জীবন যুদ্ধের গল্প
স্বামী: বাবা মায়ের মৃত্যুর পর একমাত্র সংগী ছিলে তুমি। আমার সব দুঃখ-কষ্ট একমাত্র তুমিই বুঝতে। যতই দুঃখ কষ্ট আসত আমাকে একা রেখে চলে যেতে না। সব সময়ই আমার পাশে থাকতে, ঠিক ছায়ার মতো ঐ। জীবনে আমরা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতাম না। কিন্তুু কখনো ভাবিনি মৃত্যু আমাদের-কে এভাবে আলাদা করে দিবেন।
এক কাল বৈশাখী ঝড় এসে আমার থেকে তোমাকে আলাদা করে দিল। আমি তোমাকে হারিয়ে ফেললাম, আমি বড় একা হয়ে গেলাম। পায় সময় তোমার কবরের পাশে বসে থাকতাম। আর মনে মনে ভাবতাম তুমি আমার পাশে ঐ আছো। এই আশায় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিব, ভেবে ছিলাম। কিন্তুু আজ মনে হয় আমার এই ইচ্ছাটা ও পুরন হবে না।
তোমার মৃত্যুর পরে, তোমাকে একটা নদীর পাড়ে কবর দেয়া হয়েছিল। আর কোন উপায় ও ছিল না। এই গ্রামে শুধু মাত্র একটাই গোরস্হান, আজকে আমি তোমার কবরটি ও হারিয়ে ফেলছি। তোমার কবরের পার আস্তে আস্তে ভাংতে শুরু করেছে। হয়তো এটাকে ও আমি হারিয়ে ফেলবো। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও।
একটা মানুষ ৪০ থেকে পঞ্চাশ বছর একসাথে থাকার পর, হটাৎ করে চলে গেল কেমন লাগে, তাও আবার সারাজীবনের জন্য, ভাবলে কষ্টে চোখে পানি চলে আসে।
পৃথিবীর সমস্ত স্বামী স্ত্রীর এমন কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ পাক দান করুন । আমীন