সহবাস এর ভয়ংকর পর্ব এবং জীবন মৃত্যুর লরাই ।

সহবাস এর ভয়ংকর পর্ব এবং জীবন মৃত্যুর লরাই ।

 আগের পর্ব এখানে পড়ুন ।


আকাশঃ


আকাশ এর শরীরে আবার সেই দুজন শয়তান ঠুকেছে । আকাশ এখন পুরো পুরি বেহুঁশ তার এখন জ্ঞান নেই, কিন্তু এবারতো আকাশ ঘুমায়নি তাহলে শয়তান আকাশকে কি ভাবে ধরলো । শয়তান ও বুঝতে পেরে ছিল আজকে ফারজানার সাথে কিছু না করতে পারলে আর কখনো হবে না । তাই তারা আকাশকে ঘুম ছাড়াই ধরে ফেললো । এখন তারা ফারজানার রুমের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে । এতোক্ষণে ফারজানা ও বুঝে গেছে যে, শয়তান গুলো তার স্বামীকে তাদের বসে করে ফেলছে । আকাশ একটি পাঁচ তালা ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকো । তারা দুতালায় চারটা রুম নিয়ে থাকে । তাদের মতো আরো মানুষ থাকে এই বাড়িটিতে ।


ফারজানাঃ


ফারজানা এবার চিৎকার করতে লাগলো । কেউ আছো আমার স্বামীকে আমাকে বাঁচাও...... অনেকক্ষণ চিৎকার এর আওয়াজ শুনতে পেলো, নিচ তলা ও উপর তলার মানুষ । এই বাড়িতে থাকা লোকজন আসলো দৃতীয় তালায়  এবং তারা ফারজানার চিৎকার করার আওয়াজ শুনতে পেলো রুমে । ফারজানা বলছে এই শয়তান গুলো দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে আমাকে আর আমার স্বামীকে বাঁচাও । তখন তাঁরা অনেক জন মিলে দরজা ভেঙ্গে দেখলো আকাশ পাশের রুমের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে । তখন অনেক জন মিলে আকাশকে ধরে রাখলো, আর কতোজন গিয়ে তারা তারি ফারজানাকে ডাকলো, বললো আমরা এই বাড়িতে ঐ থাকি আপনি এখন দরজাটা খুলতে পারেন । এখন আর কোন ভয় নেই, ফারজানা দরজা খুলে দিল আর সব কিছু তাদেরকে খুলে বললো । যাতে তারা আকাশ এর কোন ক্ষতি না করে ।


আকাশঃ


আকাশকে তারা ভালো করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলো সকাল হওয়া পর্যন্ত । আর ফারজানাকে অন্য একটি মেয়ের রুমে পাঠিয়ে দিল । সূর্য উঠার আগেই ঐ শয়তান গুলো আকাশ এর শরীর থেকে চলে গেল । আকাশ এর জ্ঞান ফিরলো, এবার আকাশ বললো আমি এখানে কেন তাহলে কি কালকে রাতে এই শয়তান গুলো আবার আমার শরীরের ভিতরে ঠুকেছে । আমি এসব আর সহ্য করতে পারছি না । আমি মরে যেতে চাই আমার আর ভাল লাগছে না এই দুনিয়ায় ।


ফারজানাঃ


আকাশ এর চিৎকার শুনে দৌড়ে আসলো ফারজানা,  আর বললো । আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন প্লিজ আমি আপনাকে বাঁচাতে এসব কথা বলতে বাধ্য হয়েছি । এসব না বললে কালকে রাতে আপনার ক্ষতি হতো । কালকে রাতে আপনার শরীরে আবার এই শয়তান ঠুকে গেছিলো, আর তারা আমার রুমের দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে, আমি চিৎকার করতে শুরু করি তখন এই বাড়িতে থাকা লোকজন আমার চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে, দরজা ভেঙ্গে আপনাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এখানে রাখে ।


