স্বামী স্ত্রীর গল্প ভালোবাসার | স্ত্রী যখন স্বামীর ভালবাসা বুঝতে পারে এবং তাকে জীবন মরণের সাথী মানে

স্বামী স্ত্রীর গল্প

স্বামী স্ত্রীর গল্প

স্ত্রী:
বসে আছে রাস্তায় গেটের সামনে। সে বুঝতে পারেছে স্বামী ছাড়া তার আর কোনো আপন মানুষ নেই। হয়তো স্বামী তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এই জন্য সে স্বামীর বাড়ির গেটের সামনে বসে আছে। সে শিকার করেছে সে ভুল করেছে,‌‌ এখন যদি তার স্বামী তাকে ক্ষমা না করে তবে তার। তাহলে আর তার কোন করার থাকবে না। এমন ভুল করলে কোন স্বামী ঐ তার স্ত্রীকে ক্ষমা করবে না। স্ত্রী বসে আছে রাস্তায়, কিছুক্ষণ পর গেটের দারোয়ান আসলো আর বললো।

গেটের দারোয়ান:
মা তুমি কি সত্যি আমার স্যারকে ভালোবাসো, না কি আবার আমার স্যারকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এসেছ। তুমি একটু বুঝতে চেষ্টা করো মা এসব করে তুমি কি পেয়েছো। আমার স্যার ভালো মানুষ তাই সে তোমার কোন ক্ষতি করে নাই। অন্য কেউ হলে এতোক্ষণে তুমি থানায় থাকতে। এখন ও সময় আছে তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমার স্যারকে আর কোন কষ্ট দিওনা। তোমার কাছে আমি দুহাত জোর করছি তুমি চলে যাও।

স্ত্রী: দারোয়ান কাকা বিশ্বাস করো আমি এখন আমার স্বামী ছাড়া দুনিয়ার আর কিছু চাই না। আমি এখন বুঝতে পেরেছি আমার দুনিয়াতে একমাত্র স্বামী আমার আপনজন। আমি তাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আমি যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমার স্বামী চাই। দারোয়ান কাকা আমি মরে যাবো কিন্তুু এখান থেকে যেতে পারবো না। তার থেকে ভালো হবে, আপনার স্যারকে বলোন আমাকে মেরে ফেলতে। আমি তাকে ছাড়া আর কোন কিছু বুঝি না দুনিয়ার। উনি আমাকে যেই ভাবে রাখবে আমি সেই ভাবে ঐ থাকবো, আমাকে মাটিতে রাখলে আমি মাটি ঐ থাকবো আর পাষাদে রাখলে আমি পাষাদে ঐ থাকবো। আমার স্বামী যে ভাবে রাকতে চায় আমি উনার সাথে সেই ভাবে ঐ থাকবো।

গেটের দারোয়ান:
দেখো মা এসব কথা আমাকে বলে কোন লাভ নেই। এসব কথা তুমি তোমার স্বামীকে গিয়ে বলো। আমি এখানে কাজ করি, মালিক যে ভাবে বলে আমি সেই ভাবে ঐ কাজ করি। আমার মনে হয় তোমার এখান থেকে চলে যাওয়া ঐ ভালো হবে। স্যার রেগে গেলে আবার সমস্যা হবে, তুমিতো বুঝতে ঐ পারছো স্যার আর এখন আগের মতো নেই। উনি এখন খুব কঠিন হয়ে গেছে, উনাকে বুঝানো এখন আর সহজ না। তাছাড়া তোমাকে আমি সব কিছু বলছি, স্যার এর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। উনি এখন ঐ মেয়েকে ছাড়া তোমাকে কি ভাবে গ্রহন করবে। আর স্যারতো তোমাকে এখন ভালোবাসেতো ধুরের কথা তোমার নাম ও শুনতে পারে না।
আর তুমি এভাবে থাকলে এমনিতেই মরে যাবে। তুমিতো আসার পর থেকে কোন কিছু খাওনি। আগে কিছু খেয়ে নাও মা পরে স্যার এর কথা বইলো।

