স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প | স্বামী স্ত্রীর শিক্ষামূলক পোস্ট ২০২৩

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

 স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

একজন স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতিদিন নির্যাতন করতো। অনেক মার-ধোর করতো কখনো তাকে ভালোবসতো না, সব সময় তাকে অপছন্দ করতো কিন্তুু তার স্ত্রী দেখতে খুব সুন্দরী ঐ ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো, তার স্ত্রী তার জন্য সব সময় দোয়া করতো। সে কোন যৌতুক বা টাকা পয়সা পাবার জন্য তার স্ত্রীকে মারধর করতো না। তার স্বামীর টাকা পয়সার কোন অভাব ছিল, তার স্বামীর এতো টাকা পয়সা ছিল যে সারাজীবন বসে বসে খেলে ও তার টাকা পয়সা শেষ হবে না। কিন্তুু তার স্বামী তাকে কেন মারতো তাহলে? 

স্ত্রী তার এতো নির্যাতন এর পরে ও তাকে ছেড়ে যেতনা। তার স্বামীকে সে খুবই ভালোবাসতো। কিন্তুু তার পরে ও তার স্ত্রীকে সে পছন্দ করতো না। সব সময় মদ খেয়ে ও জুয়া খেলে বাড়িতে আসতো। আর তার স্ত্রী শুধু তার স্বামীর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে যেত। আল্লাহ পাক যেন আমার স্বামীকে খারাপ কাজ গুলো থেকে হেফাজত করে, সব সময় এই দোয়া করতো। কিন্তুু তার স্বামী কখনো তার স্ত্রীর ভালোবাসা বুঝতে চেষ্টা করতো না। এসে ঐ তাকে বকা-বাজি করা শুরু করতো, কিন্তুু সে তার স্বামীর মুখে মুখে কখনো কিছু বলে নাই, সে শুধু মনে মনে চিন্তা করতো আল্লাহ পাক একদিন অবশ্যই আমার স্বামীকে ভালো করে দিবেন। এই আশায় ঐ থাকতো তার স্ত্রী।

একদিন কি হলো তার স্বামী বাহির থেকে কার সাথে যানি ঝগরা করে এসে তার স্ত্রীকে এমন ভাবে মারলো। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে লাগলো। তার এতো সুন্দর সাদা শরিলটা মারের চোটে লাল হয়ে গেল। এতো সুন্দর মেয়েটাকে এমন ভাবে মেরেছে। এতো সাদা শরিলটা কিছু কিছু জায়গায় কালো দাগ হয়ে গেছে। মেরে মেয়ে টাকে একটা রুমে বন্ধি করে রাখলো। তার শরিল এর মারের দাগ যদি কেউ দেখতো, তাহলে সে ও সজ্য করতো না, এমন মার মেরেছে।

এতো মার খেয়ে ও তার স্বামীকে ফেলে সে যায়নি। কিন্তুু এতো মারার পর ও তার স্বামী তাকে একবারের জন্য বলে নাই, তুমি ঠিক আছো কি না, ক্ষমা বা তার স্ত্রীর কাছে যাইনি। খুব পাষান মনের মানুষ ছিল তার স্বামী। তার মনে তার স্ত্রীর জন্য কোন মায়া দয়া ছিল না। সে দিন দিন খুব পাষান হতে লাগলো। সে বুঝতে পারছে না এমন স্ত্রী পাওয়া খুব ভ্যাগের বেপার। তার এতো নির্যাতন সহ্য করে ও আল্লাহ পাক এর কাছে তার জন্য দু-হাত তুলে দোয়া করতো, তার ভালো জন্য।

আবার একদিন তার স্বামী খুব রাগা রাগি করে বাসায় এলো। শরিলে অনেক রাগ হতো আজকে তার স্ত্রীকে মেরেই ফেলবো। কিন্তুু তার স্বামী আজকে একটু তারা তারি ঐ বাড়িতে চলে এলো। তখন দেখলো স্ত্রী এশার নামাজ আদায় করে দোয়া করছে। এ আল্লাহ আপনি আমার স্বামীর সব সময় ভালো কইরেন, আমাকে কষ্ট দিয়ে হলে ও আমার স্বামীকে আপনি ভালো রাইখেন। আমার স্বামীর সমস্ত গুনাহ গুলো মাফ করে দেন। আমার স্বামী যেন সব সময় সুখি থাকে, এসব দোয়া করা দেখে স্বামীর মন গলে যায়। সে বুঝতে পারে, তাকে আমি এতো মার-দোর করি সে আমার ভালোর জন্য দোয়া করছে। আমি তাকে এতো কষ্ট দেই তার পরে ও সে আল্লাহর কাছে আমার ভালো থাকার জন্য দোয়া করে। আমার জন্য তো তার ভদ-দোয়া করার কথা। আমি আমার নিষ্পাপ স্ত্রীকে এতো দিন, এতো নির্যাতন করেছি। আল্লাহ পাক আমাকে কখনো ক্ষমা করবে না। আর স্বামী সাথে সাথে তৌবা করলো, আর কখনো সে মদ খাবে না জোয়া খেলবে না। সে বুঝতে পারেছে তার স্ত্রীর ভালোবাসা।

তখন স্ত্রী স্বামীর কাছে আসলো এবং বললো আমাকে ক্ষমা করবেন। আমার আস্তে একটু দেরি হয়েছে। আমি নামাজ আদায় করছিলাম। তখন তার স্বামী তার কাছে ক্ষমা চাইলো। স্বামী বললো আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও, এতো দিন আমি আমার ফুলের মত স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছি। স্ত্রী বললো আপনি আমার কাছে ক্ষমা চাইবেন না, আপনি আমার স্বামী আপনার কোন কিছুতেই আমি কষ্ট পাইনি। তখন স্বামী বুঝতে পারলো সে কি পেয়েছে। এবং স্ত্রীকে ঝরিয়ে আর কাঁদতে লাগলো আর বলতে লাগলো। আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিব না। আর কখনো মদ ও জুয়া খেলবো না। তখন স্ত্রী জোরে জোরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে লাগলো। এভাবে এখন তাদের দিন কাটছে। 

স্বামী স্ত্রীর দু-জন ঐ এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। তার স্বামী এখন তাকে খুব ভালোবাসে। মেয়ে টা এই জন্য আল্লাহ পাক এর কাছে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করে। আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করেছেন। এখন তারা একে অপরকে খুব ভালোবেসে। তার স্বামী আর কখনো মদ ও জুয়া খেলে নাই।