আকাশঃ


চলো তাঁরা তারি আমার হাত পা এর দড়ি খুলে দাও আর রেডি হও তোমাদের বাড়ি যাবো । তা নাহলে আমাদের দু'জন এর মৃত্যু হবে এই শয়তান গুলো খুব ভয়ংকর । এরা তোমাকে না মারা পর্যন্ত শান্ত হবে না । কালকে রাতে হঠাৎ করে তারা আমার উপর ভর করে, আমি তখন সম্পূর্ণ সজাগ ছিলাম তার পরে ও তাঁরা আমাকে ধরে ছিলো । এখন বুঝতে পেরেছি তারা শুধু রাতেঐ তোমার ক্ষতি করতে পারবে আর তার জন্য তাদের যে কোন একটা পুরুষ মানুষ এর শরীর দরকার পরবে । তুমি একা থাকলে কখনোই তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না । চলো তাঁরা তারি আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে আরো আগেই আমাদের যাওয়ার দরকার ছিল । এখন আর সময় নষ্ট করা চলবে না ।


ফারজানাঃ


ঠিক বলেছেন, আজকে আমার জন্য আপনার সাথে এসব হচ্ছে । আমি আর দেরি করবো না আমি এখনই রেডি হচ্ছি । আপনি ও ভালো করে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিন ।

ফারজানা ও রেডি হচ্ছে আকাশ ও রেডি হচ্ছে, তারা বুঝে গেছে আর এসব নিয়ে বসে থাকলে চলবে না । যা করার এখনই করতে হবে দিন দিন শয়তান গুলো ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে । এখন বসে থাকলে সামনে নির্ঘাত মৃত্যু হবে ।


আকাশঃ


ফারজানা তুমি ও গোসল করে করে নেউ আমাদের আজকে অনেক জার্নি করতে হবে । আর এখনতো রাত হয়ে গেলে তোমাকে নিয়ে ভয় হয় । এই শয়তান গুলোকে যদি দেখতে পারতাম তাহলে তাদের আমি নিজের হাতে মারতাম । তাদের জন্য আজকে আমাদের এতো সুন্দর সংসারে এতো কষ্ট । আমার ফুলের মতো স্ত্রী পিছনে পরে রয়ইছে ।


ফারজানাঃ


চলেন আমি রেডি হয়ে গেছি আর বেশি দেরি করা চলবে না । আর আমাদের বাড়িতে যেতে অনেক সময় লাগে, রাস্তায় কোন জ্যাম না থাকলে তারা তারি যেতে পারবো । আমাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় যদি রাত হয়ে যায় ‌। তখন কি করবেন আমাদের বাড়িতো অনেক দূর । তার থেকে ভালো হবে আপনি আমাকে একা একা যেতে দিন । আমার যা হবার হোক আমি চাই না আমরা জন্য আপনার কিছু হোক । আপনি আমাকে একা যেতে দিন ।


আকাশঃ


এখন এসব কথা বলার সময় নেই চলো তাঁরা তারি । এখন সকালের ট্রেনটা পেলে ঐ চলবে । ট্রেন মিস করলেই বাসে গেলে রাত হয়ে যাবে তখন পরবো বড় বিপদে ।

আকাশ ফারজানাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল । আর ট্রেন ও পেলো, তারা দুজন ট্রেন পেয়ে খুব খুশি হলো ।

যাক তাহলে অবশেষে ট্রেনটা পেলাম এখন আর রাত হবার ভয় নেই । ট্রেন থেকে নেমে সোজা সিএনজিতে উটবো আর শশুর বাড়ি চলে যাবো ।

আকাশ আর ফারজানা এতো কিছু ঘটার পর তাদের মনে খুব খুশি লাগছে । আকাশের মনে খুশি সে যাচ্ছে শশুর বাড়ি, আর ফারজানার মনে খুশি সে অনেক দিন পর তার বাবা-মাকে দেখবে ।


ফারজানা:


তার স্বামী আকাশকে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে কয়দিন এর জন্য রেখে যাবেন । আমি এসব দেখতে দেখতে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি । আর তাছাড়া আপনার ও কয়দিন এর জন্য রেস্ট হয়ে যাবে । আপনি এসব চিন্তা থেকে মুক্ত পেয়ে যাবেন । আর আমি ও কয়দিন আমার বাবা-মার কাছে থাকতে পারবো, তখন তাঁরা ও খুশি হবে আমি ও খুশি হবো ।



