রহস্যময় গল্প | মেয়েটির সন্তান না হওয়ায় কি ঘটেছিল তার সাথে ও তার স্বামীর সাথে

রহস্যময় গল্প

রহস্যময় গল্প

ভয়ংকর ভুতের গল্প
আমেরিকায় একজন মহিলার ১০বছর ধরে কোন সন্তান হয় না। সে সন্তান এর আশায় থাকতে থাকতে পাগল হয়ে যায়। ডাক্তার বলে ছিলো তার সন্তান জন্ম নেয়ার থলি নষ্ট হয়ে গেছে। সে আর কখনো সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। তার স্বামী তাকে খুব ভালোবাসতো, তার এ অবস্থা দেখতে না পেরে প্রতিদিন তার জন্য একটা একটা করে পুতুল নিয়ে আসতো। পুতুল গুলো দেখতে পায় মানুষ এর বাচ্চাদের মতো, দেখতে লাগতো এবং পুতুল গুলো বেটারি সিস্টেম ছিল। এই জন্য পুতুল গুলো কে তার স্বামী অটো করে দিয়ে অফিসে চলে যেতো।
মেয়েটি পুতুল গুলো কে তার সন্তান ভেবে সারা দিন কাটিয়ে দিতো।
মেয়েটি রাতে ঘুমানোর সময় পুতুল গুলোকে তার সন্তান ভেবে পাশে নিয়ে ঘুমাতো। পুতুল গুলো ও দেখতে তার সন্তানের মতো থাকতো। এভাবে তার জীবন চলতে থাকলো। প্রথম অবস্থায় যে কেউ দেখতো মনে করতো সত্যি  তার সন্তান এই পুতুল গুলো।
ভয়ংকর ভুতের গল্প
মেয়েটি এভাবেই আরো ভাবতে শুরু করে দিল সব পুতুল গুলো তার সন্তান।
মেয়েটি এভাবে অনেক জন সন্তানের মা হয়ে গেলেন।
একদিন অনেক বয়স্ক এক মহিলা তার স্বামীর খোঁজে তার বাড়িতে এলো। তার সাথে নাকি অফিসের কি একটা কাজ ছিল। মহিলাটি চোখে একটু কম দেখতো। মহিলাটি তার বাড়িতে এসে দেখতে পেলো তার অনেক গুলো সন্তান। তার পরে মহিলা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো এরা কি তোমার সন্তান। মেয়েটি বললো হুম এরা সবাই আমার সন্তান। কারণ মেয়েটি ও জানতো তারা সবাই তার সন্তান।
মহিলার এসব দেখে খুব হিংসা হলো সে মনে মনে ভাবতে লাগলো। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তারা কি ভাবে এতো জন সন্তান জন্ম দিতে পারে। মহিলাটি এখান থেকে চলে গেলো, আর বললো পরে আবার এসে তার স্বামীর সাথে কথা বলবে।
মহিলা এসব কথা মানুষদের সাথে বলতে লাগলো। তার পর মানুষ একজন আরেকজনের সাথে এসব কথা বলতে লাগলো। এভাবে কয়দিনে পুরো শহরে এই কথা ছরে গেল।
আমেরিকার সরকার এর নির্দেশ ছিল যে। আমেরিকায় জন সংখ্যা বেড়ে যেন না যায় তার জন্য একজন এর বেশি সন্তান জন্ম না দেওয়ার, নির্দেশ ছিল সরকারের। যে এই নির্দেশ না মানবে তাকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি দিতো তখন কার সরকার।
ভুতের গল্প
সরকার এর কর্ম চারি থেকে শুরু করে সবার কাছে এই খবর পৌছালো। এবং সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় তার স্বামীকে আগে পুলিশ তার অফিস থেকে ধরে নিয়ে গেলো, মেয়েটির স্বামী পুলিশ কে অনেক বুঝানো চেষ্টা করলে ও তারা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এবং তারা মেয়েটির বাড়িতে আসলো। পুলিশ মেয়েটিকে বললো সরকার এর নির্দেশ আপনার সমস্ত সন্তানদের সরকারি বাসস্থান নিয়ে যেতে। সরকার তাদের বরন-পুশন এর দায়িত্ব নিবে।
মেয়েটি বললো আমি আমার সন্তানদের কারো কাছে নিয়ে যেতে দিবো না। পুলিশ তখন অনেক জোর জবরদস্তি করে, তার সন্তানের খোঁজা খুঁজি করতে শুরু করে দেয়। পুলিশ তখন দেখতে পায় এখানে কোন বাচ্চা নেই শুধু অনেক গুলো পুতুল। তারা ভাবলো মেয়েটি হয়তো বাচ্চাদের লুকিয়ে রেখেছে। তাই তারা পুতুল গুলো কে সাথে করে নিয়ে যায়। আর মেয়েটি কে ছেড়ে দেয়।
বাংলা ভুতের গল্প
পুলিশ গুলো ভেবে ছিলো পুতুল গুলো নিয়ে যাই পরে তাদের সন্তানদের ধরবো। সরকার এর করা নির্দেশ আজকের ভিতরে তাদের না নিয়ে গেলে কারো চাকরি থাকবে না। তাই তারা ভাবলো পুতুল গুলো কে বাচ্চা বানিয়ে চালিয়ে দিবে, যাতে তাদের চাকরি চলে না যায়। তারা পুতুল গুলো সংগে করে নিয়ে গেলো থানায়।
ঐ দিকে মেয়েটা তার বাচ্চাদের না পেয়ে পাগলামী করতে শুরু করে দিল। বাচ্চা বলতে ঐ পুতুল গুলো কে, যা মেয়েটি তার সন্তান মনে করতো। মেয়েটি পাগলামি করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আর তার রোড এক্সিডেন্ট হয়ে যায় সে সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই মারা যায়।
তখন থেকে শুধু হয় আসল ঘটনা। মেয়েটি মারা যায় ঠিকই কিন্তুু তার আত্মা মারা যায়নি। মেয়েটির আত্মা প্রথম থানায় যায় গিয়ে পুলিশদের অনেক শাস্তি দেয়, তার সন্তানদের ধরে নিয়ে আসার জন্য। এবং থানা থেকে পুতুল গুলোকে বের করে নিয়ে যায়।
নতুন ভুতের গল্প
তখন পুতুল গুলো সত্যি মানুষ এর বাচ্চায় পরিণত হয়। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও তার থেকে তার সন্তানের আলাদা করতে ব্যর্থ হয়।
সে এখন শুধু তাদের মা নয় বরং তাদের দেখা শুনার পাহারা দার ও। যা দুনিয়ার সমস্ত মা করে থাকে। হোক না সে জানোয়ার বা পশু পাখি। এই দুনিয়াতে মায়ের মতো পাহারা দার কেউ নেই।