পিচ্চি বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল

ভালো বাসার কষ্টের গল্প

ভালো বাসার কষ্টের গল্প

ভালোবাসার কষ্টের গল্প
একটা এলাকায় খুব সুন্দর একটা মেয়ে ছিল। মেয়ে টা দেখতে অপরুপ সুন্দরী ছিল। কিন্তুু মেয়ে টি ছিল খুব লিভি। এলাকার ছেলেরা তার জন্য খুব পাগল ছিল। তার মধ্যে একটি ছেলে তাকে খুব ভালোবাসতো। ছেলেটির মাথায় খুব বুদ্ধি ছিল। সে যেই কাজ করতো অনেক বুদ্ধি চিন্তা করে করতো। একদিন মেয়েটির একটা বুইড়ার বয়স্কর লগে বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। 
সেই ছেলেটি যানতে পেরেছিল যে, মেয়েটির বিয়ে বুইরার লগে ঠিক হয়ে আছে। তাই সে ও বেশি কিছু করলো না। পরের দিন অনেক কষ্ট করে রাস্তায় মেয়েটিকে দার করালো, এবং বললো তুমি আমাদের মতো জুয়ান পোলা বিয়ে না করে বুইড়া ব্যাটা, বিয়ে কেন করতেছো।
আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমাকে বিয়ে করতে পারো।
মেয়েটি বললো: আমি বুইড়ারে বিয়ে এইজন্য করতে চাইছি সে, তার অনেক টাকা পয়সা আসে. এবং তার আশেপাশে কেউ নেই। দুদিন পরেতো বুইড়া যাবে মরে, তখন সব কিছু হবে আমার। 
তখন আমি জুয়ান পোলা বিয়ে করে নিব।
আর আমি এ যানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। কিন্তুু তোমার কিছুই নেই, টাকা পয়সা আমাকে খাওয়াবে কি। 
তাই আমাকে পাবার আশা করো না। ছেলেটি বললো: আমি যানি তোমাকে আমি পাবো না, কিন্তুু তোমাকে ভুলতে ও পারবো না।
তাই তোমার সাথে একা একটা ছবি তুলতে চাই, যাতে ঐ ছবিটা দেখে দেখে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারি। মেয়েটায় ভাবলো ছবি নিলে আর কি হবে। তাই ছেলেটির সাথে অনেক গুলো ছবি তুললো। আর বললো: এবার আমার পিছু ছেড়ে দাও। এই বলে মেয়েটা চলে গেল। এবং দুদিন পরে বুইড়ার লগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল।
এখন মেয়েটা বুইড়ার লগে ঐ থাকে আর মনে মনে বলে কখন বুইড়ায় মরবো, আর আমি সব কিছুর মালিক হবো। 
এভাবে কিছুদিন কেটে গেল, এবার ছেলেটি বুইড়ার সাথে দেখা করতে এলো।
এবং বুইড়াকে তার সাথে তুলনা ছবি গুলো দেখলো, এবং বললো: আমার কাছে আরো এমন অনেক ছবি আছে। যা দেখিয়ে আমি আপনার নামে থানায় মামলা দায়ের করবো, বলবো আপনি আমার স্ত্রীকে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে, আমার কাছ থেকে কেরে নিয়েছেন। বুইড়া বলতে লাগলো আমার বউ এর আগে কখনো বিয়ে হয় নি, তুমি কখন আবার বিয়ে করলে তাকে। ছেলেটি বললো কোন মেয়ে বিয়ে করে শিকার আসবে না। যদি তার দ্বিতীয় বিয়ে না হয়। বুইড়া এবার কিছু টা ভয় পেয়ে গেল, আর বলতে লাগলো তোমার কি চাই বল। আমি তাই তোমাকে দিব, ছেলেটি এবার মনে মনে ভাবতে লাগলো এবার লাইনে আইছ।