আকাশঃ


তুমি তোমার বাবা-মার কাছে থাকতে চাও তাতে আমার কোন আপত্তি নেই । কিন্তুু আগে আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে তানা হলে আমার দুশ্চিন্তা দূর হবে না ।

তারা দুজন এসব কথা বলতে বলতে কখন যে ট্রেন তাদের স্টেশনে পৌঁছে গেছে । তারা দুজন ট্রেন থেকে নামলো এবং একটি সিএনজিতে উঠলো । আকাশ আর ফারজানা এখন বড় একটা নিঃশ্বাস নিলো, তাদের ভয় ছিল রাত হয়ে গেলে বড় কোন বিপদে পড়তে হতো এখন বিপদ কেটে গেছে ।

যাক অবশেষে রাত হবার আগে শশুর বাড়ি এসে পরেছি ।

এইতো শাশুড়ি আম্মা বসে আছে ।



ফারজানা:



ফারজানার মা তাদের দেখে দৌড়ে আসলো এবং বললো তোমরা দুজন কেমন আছো । আকাশ ফারজানা দুজন ঐ বললো আমরা ভালো আছি নেই । ফারজানা তার মাকে জড়িয়ে ধরে বললো 

মা তুমি কেমন আছো তোমার শরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে । বাবা কোথায়, বাবা ও তোমার সাথে আমাদের জরলী কথা আসে ।



আকাশঃ


আকাশ ও বললো শাশুড়ি আম্মা আপনি ভালো আছেন শশুর আব্বা কোথায় । উনার সাথে আমার জরলী কথা আছে ।

তখন আকাশ এর শাশুড়ি ভয় পেয়ে যায়, কি বাবা তোমাদের বড় কোন কিছু হয়েছে । আপনি ফারজানার সাথে কথা বলোন আমি শশুরের সাথে কথা বলবো । এসব কথা আমি আপনার সাথে বলতে পারবো না ।

আকাশ দূরে গিয়ে বসলো আর ফারজানা তার মাকে এসব কথা বলতে লাগলো ।



ফারজানা:


মা আমাকে তোমরা বিয়ে দেওয়ার পর থেকে, আমাদের দুজনের জীবনে শান্তি নেই । দু'বছর আগে যেই শয়তান আমার ক্ষতি করতে চেয়ে ছিল । সে এখনো আমার পিছো ছাড়েনি, মা তারা একজন নয় দু দুজন । আমাদের তারা এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, আমরা এসব থেকে বাসতে চাই মা । এই জন্য বাবা ও তোমার কাছে এসেছি আমি আর আমার স্বামী । মা তুমি বাবাকে তাঁরা তারি খবর পাঠাও বাড়িতে আস্তে, রাত হয়ে গেলে আবার সমস্যা হতে পারে  । ফারজানার মা এসব কথা শুনে অনেক ভয় পেয়ে যায়, এবং তারা তারি ফারজানার বাবাকে খবর পাঠায় ।

আর ফারজানার বাবা আসলে সব কিছু খুলে বললো ফারজানার মা । তার বাবা এসব কথা শুনে সে ও ভয় পেয়ে যায় ।



আকাশঃ


শশুর আব্বা দয়াকরে আপনি আগে যাদেরকে আপনার মেয়েকে দেখিয়ে ছিলেন আবার তাদের সাথে কথা বলুন । এই শয়তান থেকে আমাদের দুজনকে মুক্তি দেন, আমি এসব আর সহ্য করতে পারছি না বাবা ।

আকাশ এসব বলে কেঁদে দিল, তখন আকাশ এর শশুর আব্বা বললো আমি এখন ঐ যাচ্ছি হুজুরের সাথে কথা বলতে । সাথে আকাশকে ও নিয়ে গেল । আকাশ ফারজানাকে বলে গেল আমাদের আস্তে দেরি হলে তুমি তোমার রুমে চলে যাইয়ো ।



ফারজানা:


আপনি এখন আর বেশি চিন্তা করবেন না আমার বাবা আছে, সে সব কিছু সামলে নিবে । আপনি শুধু আমার বাবাকে সব কিছু খুলে বলবেন । আর আপনার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হবে ।



 

আকাশঃ



ওকে আমরা যাচ্ছি তুমি ও বেশি টেনশন করো না, এবার মনে হয় সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ।

