আগুন | আগুন কি | আগুনের দিন শেষ হবে একদিন

 সীতাকুণ্ড আগুন

সীতাকুণ্ড আগুন

ইসলামিক বাস্তব গল্প

------আগুন সব কিছু জালিয়ে পুরিয়ে শেষ করে দেয় । যতখন না পুরে ছাই হয়ে যায়। এই আগুন একবার তার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে তাকে কন্ট্রোল করা অসম্ভব হবে পরে। সে শুধু যালাতে ও পুরাতে যানে। সে একবার কিছুতে ধরলে তাকে ঠান্ডা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সে একবার তার বড় আকৃতি ধারণ করলে, তার কাছে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। সে শুধু ছাই করে না মাটির সাথে মিশিয়ে ও দেয়। আর তার ক্ষমতা এতো টাইট যে, সে কাউকে ক্ষমা করতে যানে না। সে একবার কোন কিছুতে উঠে পরলে তার থেকে আর নিচে নামতে চায় না। তার খুব অহংকার সে নিচে নামবে না, সব সময় উপরে থাকবে।

সে শুধু অন্যদের পুরায় না, সে নিজে ও পুরে যায়। বলে না অন্যকে আগুনে পুরালে, সেই আগুনে নিজেকে ও পুরতে হয়। আগুন এর ভেলায় ও ঠিক এরকম ঐ হয়। সে অন্যকে পুরানোর সময় সে নিজে ও পুরে যায়।

সীতাকুণ্ডে এই আগুনে কতো মানুষ এর প্রাণ কেরে নিয়েছে

যে জলে আগুন জ্বলে

এই আগুন কতো মানুষকে পুরিয়ে ছাই করেছে। কতো স্ত্রীর থেকে স্বামীকে কেরে নিয়েছে। কতো মা থেকে তার সন্তানকে কেরে নিয়েছে। এই আগুন কতো বাবা থেকে তার সন্তানকে কেরে নিয়ে।  এই আগুন কতো বোন থেকে তার ভাইকে কেরে নিয়েছে। মেয়ে থেকে তার বাবাকে কেরে নিয়েছে। কতো মানুষ তার হাত পা হারিয়েছে। এখন ও সে খান্ত হয় নাই, দাও দাও করে জ্বলছে।

আজকে যারা এই সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছে।  হয়তো তারা এক একজন পুরোটা সংসার চালাতো। এখন তাদের পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে। কি হবে তাদের, আর যারা হাত পা হারিয়েছে তাদের কি হবে। তাঁরা এখন সমাজের চখে হয়ে যাবে একটা বুঝা। তাঁরা তাঁদের জীবন দিয়ে ও এখন সমাজ তাদের বুঝা মনে করবে। হয়তো সমাজ তাদের একদিন প্রতিবন্ধী বানিয়ে দিবে। হাত-পা লোলা বলে গালি দিয়ে যাবে। একদিন তারা ও হয়তো ভাববে আমি ও যদি মরে যেতাম তাহলে মনে হয় এতো লাঞ্ছিত হতাম না। তার পরিবার ও হয়তো তাকে বুঝা ভাববে। আর যারা এখনো বিয়ে করেননি তাদের কেউ মেয়ে দিবে না, এভাবে তাদের বাকি জীবনটা ও কষ্টে কাটাতে হবে।

সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে দুই দিন ধরে দেখতেছি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা খুব কষ্ট করছে, অনেকে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রথম দিন পায় রাত 2টার সময় আমার হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি ফেসবুক চালু করলাম, 
দেখলাম কিছু মানুষ মোবাইল ফোন দিয়ে আগুন লেগেছে, তার ভিডিও করছে আবার কিছু ভাই আবার লাইফ দেখাচ্ছে ফেসবুক সেগুলো। তখন ঐ বড় একটা বিস্ফোরণ হয়, আমি তখন ও কিছু টা ঘুম ঘুম চোখে ছিলাম। এই বিস্ফোরণ এর ভিডিও দেখে আমার দুচোখে আর ঘুম নেই। আমি সারা রাত ঘুমাতে পারি নাই। শুনেছি যারা লাইফ ভিডিও দেখাচ্ছিলো তারা কেউ এখন বেঁচে নেই। কখন যে কার মৃত্যু চলে আসে কেউ বলতে পারে না। তাঁরা কি যানতো এই লাইফ ভিডিও দেখানোর মধ্যে ঐ তাদের মৃত্যু আসবে।

আগুনে পোড়া ছবি

সীতাকুণ্ডে আগুন এতটা ভয়াবহ ছিলো! মনে হয় ছিল যেন সরাসরি জাহান্নাম থেকে এসেছে। এমন ভয়ংকর ও ভয়াবহ আগুন আর দেখিনি। এতোটা চেষ্টা করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছে, এই ভয়ংকর আগুন নামে মৃত্যু। কাউকে মেরেছে, আবার কাউকে নিঃশ করেছে 

সীতাকুণ্ডে মানুষ এর চিতকার আহা যারি খুব কষ্ট দায়ক। আল্লাহ যেন আমাদের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে কে হেফাজত করে। এবং যারা মৃত্যু বরণ করেছে, আল্লাহপাক তাদের মাফ করে দেন। তাদের যেনো আল্লাহ পাক জান্নাত বাসী করুন।