স্ত্রী: 
আমার স্বামী তখন পর্যন্ত আমাকে ক্ষমা না করবে আমি এখান থেকে যাবো ও না আর কিছু খাবো ও না। তাঁতে আমার মৃত্যু হলে হক। আমি হাশি মুখে তা মেনে নিব। আমি আমার স্বামীকে অনেক কষ্ট দিয়েছি এখন বেঁচে থাকতে সারাজীবন উনার পাশে থেকে, উনার সেবা যত্ন করে মরতে চাই। আমি আর কিছু চাই না এই জীবনে, আমার স্বামীকে বলো আমার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিতে, আমাকে যেন‌ আর একটা সুজুক দেয়। তা নাহলে আমি এখানে ঐ আমার প্রাণ দিয়ে দিব।

গেটের দারোয়ান:
মা আমি বুঝতে পেরেছি তুমি স্যারকে এখন খুব ভালোবাসো।

কিন্তুু স্যার সেটা বুঝবে না। স্যার এখন যানে তুমি একটা খারাপ মেয়ে, তোমার বান্ধবী স্যার এর কাছে এসে সব কিছু বলেছে। তুমি কার সাথে এতো দিন ছিলে, সব কিছু যানে স্যার, এতো কিছু দেখার পরে ও কোন স্বামী সজ্য করতে পারবে না। আমার স্যার ও সজ্য করে করতে পারে নাই। তুমি এতো কিছুর পরে তাকে কি ভাবে মানাবে মা।


স্ত্রী: দারোয়ান কাকা আমি আর কখনো এমন ভুল করবো না। আমার স্বামীর সাথে একটা ভাবের জন্য কথা বলিয়ে দিন। আমি উনার দুই পায়ে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইবো। হয়তো সে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমি আমার স্বামীর কাছে থাকতে চাই আমি আর কিছু চাই না। আমাকে আমার স্বামীর কাছে নিয়ে যান। তাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।

দারোয়ান কাকা:
সকাল হয়ে গেছে মা তুমি বুঝার চেষ্টা করো। স্যার এসে দেখলে আমার চাকরি থাকবে না। স্যার যখন বাহিরে আসবে তখন তুমি তার সাথে কথা বইলো। আমি এখন ভিতরে যাচ্ছি তানা হলে স্যার দেখলে সমস্যা হবে। আমি ভিতরে আসলাম, স্যার আমাকে যা যা বলছে আমি তাই তাই করেছি। স্যার আমাকে বলে ছিল আপনি তার কাছে যাবেন এবং আমি আপনার আর তার কথা সব কথা শুনবো। সে আসলে আমাকে সত্যি চায় না কি না। তুমি শুধু তার সাথে কথা বলবা ও আমার সাথে যা যা করেছে সব। এবং আমি তাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি এই কথা বলবে। তোমার মতো করে তুমি বলবে। আমি স্যারের কথা মতো ঐ এসব বলছি। আমি আবার স্যার এর কাছে গেলাম এবং স্যারকে আমি বললাম: মেয়েটা মনে হয় তার ভুল বুঝতে পেরেছে তাকে আপনি ক্ষমা করে দিন। তখন স্যার বললো অবশ্যই তাকে আমি ক্ষমা করে দিব আমি ও তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তার পরে ভালো ভাবে দেখে নেই। আমি আবার দ্বিতীয় বার ধোঁকা খেতে চাই না। আমি স্যারকে বললাম: আমার মনে হয় না মেয়েটা আবার দ্বিতীয় বার এই ভুল করবে। স্যার বললো আর কিছু দিন দেখি মেয়েটা কি করে।

আমি আবারো স্যারকে বললাম মেয়েটা কালকে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই খায়নি, তখন স্যার নিচে গেলো।

স্বামী: এই মেয়ে এইদিকে আসো তোমার সাথে আমার কথা আছে। তোমার বেগ সব কিছু নিয়ে আসো।

স্ত্রী: তখন পাগলের মতো ছুটে এলো।

স্বামী: আসো আমার সাথে, তোমার সাথে আমার কথা আছ। দারোয়ান কাকা কই তুমি এদিকে আসো। আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসো আমরা দুজন একসাথে নাস্তা করবো। এই মেয়ে চলো আমার সাথে। আসো বসো এই ডাইনিং টেবিলে। তুমি এখন কিছু বলবা না। আগে নাস্তা করবা পরে সব কিছু, বলবা ওকে।

স্ত্রী: কিছু বললো না শুধু বললো ওকে। আপনি যা বলবেন আমি তাই শুনবো ।

পরের পর্ব....