শয়তানকে বন্দী করে একটা মেয়ের জীবন বাঁচালেন হুজুর । সহবাস এর শেষ পর্ব ।

শয়তানকে বন্দী করে একটা মেয়ের জীবন বাঁচালেন হুজুর । সহবাস এর শেষ পর্ব ।

 আগের পর্ব এখানে পরুন ।



আকাশঃ


সবাই এশার নামাজ আদায় করে বসে আছে । হুজুর কখন তাদের ডাকবে । আচ্ছা শশুর আব্বা সত্যি কি হুজুর পরবে এই শয়তান থেকে আমাদের মুক্তি করতে । এইবার যতি শয়তান আমার স্ত্রীর কোন ক্ষতি করে তাহলে আমি শয়তান গুলোর অবস্থা খারাপ করে দিব । এর জন্য আমার পৃথিবীর যেই প্রাণতে যেতে তাদের ধরতে আমি যাবো ।
শশুর আব্বা বললো: বাবা শুনো আমার মনে হয় এই হুজুরই পারবে তাকে ধরতে । আল্লাহ পাক আমাদের সাথে আছে । তুমি চিন্তা করো না । ঠিক তখনই প্রথম হুজুর এসে বললো চলেন সবাই আপনাদের হুজুর ডাকছে । সবাই গেলেন তখন হুজুরের কাছে ।


২ হুজুরঃ

আচ্ছা আপনারা সবাই নামাজ আদায় করেছেন । নাজাজ আদায় না করে থাকলে তারা তারি নামাজ পড়ে আসুন । এখানে কোন বে'নামাজি থাকলে এই শয়তানকে ধরতে পারবো না । আর আকাশ তুমি এদিকে আসো তোমার শরীরের ভিতরে শয়তান প্রবেশ করে তাইতো । শুনো এই শয়তান এখানে আসতে সাহস পাবে না । তাই তুমি আর তোমার স্ত্রী আমার সাথে চলো । আপনারা সবাই এখানে বসে থাকেন আমি খবর না দেয়া পর্যন্ত কেউ আসবেন না ঠিক আছে ।


আকাশঃ

আচ্ছা হুজুর আমার আর আমার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হবে না তো আবার । আমার খুব চিন্তা হচ্ছে আমি খুব টেনশনে আছি আর ভয়  ও করছে । আমরা কি সত্যি এই শয়তান থেকে মুক্তি পাবো । আমি আমার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসি তার কোন ক্ষতি আমি দেখতে পারবো না ।


২ হুজুরঃ

আমি চাইলে হবে না আল্লাহ পাক চাইলে হবে । আর আমি আল্লাহর কাছে এই শয়তান হতে আপনার মুক্তির দোয়া করেছি । হয়তো আল্লাহ পাক আমার ও আপনাদের দোয়া কবুল করবেন । তাই কোন টেনশন করবেন না আল্লাহ পাক আমাদের সাথে আছে । এখন চলেন সময় নষ্ট করা চলবে না আমাদের ।



আকাশঃ

আকাশ ও তার স্ত্রীকে হুজুর বাহিরের একটা গাছের নিচে বসি চলে গেলেন । আর বলে গেলেন আপনার কোন চিন্তা করবেন না আমি আশে পাশে ঐ থাকবো । এই শয়তান আপনাকে ধরে ফেললে আমি চলে আসবো, ঠিক আছে, আপনার দুজন এই গাছটির নিচে বসে থাকেন ।
তারা দুজন গাছের নিচে বসে আছে প্রায় ১০মিনিট ধরে । হটাৎ আকাশ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো আর শয়তান তার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে জেগে উঠলো । উঠে শয়তান আকাশ এর কন্ঠে বললো: ফারজানাকে আজকে তোর জীবনের শেষ দিন । এই হুজুর আমার কিছু ঐ করতে পারবে না । তোরা শুধু শুধু তার কাছে এসেছিস এখন আমি তোকে মেরে এখানে থেকে চলে যাবো । ঠিক তখনই হুজুর চলে এলো ।


