খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প | প্রেমিকার মা যখন তাঁর কথা দিয়ে না রাখে!

খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প

 খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প


একটি কঠিন প্রেমের গল্প :

রিয়া: তোমার সাথে আমার খুব জরলী কথা আসে। কালকে ১০.টায় আমাদের বাড়ির পাশের কাঠবাগানে। চলে আসবে কিন্তুু মনে করে।

আরিফ: ওকে আমি আসবো। 

রিয়া: তোমার মন খারাপ নাকি কথা কেমন যানি শুনা যাচ্ছে।

আরিফ: না মন খারাপ হবে কেন তোমার বিয়ে আমি অনেক খুশি। আমার আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে।

রিয়া: কালকে আসি পরে তোমার সাথে এসব কথা হবে। ওকে বায়।

আরিফ: ওকে বায়।

রিয়ার বান্ধুবী: আরে আরিফ ভাইয়া তুমি এখন ও এখানে বসে আসো দুদিন পর তোমার রিয়ার বিয়ে। তুমি তাকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছো না কেন। আরিফ ভাইয়া তুমি যদি কিছু মনে না করো আমি একটা কথা বলবো।

আরিফ: বল সুমী। ওর সব কিছুর খবর তুমি ঐ আমাকে দেও
তুমি না বললে কে বলবে।

রিয়ার বান্ধুবী: ভাইয়া রিয়া মনে হয় তোমাকে ভালোবাসে না। আমি দেখলাম ও এই বিয়েতে রাজি এবং অনেক খুশি। আর ও আমার বান্ধুবি আমার সাথে সব কিছু শেয়ার করে। আমি ওর মন খুশি দেখে জিজ্ঞেস করলাম। তুই না আরিফ ভাইকে ছোট বেলা থেকেই ভালোবাসত । তবে তর মনে এতো খুশি কেন। তরতো কান্নায় ভেঙে পরার কথা। তাহলে তুই কি আরিফ ভাইকে বিয়ে করবি না। ও বলে আমি আরিফকে ভালোবাসি, কিন্তুু আরিফ আমার পছন্দ না। আমি ছোট বেলা থেকেই ফ্যাশন করা ছেলেদের পছন্দ করতাম। তাই আজকে একজন খুব মর্ডান ছেলে আমি পেয়েছি। কি তার চ্যাহারা, কি তার চলা ফেরা করার ধরন, আর তার যে সব কাপড় পরে তা দেখলে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। তার হাতে যে ঘড়ি পরে ঐটা দেখলে তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগে। তার আরও অনেক গুন আছে আস্তে আস্তে সব দেখতে পাবি। এইসব কি বলছিস রিয়া তুই আরিফ ভাইয়া কে এভাবে ঠকাতে পারছ না।

আরিফ: আর বইলো না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।


রিয়ার বান্ধবী: আরিফ ভাইয়া তুমি কাঁদছ। তুমি এতো ভালোবাসার পরে ও রিয়া কেন তোমার সাথে এসব করেছে আমি বুঝতে পারছি না।

আরিফ: তুমি এখন আমাকে একটু একা থাকতে দেও। আমি কালকে ওর সাথে সামনাসামনি দেখা করে সব কিছু জিজ্ঞাসা করবো। এখন আমি একা থাকতে চাই।

রিয়ার বান্ধবী: আরিফ ভাই আমি যে এসব তোমাকে বলছি রিয়াকে বলো না যেন। তাহলে ওর সাথে আমার ঝগড়া হবে। আমার কাছে কিছু বলতে চাইবে না।

আরিফ: ওকে সুমী

রিয়ার সাথে দেখা করার পর...

রিয়া: আমার কালকে বিয়ে তুমি আমাকে ভুলে যাও। আমি তোমাকে ভালোবাসি ঠিক আছে কিন্তুু, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। আর আমার মা চায় না তোমার সাথে আমার বিয়ে হোক। আমার বিয়ের সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। এখন আর আমি ফিরে আসতে পারবো না।

আরিফ: এটা তুমি কি বলছো আমার সাথে এতো বড় বিশ্বাস ঘাতঘতা কি ভাবে করলে। তোমার মা আমাদের দুজনের বিয়ে ঐ ছোট্ট বেলায় ঠিক করে রাখেছে। আজকে তুমি বলছো তোমার বিয়ে তোমার মা অন্য কোন ছেলের সাথে ঠিক করেছে। এর মানে কি? আমার মাথায় কিছু ডুকছে না। তুমিতো আমাকে ভালোবাসো তাহলে অন্য কাউকে কি ভাবে বিয়ে করবে। আর আমার এতোটা বছর এর ভালো ভালোবাসার কথা ভুলে যাবে

রিয়া: আমার মা তোমাকে ছোট বেলায় এসব কথা বলতেন। যাতে তুমি আমার খেয়াল ভালো করে নাউ। কিন্তুু সে বুঝতে পারে নাই তুমি সে টাকে সত্যি সত্যি মনে ঠুকিয় রাখবে। আর সবার মা ঐ চায় তার সন্তান সুখে থাকুক। আমার মা ও চেয়েছে। তাই আমি বিয়েতে রাজি হয়েছি।
আরিফ: আমি কি কোন দিন তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। আর কোন দিন দিব ও না। তুমি একটু বুঝতে চেষ্টা করো। আমি তোমাকে, তুমি যে ভাবে থাকতে চাও রাখবো। তার পরেও আমি তোমাকে অন্য কারো হতে দিব না। আমি তোমার মার সাথে কথা বলবো।