কি তুমি আমাকে টাকা পয়সার লোভ দেখাচ্ছো। বুইড়া এবার আরো ভয় পেয়ে গেলো। ছেলেটি এবার বলতে লাগলো, তুমি বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের বিয়ে করে তাদের জীবন নষ্ট করো, আমি এখন ঐ যাচ্ছি থানায় তোমার খবর আছে। বুইড়া এবার বললো: বাবা তকে আমি আমার সব কিছু দিয়ে দিব তার পরে ও তুমি এসব করো না। ছেলেটি এবার বলতে লাগলো ওকে টাকা পয়সার কথা যখন বলছো ৫ লক্ষ টাকা দেও! বুইড়ায় ভয়ে টাকা গুলো দিয়ে দিল। এবং মেয়েটাকে কিছু ঐ জানালো না। এভাবে ছেলে টা কিছু দিন পরে পরে টাকা পয়সা নিতে লাগলো। এখন বুইড়ার কিছু নেই বাড়ি ঘর সব নিয়ে গেছে ছেলেটি। কিন্তুু মেয়ে টি যানলো না যে, এখন সব কিছুর মালিক ছেলে টা। বুইড়া ছেলে টিকে বলে ছিল আমি যত দিন না মরে যাই এসব তুমি নিও না। তখন ছেলেটি বললো আমি আপনার কোন কিছু নিজের জন্য নিচ্ছি না, আমি যানি এসব কিছুই আমার না। আমি শুধু আমার ভালোবাসার মানুষ কে পাবার জন্য এগুলো করছি। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। তখন বুইড়া বলতে লাগলো আমিও যানি সেটা, কিন্তুু আমি তকে সব কিছু এই জন্য দিচ্ছি যে, তুই ওকে অনেক ভালোবাসোত। ও এতো কিছু সামলাতে পারবে না, সেটা আমি জানি। আরো যানি আমি মারা গেলে ও অন্য কাউকে বিয়ে করবে। 
আর যদি ছেলেটি খারাপ হয় তখন হয়তো তার সব কিছু নিয়ে, তাকে ছুরে ফলে দিবে। আমিতো মরে যাবো, আমি যানি তুই ছাড়া আর কেউ ওকে সামলাতে পারবে না
তাই তকে ঐ সব কিছু দিয়ে গেলাম, তুই ওকে নিয়ে সুখে থাকিস। ছেলেটি বুড়োকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করলো। বুইড়া বললো এবার আমার মরার সময় চলে আসতেছে। আমার মরার জন্য অপেক্ষা কর। আমি মানি কেউ কারো ভালোবাসার মানুষ এর সাথে থাকা সহ্য করতে পারে না। তুই তো পরেও আমাকে সহ্য করছোত। এখন শুধু আমার মৃত্যুর অপেক্ষায় থাক। তাই ছেলেটি বুইড়ার মরার অপেক্ষায় ছিলো। 
একদিন হঠাৎ করে বুইড়া মারা গেল, তখন মেয়েটি অনেক খুশি কিন্তুু মেয়েটি জানতো না যে। টাকা পয়সা এই বাড়ি যায়গা সম্পত্তি, এসব কিছুই সে পাবে না। বুইড়া মারা গেল অনেক দিন হয়ে গেল মেয়েটা এখনে। একদিন বাড়িতে একটা নুটিশ আসলো।
যে এই বাড়ির মালিক অন্য আরেক জন আপনি এই বাড়ি ছেড়ে দিন। ঠিক তখনই ছেলে টা আসলো এবং বললো। তুমি অনেক লোভে পড়ে এই বুইড়াকে বিয়ে করেছো। কিন্তুু কিছুই পেলে না, এখন বুঝতে পেরেছো, এই সব কিছু অন্য কারো নামে ছিল, এই গুলোর মালিক বুইড়া ছিল না। এখন ও সময় আছে ভালো কোন ছেলে দেখে বিয়ে করে নেও। তার সাথে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেও তোমার ভালো হবে। তা নাহলে সারাজীবন একা থাকতে হবে। মেয়েটা বুঝতে পেরে ছিল, এভাবে জীবন চলতে পারে না। এই বুইড়া কখনো তাকে তার দেহের সুখ দিতে পারে নাই। টাকা পয়সা থাকলে ঐ মনে সুখ শান্তি আসে না। তাই সে ছেলেটিকে বিয়ে করে এখন অনেক শান্তিতে ঘর সংসার করতে লাগলো। ছেলেটি আস্তে আস্তে ঐ টাকা পয়সা দিয়ে অনেক বড় লোক হয়ে গেল। কিন্তুু মেয়েটিকে কিছু বুঝতে দিলো না, যদি সে এই কথা শুনে ছেলেটিকে আবার অবহেলা করতে শুরু করবে। তাই এসব কথা নিজের মধ্যে ঐ রেখে দেয়। 
এখন তারা অনেক সুখে শান্তিতে আছে। তাদের এখন ২টা সন্তান ও‌ আছে। খুব ভালো ভাবে তাদের দিন কাটছে  এখন।