুঝতে পেরেছি তার জন্য ঐ আমি আপনার নাত্নিকে দেখতে পাচ্ছি । আমার মনে হয় দাদি এখানে বড় কোন একটা সমস্যা হচ্ছে । আমাদের জংগলের ভিতর যেতে হবে খুব সাবধানে । যানতে হবে ঐখানে কি আছে আর ছেলেটার ঐ বা, কি হয়েছে ছিল? এখন আর ভয় পেলে চলবে না । বেশি দেরি হলে আরো মানুষ এখানে মারা যাবে । দাদি তুমি কি ভয় পাও? কিছু দিন পরেতো মরে ঐ যাবো এখন ভয় পেলে চলবে । তাহলে তোমার একটা কাজ করতে হবে

কি কাজ

তোমাকে ঐ গুহায় কি আছে বা কি হয়, ঐ খবর টা আমাকে এনে দিতে হবে । পারবে দাদি, একটু রিক্স না নিলে তোমার নাত্নির মতো আরো মানুষ এর খক্ষি হবে । পারবো দাদুভাই, এখন বলো আমাকে কি করতে হবে ।

তুমি যাবে ঐখানে দেখবে, আর দেখবে কি হয়, দেখে আমায় মানাবে । পরে দেখ‌ আমি কি করি । কিন্তুু আমার নাত্নি যে ঐখানে দারিয়ে আছে । ওর সামনে দিয়ে কি ভাবে যাবো । আমি যতটুকু বুঝেছি তোমার নাত্নি তোমার কোন ক্ষতি করবে না । কেন না সে এখান থেকে লরতে পারলে আছে তোমার খক্ষি করবে । তুমি খালি বলে যাবে আমি তর ভালোবাসার খুঁজে যাচ্ছি 

দেখবা তোমার নাত্নি বলবে ওকে নিয়ে তারা তারি আমার কাছে আসো । চলো তাহলে দাদি আর দেরি করা ঠিক হবে না । রাত হবার আগে ঐ আমাদের এই কাজ শেষ করতে হবে ।

দাদি কে নিয়ে আবার দাদির নাত্নির কাছে গেলাম । দাদাকে বললাম কোন কিছু না বলে তুমি হাঁটতে শুরু করো । দাদা কোন কিছু না বলে সুজা হাঁটতে শুরু করলো । মেয়েটির সামনে যেতেই, মেয়েটি বলল তুমি আবার এখানে এসেছো দাদি । তোমাকে না আমি না করেছি এখানে আসতে । তখন দাদি বললো তুই আমাকে মেরে ফেল সমস্যা নাই । কিন্তুু আমাকে আগে দেখতে দেয় । ছেলেটার কি হয়েছে, আমি ছেলেটাকে তর কাছে নিয়ে আসতে যাইতেছি । তখন মেয়েটি বললো সত্যি দাদি তাহলে যাও আমি তোমাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতো । দাদি চলে গেল আর না আসা পর্যন্ত আমি দাদির জন্য অপেক্ষা করে আছি । অনেক সময় হয়ে গেল দাদি আসছে না । সান্দা নিমে আসছে, এখনো দাদি আসছে না কেন, তাহলে কি দাদি কোন বিপদে পরলো নাকি । আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম দাদির জন্য । কিন্তুু দাদি আসলো না । এখন রাত ও হয়ে গেছে আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে বিপদ আস্তে‌ পারে । কালকে দেখবো কি হয়েছে? আমি বাড়িতে চলে যাই এখন । আমি আমার সাইকেল নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম । আস্তে মা অনেক বকা বকি করো, বললো তুই সেই সকালে বাড়ি থেকে বের হইছোত । সারাদিন কাথায় ছিল, আমি তোর বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেছি তারা বললো তুই নাকি কোন মেয়েকে দেখতে পাচ্ছিস । বল আমাকে সব কিছু খুলে । মা ওরা তোমাকে মিথ্যে বলেছে । তাহলে তুই সারা দিন কই ছিল বল । তোমাকে আমি পরে সব কিছু বলবো । এখন আমি অনেক ক্লান্ত আমাকে একটু রেস্ট নিতে দেও, তাহলে খাবার টা খেয়েযা । সারা দিন কি খেয়েছিস কে যানে । আমি এখন কিছু খাবো না, আমি আমার রুমে চলে এলাম বুঝতে পেরেছি মা আমাকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করছে । কিন্তুু আমি এখন আর কিছু ভাবতে পারিনা শুধু চিন্তায় আসছে । দাদির কি হয়েছে, সে কি কোন বড় বিপদে পড়েছে । আমার কিছু ঐ ভালো লাগছে না । আজকে রাতে মনে হয় আর দুচোখে ঘুম আসবে না । আমি খুব ক্লান্ত তার পরে ও আমার খিদে ও লাকছে না আবার ঘুরে ও ধরছে না । আমার শুধু চিন্তা হচ্ছে দাদির সাথে কি ঘটেছে?