আকাশ ও তার শশুর আগের সেই হুজুরের কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বললে হুজুর খুব রেগে যায় । আর বলে এই শয়তানদের এতো সাহস এতো ক্ষমতা তারা সুজা মেয়েটার সাথে সহবাস করে । তাও আবার তার নিজের স্বামীর শরীর থেকে ।



হুজুরঃ


 তাদেরকে আটকাতে হবে তানা হলে তারা পুরো সমাজের ক্ষতি করবে । আজকে আপনার মেয়ের সাথে করলো, কালকে অন্য কারো মেয়ের সাথে করবে, পরে আমার মেয়ের সাথে ও হতে পারে । কালকে সকালে আপনি আপনার মেয়েকে সাথে নিয়ে এখানে চলে আসবেন । আমি আপনাদের এক যায়গায় নিয়ে যাবো, সেখানে একজন হুজুর আছে উনি শয়তান ও খারাপ জ্বীন দের বন্দী করে । তাই আপনি আর আপনার মেয়ে ও আপনার মেয়ের জামাই আমার সাথে যাবেন । আপনার মেয়েকে ভালো করে বুর্কা পড়িয়ে নিয়ে আসবেন । আর আপনি যে ভাবে বলছেন, তাই আজকে রাতে আমার সাথে থেকে নামাজ পরবেন আমল করবেন । আমার মনে হয় আজকে রাতে আপনি আর আপনার মেয়ের জামাই বাড়িতে এখন না যাওয়া ঐ ভালো হবে । তার থেকে ভালো আপনারা এখানে ঐ থাকুন আজকে । কালকে সকালে চলে যাবেন এবং আপনার মেয়েকে রডি করিয়ে আবার নিয়ে আসবেন ।



আকাশঃ


আকাশ তার শশুরকে বললো আব্বা হুজুর যখন বললো আমরা হুজুরের সাথে থাকতে আমরা এখানে ঐ থাকি । কেন না আমি যানি শয়তান আমার শরীরের ভিতরে ঢুকলে কতটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে । আকাশের শশুর ও রাজি হলো এবং দুই জামাই শশুর এক সাথে মসজিদে নামাজ পড়লো আমাল করলো  । এভাবে কিছু সময় নামাজ আমল করে আবার বিশ্রাম নিতো আবার আমল করতো এভাবে সারারাত কেটে গেল । এখন সকাল হলো‌ তারা হুজুর কে বললো আমরা বাড়ি যাচ্ছি রেডি হয়ে আসবো আবার ।

তাঁরা বাড়িতে চলে আসলো ফারজানা আর তার মা একদম ঠিক আছে । তাদের কোন ক্ষতি করতে পারেনি শয়তান ।



ফারজানাঃ



আপনারা যখন রাতে বাড়িতে আসলেন না । তখন ঐ আমি আর আমার মা বুঝতে পেরেছি যে অবশ্যই হুজুর আপনাদের বলেছে রাত কাটিয়ে যেতে। তা নাহলে বাড়িতে বিপদ আস্তে পারে । তখন ঐ আমি আর মা বাড়ি ঘরের দরজা ভালো করে বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লাম । এখন হুজুর আপনাদের কি বলেছে, হুজুর কি পারবে এই শয়তানকে বন্দী করতে ।



আকাশঃ


আজকে ঐ এই শয়তানকে বন্ধি করবে । হুজুর আমাদের বলেছেন তার মতো একজন সে নাকি শয়তানদের বন্দী করতে পারে । তার কাছে নিয়ে যেতে তোমাকে, হয়তো সে এই শয়তানকে বন্দী করতে পারবে । আর তুমি আমাদের খাবার দেও এবং তুমি খেয়ে রেডি হও । আমাদের আবার যেতে হবে । তুমি বুর্কা পরে রডি হবে ।

ফারজানা তার স্বামী এবং তার বাবা আবারো যাচ্ছে হুজুর এর কাছে । হয়তো আজকে তারা এই শয়তানকে বন্দী করতে পারবে । তাদের এই অভিশাপতো জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে ।

