ভালোবাসার লাল গোলাপ | ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

 গল্পের নাম:ভালোবাসার লাল গোলাপ
লেখক এর নাম-আকাশ খান।

সে-দিন এর কথা আমি আজও ভুলতে পারেনি।
 প্রতিদিন এর মতো আজও সে দারিয়ে আছে শুধু মাত্র একটা বাসের জন্য। আমি প্রথম সে-দিন তাকে এখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখে ছিলাম।
আমি কখনো কোন মেয়ের জন্য পাগল বা মেয়েদের পিছনে ঘুরিনি।
কিন্তুু রিয়াকে প্রথম দিন দেখার পর থেকে আমার দু-চোখে ঘুম নেই।
এমন মেয়ে আমি কখনো দেখিনি, তার চোখ, তার দু-ঠোট, তার চ্যাহারার দিকে তাকালে আমি দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যাই।
আর সে প্রতিদিন লাল শাড়ি না হয় লাল সেলুয়ার কামিজ পরে আসতো।
আমি কখনো লাল কিছু পছন্দ করতাম না, কিন্তুু তাকে দেখার পর থেকে আমার মনে হয়, লাল ঐ আমার জীবনের সব কিছু। ঐ-দিন থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন তার জন্য, একটা করে লাল গোলাপ নিয়ে যেতাম।
প্রতিদিন ঐ গোলাপ তার হাতে দিতাম আর তাকে প্রপোজ করে বলতাম: তুমি আমার ভালোবাসার লাল গোলাপ🌹 প্রথম প্রথম রিয়া অনেক বিরক্ত বোধ করতো। কিন্তুু আস্তে আস্তে সে বুঝতে পেরেছে আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি। রিয়া একদিন আমার হাতে লাল গোলাপ না পেলে থাকতে পারে না।
আজও আমি তার জন্য লাল গোলাপ 🌹 নিয়ে যাই। আর বলি তুমি আমার ভালোবাসার লাল গোলাপ🌹
তখন রিয়া হেঁসে বলে, সত্যিই আমি তোমার ভালোবাসার লাল গোলাপ🌹 আর গোলাপ টাকে বুকে নিয়ে এক চুম্মা দেয়, আর বলে এসব আমি তোমাকে দিয়েছি। আমি তখন রিয়াকে বলি.. তুমি কবে আমার হবে। আমার আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। 
রিয়া তখন রেগে গেলো, আর বললো এই বুকা ছেলে আমি কবে তোমার হয়ে গেছি, আমি নিজে ও যানি না। আর আমার কিছু দিন আছে কলেজর লেখা পড়া। পরে আমি সারাজীবন এর জন্য তোমার কাছে চলে আসবো। এতো দিন আমার জন্য অপেক্ষা করছো, আর সামান্য কিছু দিন অপেক্ষা করতে পারবে না।
আমি তখন রিয়াকে বললাম: সারাজীবন আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে পারবো। শুধু তোমার মুখ থেকে এই কথা গুলো শুনতে চেয়েছিলাম। আজকে আমি পৃথিবীতে সব থেকে খুশি। আমি আমার ভালোবাসার লাল গোলাপ পেয়ে গেছি। আমি আমার ভালোবাসার লাল গোলাপ পেয়ে গেছি। 

আমার এতো খুশি দেখে রিয়া বললো। আচ্ছা আমি যদি কখনো দুনিয়া ছেড়ে দূরে কোথায় চলে যাই, তাহলে তুমি কি করবে। 
রিয়ার এমন কথা শুনে আমার মনে যানি কেমন লাগলো, এমন মনে হলো রিয়া সত্যিই আমাকে ছেড়ে এই দুনিয়া ছেড়ে দূরে, চিরদিন এর জন্য চলে যাবে। 
আমার এমন মন মরা অবস্থায় দেখে রিয়া বললো: আরে বুকা ছেলে আমি তোমার সাথে মজা করছি।
সরি এসব কথা বলার জন্য, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আর বলবো না এসব কথা।
কিন্তুু আমার মন ভালো হলো না।
যেই মেয়ের সাথে থাকলে আমার কখনো মন খারাপ হতো না। আজকে কেন তার দুষ্টুমি করা কথায় আমার এতো কষ্ট লাগছে। তাহলে কি রিয়ার সামনে কোন বিপদ আছে, বা সে কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আমার এমন লাগছে কেন, আমি কিছু বুঝতে পারছি না।
রিয়া এবার রেগে গেলো, আর বললো আমি সরি বললাম-তো আর কখনো বলবো না এসব কথা, আবারো সরি বললাম। আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ। 
এবার আমি হাঁসি দিয়ে বললাম। এসব কথা আর কখনো বলবা না, আমি তোমাকে ছাড়া কখনো থাকতে পারবো না।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, রিয়ার জন্য বের হলাম। আজকে মনের ভিতরটা কেমন যেনো লাগছে, মনে হচ্ছে আমি কিছু একটা হারিয়েছি।
আমার মনে হলো রিয়ার কথা, দৌড়াতে শুরু করলাম।
সামনে যেতেই দেখলাম, একটা মেয়ের দেহটা কতজন লোক এম্বুলেন্সে, আমার বুঝতে আর বাকি রইল না যে এটা রিয়া।
ঐ-দিন এর এক্সিডেন্ট পর, রিয়াকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।
এখন আমি রিয়ার কবরের পাশে বসে আছি, হয়তো একদিন রিয়ার কবরের পাশে আমিও ঘুমাবো।
আর এটাই আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা।