প্রপোজ করে ভালোবাসার জীবন সঙ্গী | প্রপোজ করার পিক

প্রপোজ করার পিক

প্রপোজ করার পিক

সেদিন তোমার জন্য রেডি হয়ে বসেছিলাম- যতো কষ্টই হোক তোমাকে আজকে প্রপোজ করবোই। এসব ভেবে ভেবে আমার সারা শরীর কাপতে শুরু হলো। আর মনে কিছু ভয় ও আছে যদি তুমি আমাকে না করে দাও। তাহলে আমার এই মুখ আর কখনো তোমাকে দেখবো না। এসব চিন্তা করতে করতে হঠাৎ মোবাইলে একটা ফোন আসলো।

ছোট বোন এর ফোন ছিল ও আমাকে বললো তুই রেডি। আমার এমন মনে হলো যে আমার প্রপোজ করার আগে ঐ তার কিছু হয়ে গেছে। প্রপোজ করার জন্য আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।

ও ছিল আমার ছোট বোন এর বান্ধবী। আমি তাকে প্রথম আমার ছোট বোন এর সাথে দেখেছিলাম। তখন আমি তাকে প্রথম দেখায় পছন্দ করে ফেলি। তখন থেকে অনেকবার চেষ্টা করেছি প্রপোজ করার কিন্তুু ব্যর্থ হই।


আজকে লাস্ট চান্স- হয়তো আজকে না বলতে পারলে আর কখনো বলতে পারবো না। তাই আমি আজকে যতো কষ্টই হোক না কেন, প্রপোজ করবোই। এখন ও আমার শরীর কাঁপছে সত্যি কি বলতে পারবো।

আবার ছোট বোন এর ফোন এলো, এবার সে বললো ভাইয়া আমার বান্ধবী বাড়িতে এসে পরেছে তুই রেডি থাকিস কিন্তুু। আজকে না বলতে পারলে তুই আমার বান্ধবীকে আর দেখতে পারবি না। তাই আজকে তোর শেষ চান্স ভাইয়া বলেদে।

 আমার ছোট বোন আমাকে বলেছিলো ও নাকি দেশের বাহিরে চলে যাবে। তাই আজকে ঐ বলতে হবে, যদি ও আমার প্রপোজ একসেপ্ট করে তাহলে হয়তো দেশের বাহিরে যাবে না। আর আমার বাড়ির সবাই যানে আমি যে তাকে পছন্দ করি। মা ও তাকে খুব পছন্দ করে, ও আমার ভালোবাসা একসেপ্ট করলেই ডাইরেক বিয়ে। আমার ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা আমি ভালোবেসে বিয়ে করবো। তা নাহলে বিয়ে করবো না, এজন্য বাবা মা আমার জন্য কোন মেয়ে দেখে নাই।

আমার ছোট বোন এর বান্ধবীকে বাবা মা খুব পছন্দ করতো। আমি সবাইকে বলছি আমি নিজে কোন মেয়েকে ভালবেসে রাজি না করা পর্যন্ত বিয়ে করবো না। আমার বাবা মা আমাকে ছোট বেলা থেকেই খুব, আদর করে বড় করেছে। তাই আমার কোন মনের ইচ্ছা ও পূরণ করে নাই তারা। এজন্য আমি নিজে তাকে রাজি না করা পর্যন্ত, কেউ তাকে কোন কিছু বলতে পারছে না।

আর কালকে সে চলে যাবে বলে, মা-বাবা তাকে দাওয়াত দিয়েছে। তাই আজকে ঐ আমার শেষ চান্স। আমি আর কিছু চিন্তা করতে পারলাম না। সুজা আমার ছোট বোন এর রুমে চলে যাচ্ছিলাম। ছোট বোন তখন রুম থেকে বের হয়ে বললো। ভাই আমার বান্ধবীকে ঘরে বসিয়ে দিয়ে এসেছি তারা তারি গিয়ে বলেদে।

সাহস করে গেলাম গিয়ে দেখি ও খাটে বসে আছে, আমাকে দেখে মাথা নিচু করে ফেলছে। আমি ও গিয়ে তার পাশে বসে পড়লাম, আর তার কানের কাছে গিয়ে বললাম (I Love You) ও আমার কথা শুনে অন্য রুমে চলে গেল। তখন আমি আমার ছোট বোনকে ডাকলাম, ছোট বোন বললো: তুই কি ভাবেছিলি আমার বান্ধবী তকে পছন্দ করে নাই। তার জন্য ওখান থেকে চলে এসেছে, আসলে তা নয়।

ও তকে আগে থেকেই পছন্দ করে। বাবা-মা তার বাবা-মার সাথে আগেই তোর বিয়ে ঠিক করে রেখেছে। আমরা শুধু তোর প্রপোজ করার অপেক্ষায় ছিলাম। তুই বলে প্রপোজ করে রাজি না করা পর্যন্ত বিয়ে করবি না? এখনতো করবি। যা এখন গিয়ে আমার বান্ধবীর শরম লজ্জা ভেঙ্গে দিয়ে আয়। আর ও কোন দেশের বাহিরে যাচ্ছে না, সব তকে আমরা মৃথ্যে বলছি। যাতে তুই তারা-তারি প্রপোজ করছ।

কি সব সত্যি ও আমাকে আগে থেকেই পছন্দ করে। তাহলে আমার শরীর কাঁপছে কেন। এখন আর কাপবে না, দেখ এখন আমি গিয়ে কি করি ।

আমি গিয়ে সরাসরি তাকে জড়িয়ে ধরলাম, আর বললাম চলো আমরা বিয়ে করে নেই। তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি।

ও বললো: আমি সেই প্রথম দিন থেকেই আপনাকে পছন্দ করি, শুধু এতো দিন আপনার প্রপোজ করার অপেক্ষায় ছিলাম। আপনার বাবা-মা ও আমাকে পছন্দ করে, তারা ও চায় আমাকে আপনার বউ হিসাবে দেখতে।

আমি তাকে বিয়ে করে ফেলছি, এখন মনে হয় আমার স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। আমি আমার বাবা-মা আর ও ছোট বোনকে নিয়ে খুব ভালো আছি। আর ছোট বোন এর জন্য বিয়ের সম্বন্ধ দেখছি। ওকে ভালো একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে পারলে ঐ  সবাই শান্তি।

সত্যি কারের ভালোবাসার গল্প