আবারো তারা সেই হুজুরের কাছে আসলো ।



হুজুরঃ


আপনারা এসেছেন ।

চলেন আমি আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । আমার সাথে সাথে চলেন আমাদের যেতে যেতে আসরের নামাজের সময় হয়ে যাবে নামাজ পড়ে হুজুরের সাথে কথা বলবো ।

তাঁরা বের হলো প্রায় দুইটার সময় তখন ঐ হুজুরের কাছে পৌঁছাতে আরো দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগবে । হাঁটতে হাঁটতে একটি সিএনজি পেলো, সিএনজি থেকে আবার বাসে, এভাবে দুই থেকে তিনটি বাসে করে তার পরে এসে পৌঁছলো । আস্তে আস্তে পথেই আসরের আজান পরে ছিল তাই এসে নামাজ আদায় করলো সবাই ।



আকাশঃ



ফারজানা আকাশ ও তার শশুর এবং হুজুর সবাই নামাজ আদায় করে একটা রুমে বসলো । তখন হুজুর গেলো ঐ হুজুরের সাথে কথা বলতে সাথে আকাশকে নিয়ে গেল । ফারজানা আর তার বাবাকে বললো আপনারা দুজন এখানে বসেন । আমি আর আপনার মেয়ের জামাই গিয়ে হুজুরকে সব কিছু খুলে বলি । হুজুর আকাশকে বললো:

দেখ হুজুর তোমাকে যাযা জিজ্ঞেস করবে তার সাথে ঠিক ঠিক করে সব কিছুর জবাব দিবে ওকে ।

ওকে আমি সব কিছু খুলে বললো হুজুর সাথে ।

তারা দুজন ঐ হুজুরের কাছে গিয়ে বসলো, হুজুর আকাশ কে জিজ্ঞেস করলো ।



২ হুজুরঃ


আগে প্রথম হুজুর দ্বিতীয় হুজুরকে সব কিছু খুলে বললো । তখন হুজুর এসব শুনে আকাশকে জিজ্ঞেস করলো । 

আচ্ছা তোমার সাথে কতো দিন ধরে এসব হচ্ছে, আর শয়তান তোমার সাথে কখন মিসে সব আমাকে খুলে বলো । কোন কথা আমার সাথে গোপন রাখবে না তাতে এই শয়তানকে ধরতে কঠিন হয়ে যাবে । মনে রেখ এই শয়তান থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই তোমার মন ছাফ থাকতে হবে, এখন আমাকে সব কিছু খুলে বলো ।



আকাশঃ


আমি এসব থেকে মুক্তি পেতে চাই, তাই আমি কখনো মিথ্যা কথা বলবো না । আর আমি মিথ্যা কথা বলতে পছন্দ করি না ।

আমার বিয়ের পর থেকে এসব হচ্ছে আমাদের দুজনের সাথে । প্রতিদিন এই শয়তান গুলো আমার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে আর আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে । এখনতো প্রায় আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে আসেছে । আগে শয়তান আমাকে ঘুমের মধ্যে ধরতো এখন ঘুম ছাড়াই ধরে ফেলে । তারা দুজন শয়তান খুব ভয়ংকর অবস্থায় আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে  তাও আবার আমার শরীরের সাহায্যে । আমি এসব সহ্য করতে পারছি না আর আপনি এই শয়তান গুলো কে বন্দী করুন তানা হলে আমাদের সাথে সাথে আরো অনেক ছেলে মেয়েদের তারা ক্ষতি করবে ।



২ হুজুরঃ


 আচ্ছা ঠিক আছে এখন আপনি মেয়ে আর তার বাবাকে এখানে নিয়ে আসুন । প্রথম হুজুর গিয়ে ফারজানা ও তার বাবাকে নিয়ে আসলো ।

দেখুন আমি সব কিছু বুুঝেছি এই শয়তানকে আল্লাহ পাক চাইলে আজকে রাতে ঐ বন্দী করবো । আর সে রাতে ঐ ক্ষমতা পায় তাকে রাতে ঐ বন্দী করতে হবে । তাই আপনারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে পড়ে আসুন । ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা ঐ রুমে থাকতে পারেন, ঐ শয়তান এর সাহস হবে না সে এইখানে কিছু করার, তাই আল্লাহ পাক এর দয়ায় কোন ভয় নেই ।