২ হুজুরঃ

তোর এতো বড়ো সাহস তুই এই সমস্ত মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তার ইজ্জত নিয়ে খেলা করোছ । আজকে আমি তকে আল্লাহ পাক এর সাহায্যে বন্দী করবো তাও সারাজীবন এর জন্য ।
শয়তান বললো: তুই আমার কিছুই করতে পারবি না । আর যদি আমাকে বন্দী করতে না পারিস তাহলে তোর বংশের সমস্ত মেয়েদের আমি ইজ্জত নিয়ে খেলা করতে শুরু করে দিব ।
কি এতো বড় কথা আজকে থেকে তোর পাপের শাস্তি ভোগ করা দিন শুরু । এখন আমি তকে বন্দী করবো ।
তখন হুজুর সুরা কেরাত পড়া শুরু করে দিল প্রায় ৩০মিনিট পড়ার পর শয়তান উনা পেনা শুরু করে দিল, আমাকে ছেড়ে দেও আমি আর এই ভুল করবো না । আমি আর এই মেয়ের কোন ক্ষতি করবো না । আমি জীবনে ও আর কোন মেয়ের সাথে সহবাস করবো না । আমাকে যেতে দাও । 
হুজুর তখন কি যানি একটা বের করলো তখন শয়তান তার ভিতরে চলে গেল আর সাথে সাথে আকাশ এর শরীর মাটিতে পড়ে গেল ।



আকাশঃ

আকাশ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো আর শয়তান কে হুজুর আটকে ফেললো । হয়তো আজকে থেকে এই শয়তান থেকে ফারজানা আর আকাশ মুক্তি পেয়ে গেলো ‌। আকাশতো এই জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মরতে ও চেয়ে ছিল । আকাশ এর জ্ঞান ফিরলো, হয়তো সে আজকে তার জীবনকে সব থেকে আনন্দের দিন মানবে । ফারজানা ও আজকে অনেক খুশি, সে তার স্বামী নিয়ে আনন্দে জীবন যাপন করতে পারবে । সব মেয়েরা ঐ চায় তার স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে থাকতে‌ ।


২ হুজুরঃ


হুজুর আর ফারজানা আকাশকে জাগিয়ে তুলে আকাশকে তাদের সাথে আবার হুজুরের অফিসে নিয়ে গেল । আর সবাইকে বললো আমি আল্লাহ পাক এর সাহায্যে এই শয়তানকে বন্দী করতে পেরেছি । এখন আর আপনাদের এই শয়তান থেকে কোন ভয় নেই । এই শয়তান আর কোন দিন এখান থেকে বের হতে পারবে না ইনশাআল্লাহ । আপনারা আজকে রাতে এখানে থেকে কালকে সকালে চলে যেয়েন । আর একটা কথা এখন যে ভাবে নামাজ আদায় করেছেন, ঠিক এভাবে সবসময় নামাজ আদায় করবেন তাহলে আর এসব বিপদে পড়তে হবে না আপনাদের ।


সবাই রাতে ঐ খানে থেকে বাড়িতে চলে আসলো । আকাশ তার শশুকে বললো আব্বা আমরা কিছু দিন পরে এসে অনেক দিন থেকে যাবো । আগে যানি সত্যি এই শয়তান বন্দী হয়েছে কি'না । এখন ফারজানা আর আকাশ তাদের বাড়িতে চলে আসলো । রাতে এখন আর আকাশ এর সাথে শয়তান কোন সময় মিশে না । আর কোন দিন তার শরীরের কাপড় খোলা থাকে না । তাদের আর কোন ভয় নেই আর তারা এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও আদায় করে । এখন আকাশ আর ফারজানা খুব হাসি খুশি আছে তাদের জীবন থেকে এতো বড় বিপদযে কেটে গেছে । আকাশ এখন প্রতিদিন অফিস করে । এখন আর আকাশ কোন দুশ্চিন্তা ও করে না । খুব সুন্দর করে তার কাজ গুলো করে তাই তার অফিসের সবাই তাকে পছন্দ করে । ফারজানা ও আকাশ খুব শান্তি আসে এই শয়তান তাদের আর কোন দিন ধরেনি তাই রাতে আর তারা কোন ভয় করে না ।