সারা রাত দূষচিন্তা করেছি একবার এর জন্য দুচোখের পাতা এক হয়নি । সকাল হয়ে গেল কিন্তুু আমার ঘুম আসলো না । সকাল হতেই আমি বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম, কাউকে কিছু না বলে । যানি বাড়িতে বলে বের হতে চাইলে মা আমার পিছু নিবে, তখন হবে আরো বড় সমস্যা । তাই কাউকে কিছু না বলে বের হচ্ছি । সবাই এখন ঘুমাচ্ছে এই কিছুক্ষণ হলো সকাল হলো‌ । চোপ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলাম । এসেই সাইকেল নিয়ে একটা টান দিলাম । আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম দাদি কি ঠিক আছে । ভাবতে ভাবতে চোখে পরলো, দেখলাম দাদি রাস্তার পাশে একটা গাছের নিচে বসে আছে । আমি তারা তারি সাইকেলটা একটা গাছের সাথে তালা মেরে দাদির কাছে গেলাম । দাদি তখন খুব জোরে জোরে কানতে লাগলো, আমি দাদিকে বললাম কালকে রাতে তোমার সাথে কি ঘটছে, তুমি আসলে না কেন । আর সারা রাত তুমি কোথায় ছিলে ।

দাদি বললো আমার জীবনে আমি এতো ভয়ংকর জন্তু জানোয়ার দেখিনি । সে ঐ আমার ছেলে মেয়ে ও আমার ছেলের বউকে খেয়েছ । এবং আমার নাত্নির ভালোবাসাকে ও খেয়েছে 

কি বলছো দাদি তুমি বুঝলে কি ভাবে?

দাদি আবার ও বললো আমি যখন ঐ গুহায় গেলাম, দেখতে পেলাম অনেক ভয়ংকর প্রাণী যার বর্ননা আমি দিতে পারবো না । সে সেকেন্ড এর ভিতরে মানুষ মানুষকে ছিরে খেয়ে ফেলবে । আমি দেখলাম আমার ছেলে ও মেয়েদের কিছু জিনিস পত্র । এবং আমার নাত্নির ভালোবাসার মানুষ এর পরে আশা কাপড় গুলো । আর সে খুব ভয়ংকর ভাবে অন্য প্রাণীদের ধরে ধরে খাচ্ছে । আমি তার গুহায় ঐ ছিলাম কিন্তুু সে আমাকে দেখতে পায়নি 

দাদি এসব কথা কি আপনার নাত্নিকে বলেছেন 

দাদি বললো আমি এসব কথা তাকে বলতে পারবো না । সে খুব ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে এমন কি আমাদেরকে সে মেরে ও ফেলতে পারে ।

দাদি এই ভাবে ভয় পেলে চলবে না, পরে এই জানোর আমাদের বাড়ি ঘরের মানুষদের খেতে শুরু করবে ‌। তার আগে ঐ এই ভয়ংকর প্রাণীটাকে আপনার নাত্নিকে দিয়ে মেরে ফেলতে হবে 

কিন্তুু আমার নাত্নিকে কি ভাবে বললো । ও যদি যানে তার ভালোবাসার মানুষটি আর বেঁচে তাহলে সে কি যে করবে । সে ওতো বেঁচে নেই 