রিয়া: তুমি কি পাগল হয়ে গেছ না'কি। আমি তোমাকে এতো করে বুঝানোর চেষ্টা করছি যে আমি তোমার সাথে থাকতে পারবো না । পরে ও তুমি বুঝতে পারছ না কেন । একটা কথা ভালো করে শুনে রাখ আমি তাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি সে এক জন মাস্টার্স ডিগ্রি নেয়া ছেলে । আর তা ছাড়া সে খুব বড় একটা কম্পানির ম্যানেজার । আর তার বড় বড় দুইটা বাড়ি ও আছে । আর তার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েরা পাগল । কিন্তুু সে আমাকে পছন্দ করেছেন তাই আমি তাকে পছন্দ করেছি । তার ইস্টাইল দেখলে আমি পাগল হয়ে যাই । আর তোমাকে দেখল কেউ পছন্দ করবে গাইয়া ভুত । তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না । তুমি আমাকে জোর করলে আমি তার সাথে পালিয়ে যাবো । আর আমাকে বেশি জোর করলে আমি বিষ খাবো । আর আমার মা বলছে তুমি উনার সামনে না যাইতে মা তোমার সাথে কোন কথা বলতে পারবে না । আমি চলে যাচ্ছি, আর আমাদের বাড়ির আশেপাশে তোমাকে মা আস্তে বারণ করেছে । কি চুপ করে আসো কেন কথা বলো । কি আমাদের বাড়িতে আসবে । যদি আমার কথা না শুনে আসো তাহলে প্রথম যা বলছি তাই করবো । আমি যাচ্ছি কিন্তুু ।

আরিফ: রিয়া যেতেই জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো কিন্তুু তার মনের কষ্ট প্রেমিকা বুঝলো না । যার জন্য সে ছোট বেলা থেকেই এতো কিছু করলো ।


 আরিফের এর দাদা ছিল বড় একজন জমিদার তার দাদার অনেক সম্পত্তি আছে যা সব কিছু আরিফ এর নামে। কিন্তুু এসব কথা শুধু আরিফ এর বাবা-মা জানতেন। তার বাবা-মা আরিফ কে কিছু বলে নি শুধু বলছে তর দাদা আমাদের জন্য যা কিছু রেখে গেছেন তা দিয়ে আমাদের সারাটা জীবন চলে যবে। এতো সম্পত্তির কথা বললে যদি আরিফ খারাপ হয়ে যায়। টাকা পয়সা উল্টা পাল্টা ক্রস করে। তার দাদার এতো সম্পত্তি ছিল বলে । মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। তাই আরিফকে তার বাবা-মা এসব কথা বলেন নাই । কিন্তুু আরিফ যখন যা চাইতো তার বাবা-মা তাকে তা দিতেন। কিন্তুু আরিফ ও বেশি টাকা পয়সা খরচ করতেন না অযথায়। যা খরজ করতো রিয়ার পিছনে করতো। রিয়ার জামা কাপড় এর থেকে ধরে খাবার দাবার সব কিছু। বলতে গেলে আরিফ ঐ রিয়ার বাবা মারা যাবার পর সব কিছুর খরজ দিয়েছে । সেই ছোট বেলা থেকেই । তখন তার বুঝ ও ভালো করে হয় নাই । এখন ও আরিফ এর টাকা দিয়ে ঐ রিয়ার মা সংবাদ চালায় । রিয়ার মা আরিফকে সব সময় কথা দিয়ে আসছে যে রিয়াকে তার হাতে তুলে দিবে। সেই ছোট বেলা থেকেই এই রিয়াকে পাওয়ার আশায় আরিফ পথ গুনছে। কিন্তুু আরিফ ছিল খুব ধৈর্যশীল। সে জন্য এখনো চুপ করে আছে। আরিফ কিন্তুু খুব রাগি এক জন মানুষ। সে চুপ করে আছে তার ভালোবাসার জন্য । 


আরিফ: মনে মনে আগের কথা গুলো চিন্তা করতে লাগলো। যে মেয়ে আমার জন্য এতো পাগল ছিল। আমাকে ছাড়া চলতে পারতো না। আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই বুঝতো। আজকে সে কি ভাবে আমাকে ভুলে যাওয়ার কথা বলছে। সে কি ভুলে গেছে আমি তার জন্য কি করে আসছি সেই ছোট বেলা থেকেই। আমার আর এসব ভাল লাগছে না আমি তার মার সাথে কথা বলবো। আমার সাথে এসব করার মানে কি? আমি যানি রিয়া আমাকে ভয় দেখিয়েছে ও কোন দিন আত্মহত্যা করবে না। কারণ সে আত্মহত্যার কথা শুনলে ভয় পায়। আমি এখন গিয়ে আন্টির সাথে কথা বলবো। তা না হলে খুব দেরি হয়ে যাবে। আমি একটা ধোওর দিয়ে রিয়ার বাড়ির উঠানে এসে আন্টি কোথায় তুমি বেরিয়ে আসো। আমাকে এতো বড় ধোঁকা কি করে দিতে পার তোমরা ।

( আজকে এতো টুকুই বাকি পর্বগুলো পরে দেয়া হবে

পরের পর্ব এখানে ঐ দেয়া হবে )

আর অবশ্যই কপি থেকে দূরে থাকুন । আমাদের অনেক সময় বেয় হয় এই গল্প গুলো লেখতে.... কপি করলে অবশ্যই আমাদের সাইট এর নামে সব ক্রেডিট দিয়ে পোস্ট করুন, আল্লাহ হাফেজ ।