জ্বীনের রহস্যময় গল্প | সত্য ঘটনা অবলম্বনে

রহস্যময় গল্প

রহস্যময় গল্প

আজ থেকে প্রায় আট বা নয় বছর আগের একটি জ্বীন এর সত্য ঘটনা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের বাড়ির সামনে ছিল একটি প্রায়মারি ইস্কুল। ইস্কুলটির সাথে বিশাল বড় একটা তুলা গাছ আছে। যেখনো এই গাছটি আছে। আমাদের এলাকার মুরুব্বিরা অনেক চেষ্টা করেও এই গাছটি কাটতে পারে নাই। এবার মোল ঘটনায় আসি,‌‌ একদিন আমি বাড়িতে ঘুমাচ্ছি লাম, এমন সময় খুব জুরে জুরে চিল্লাচিল্লর আয়াজ শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম, এসে দেখলাম অনেক মানুষ ঐ বড় তুলা গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এবং দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ে তুলা গাছটির একটা ডালে বসে চিল্লাচ্ছে। আমাকে এখান থেকে নামাও আমার অনেক ভয় করছে। কিন্তুু মানুষ বুঝতে পারছে না মেয়েটি ঐ ডালে গেলো কি ভাবে, আর এতো বিশাল বড় গাছটিতো তার দুহাতে বের পাওয়ার কথা না।
যাই হোক এখন মেয়েটিকে নামাতে হবে। তার পরে ইস্কুল এর পাশের বাড়ি থেকে বড় একটা মই নিয়ে এসে, অনেক জন ধরে তাকে, কষ্ট করে মেয়েটিকে গাছ থেকে নামানো হয়। 
ভয়ংকর ভুতের গল্প
আর মেয়েটি সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার পরে তাকে তার বাড়ি নিয়ে যায়। মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর ছিলো। পরে মানুষ বলতে শুরু করে মেয়েটিকে নাকি জ্বীনে ধরেছে, এবং ইস্কুল এর ম্যাডামরা বললো: কিছু দিন আগে এই মেয়ে টি নাকি বাথরুমে  অজ্ঞান হয়ে পড়ে আসিলো। ম্যাডামরা তাকে জিজ্ঞেস করলো: তোমার কি হয়েছিলো তুমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলে কেন। তখন মেয়েটি বলল: আমাকে কিছু লোক ঐ খানে নিয়ে গেছিলো। তার পরে আমার কি হয়েছে আমার মনে নেই। এখন ম্যাডামরা পুরো পুরি বুঝতে পারছে এই মেয়ে কে জ্বীন এসব করছে। তাই ম্যাডামরা সবাই চিন্তা করে দেখলো এই মেয়েকে এখানে রাখা যাবে না। যদি রাখি তাহলে তার সাথে অন্য মেয়েদের ও ক্ষতি হতে পারে। আর এই সমস্ত বাচ্চারা এখন ঐ ভয় পেয়ে আছে। ম্যাডামরা অনেক ভেবে চিন্তে মেয়েটির বাবা-মাকে ডাকলো এবং বললো, লেখেন আপনার মেয়ে যদি এই ইস্কুলে পড়ে? তাহলে আপনার মেয়ের ক্ষতি হবে। জ্বীনেরা আপনার মেয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করতেছে। ওকে এই ইস্কুলে রাখা যাবে না, ও যদি এই খানে আবার আসে তাহলে জ্বীনেরা, তার আবার কোন ক্ষতি করতে পারে। তাই ওকে আর এখানে নিয়ে আইসেন না দয়াকরে। এইসব কথা শুনে মেয়ের বাবা-মা অনেক ভয় পেয়ে যায়। তাঁরা বলে আমার মেয়ের জান এর থেকে বড় কিছু না। আমরা আমার মেয়ের ক্ষতি জীবনে ও দেখতে পারবো না। ম্যাডামরা আবার বললো শুধু ইস্কুলে না এই এলাকায় যাতে না আসে আপনাদের মেয়ে। তাহলে কিন্তুু তার আবার ক্ষতি হবে বলে দিচ্ছি। এই কথার বেশি একটা দাম দিলো না তারা, তাঁরা ভাবলো ম্যাডামরা বেশি বেশি বলছে। মেয়েটির বাবা-মা চলে গেল ইস্কুল থেকে। এবং তাদের মেয়েকে সাবধান ও করে করে নাই, তারা দুজন ভাবলো হয়তো ইস্কুলে না গেলে ঐ হয়। এর বেশি কিছু না। একদিন মেয়েটা খেলতে খেলতে কখন যে ইস্কুলে চলে আসে। এটা মেয়েটা খেল ও করলো না, তখন ঐ আবার ঘটলো বড় ঘটনা। আবার আসছে দুপুর বেলা তখন সব কিছু থাকে নিরব অবস্থায়। মেয়েটি গাছের নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় হটাৎ করে চিৎকার দিয়ে উঠলো, এবং আবার মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। তখন এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করলো। কিন্তুু মেয়েটি এখনো ঠিক হয়নি, পাগল এর মতো করে সব সময় মনে মনে কি যেন বলে। হয়তো সে দিন যদি তার বাবা-মা ম্যাডামদের কথা শুনতো, তাহলে হয়তো মেয়েটার আজকে এমন অবস্থা হতো না। তাই সব বাবা-মাকে বলবো তাদের সন্তানদের যেন ভাল করে খেয়াল রাখে।