দাদি তুমি গিয়ে বলবে তাকে ঐ প্রাণীটা ধরে আটকে রেখেছে । তাহলে ঐ ছোটে যাবে তাকে বাঁচাতে । যাও তারা তারি আর সময় নষ্ট করো না দাদি 

দাদি গিয়ে তার নাত্নিকে সব কিছু খুলে বললো আমি যে ভাবে বলেছি । কিন্তুু তার নাত্নি এসব কি মানতে চায় না । শুধু বলে আমি তার অপেক্ষায় আছি সে অবশ্যই আসবে ।

এবার আমি সাহস করে তার কাছে গেলাম এবং বললাম, আপনি কি চান না আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বাঁচাতে । মেয়েটা বললো কে তুমি, আমি বললাম আমি আপনার ভালোবাসার মানুষের বন্ধু । আমার মন বলেছে তার কোন বিপদ এসেছে, এই জন্য আমি ছুটে এসেছি । আপনি দয়া করে তারা তারি এই গুহায় যান এবং আমার বন্ধুকে বাঁচান 

এবার মেয়েটি বললো' আমি যাচ্ছি গিয়ে যদি ওকে না পাই তাহলে তোদের দুজন এর মৃত্যু আমার হাতে হবে বলে দিলাম ।

আমরা বললাম আমরা ও আপনার সাথে আসতেছি 

আমরা ও গেলাম মেয়েটির সাথে । গুহায় গিয়ে দেখলাম ছেলেটির কিছু কাপড় পরে আছে মাটিতে, কপড়ে রক্ত মাখা ছিল । তখন আমি বলতে লাগলাম আমার বন্ধুকে মেরে খেয়েছে ঐ জানোয়ার টা, তাকে বলে ছিলাম এই রাস্তা দিয়ে শহরে না যেতে । সে সবসময় এই রাস্তা দিয়ে ঐ শহরে যেত । আমার কন্না দেখে মেয়েটি বুঝতে পারলো সত্যি সে আমার বন্ধু ছিল । কিছু কখন পর ঐ প্রাণীটা আসলো এবং আমাদের দেখে যাপিয়ে পরতেই মেয়েটা তাকে ধরে ফেললো । আর বললো তুই আমাকে মেরে খেয়ে ছিলি । আমার ভালোবাসাকে খেয়ে ছস এখন আবার আমার দাদি ও এই ছেলেটাকে খাইতে চাইছোস । মর তাহলে এখন তুই, তকে মেরে ঐ আমি আমার ভালোবাসার মানুষ এর কাছে চলে যাবো । হয়তো সে আমার অপেক্ষায় আছে?

মেয়ে টা তাকে খুব ভয়ংকর ভাবে মারলো, দেখে মনে হলো এই মেয়ের কথায় সব কিছু উটা বসা করছে । এখন ঐ প্রাণীটা মরে পড়ে আছে । মেয়ে টা আমাদের বললো, আমি আপনার বন্ধুর কাছে চলে যাচ্ছি আর কখনো ফিরে আসবো না ।

দাদি কে বলে গেলো, দাদি আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও । আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, এখন আমি চলে যাচ্ছি আর কখনো ফিরে আসবো না । তুমি ভালো থেকো, তোমার নিজের যত্ন নি ও । তখন দাদি আবার ও কন্না শুরু করে দিল । তার নাত্নি এবার সত্যি সত্যি ঐ চলে গেল আর কখনো মনে হয় ফিরে আসতে পারবো না । দাদি আমাকে বললো তুই আমাকে মিথ্যা কথা বললি কেন, ঐ ছেলেটাযে তোর বন্ধু ছিল ‌। আমি বললাম আরে দাদি এই কথাতো আমি তুমার নাত্নিকে, এখনে আনার জন্য বলেছি যে । আমরা দুজনে যার যার বাড়িতে চলে গেলাম ।

এখন আমি আবার প্রতিদিন সকালে বিকালে এখান দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাই । এখন আর মেয়ে টাকে দেখতে পাইনা, সত্যিই মেয়েটার আত্মা মুক্তি পেয়ে গেছে 

কি আপনাদের মধ্যে কেউ আবার কোন মেয়েকে, দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন নিতো ।