সত্যিকারের ভালোবাসা কেমন হয় | ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

আমি ভালোবাসার কাছে হেরে যাওয়া একজন পুরুষ মানুষ। 

সত্যি কথা বলতে আমি যাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ছিলাম। সে আমাকে ফাঁসিয়ে চলে গেছে।

আমাকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে চলে আসলো, তখন থেকে এখন পর্যন্ত সে আমার সাথে দেখা করতে আসেনি।

আমার খুব কাছের একজন বন্ধু আমার সাথে দেখা করতে এসে বললো।

তোর প্রেমিকা যার জন্য তুই আমাদের সবাইকে ভুলে গিয়ে ছিলি। তাকে দেখলাম অন্য একটি ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আমি কিন্তুু তকে আগেই বলেছিলাম। মেয়েটা একটা রাক্ষশী।

সে ছেলের সাথে প্রেমের অভিনয় করে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। তার পরে তাকে পুলিশ এর হাতে ধরিয়ে দেয়। তুই তখন আমার কথা শুনিসনি।

তার কাছে অনেক টাকা পয়সা থাকায়। সেই টাকা পয়সা পুলিশকে দিয়ে সে সবসময় বেঁচে যায়।

কিন্তুু তোর মতো ছেলেদের জেলে বন্দী করে দেয়। 

আজকে তকে জেলে বন্দী করেছে কালকে ঐ ছেলেটাকে ও করবে।

একদিন তোর মতো আমি তার ফাঁদে পড়ে জেলে বন্দী ছিলাম-রে। অনেক কষ্টে এই ফাঁদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।

কি বন্ধু তুই তাহলে এতদিন আমাদের এসব কথা বলিসনি। তোর সাথে ও এরকম হয়েছিলো। সে তোর সাথে ও প্রেম করে ছিলো।

এই মেয়েকে আমাদের ঐ আটকাতে হবে। ওকে বুঝিয়ে দিতে হবে ছেলেরা কোন খেলার পুতুল নয়।

যে এক একটা নিবে, খেলা শেষে ফেলে দিবে। ও পেয়েছে কি ছেলেদের, আমরা ওকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি আর ও আমাদের লুটেপুটে খায়।

আজকে আমাকে জামিনে মুক্তি কর। আর আমার সমস্ত বন্ধুদের খবর দেয়।

 ও ভেবে ছিলো আমার টাকা পয়সা শেষ তাই আমাকে ফেলে চলে গেছে।

আর ও না গেলে বুঝতে পারতাম না। ওর আসল চ্যাহারাটা, এখন তাকে দেখি দিব ছেলেদের সাথে খেলা করার মজা।

আমার জামিন হলো এবং আমার অনেক বন্ধুর সাথে এরকম হয়েছে। সে তাদের সাথে ও প্রেম করে টাকা পয়সা হাতিয়েছে। 

তা আমরা সেই ছেলের সাথে বললে সে বুঝতে পারে। যার সাথে ও এখন প্রেম করছে। সে যানে না তার বাবা একজন পুলিশ অফিসার। আমরা বললাম তুমি আমাদের কথা মতো চলো এবং সে আমাদের সাথে যোগ দেয়।

একদিন শুজুক বুঝে তাকে আমরা ধরে নিয়ে আসি একটি বাড়িতে।

তাকে প্রশ্ন করি কি কারণে এসব করছো তুমি?

সে বললো তার নাকি ভালো লাগে এসব করতে। আমাদের মতো ছেলেদের সাথে খেলা করতে তার নাকি অনেক ভালো লাগে।

আমরা বললাম তুমি এসব ছেড়ে দাও তানা হলে আমরা সবাই মিলে তোমার ক্ষতি করবো।

সে তাদে ও মানলো না। তার নাকি মৃত্যু আসা আগ পর্যন্ত সে এসব করে ঐ যাবে।

আমরা তাকে পুলিশ এর ভয় ও দেখিয়েছি কিন্তুু সে বললো।

পুলিশতো আমার পা চাটা গোলাম ওরা আমার কিছু করবে না।

তদের বোকা বানিয়ে যেই টাকা পয়সা হাতিয়েছি আমি। তা শেষ করতে আমার আরো অনেকবার জন্মাতে হবে। তদের মতো পুরুষের কাছে আমি অপরাধী ঠিকই। কিন্তুু তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমি অন্য ছেলেদের সাথে খেলা শুরু করে দিবো।

আমরা সবাই এবার হাসতে শুরু করলাম। আর বললাম তুই নিজেকে খুব চালাক মেয়ে ভেবে ছিলি তাই না।

আমরা এবং তুই যা কিছু বলেছিস সব কিছু লাইভ টিভিতে দেখানো হয়েছে। এখন আজকের ভিতরে তুই ব্রেকিং নিউজ হয়ে যাবি।

যা এভার ভালোকরে ছেলেদের সাথে প্রেম কর। তুই যাদের সাথে প্রেম করে টাকা পয়সা হাতিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে সবাই বড় ঘরের ছেলে ছিল না। তাদের মধ্যে আমি একজন।

যেই সব টাকা পয়সা তুই আমাদের কাছে হাতিয়ে ছিলি। সেই টাকা গুলো আমাদের খুব কষ্টের টাকা ছিল। তুই আমাদের মিথ্যে বলে টাকা নিয়ে ছিলি।

আমাকে বলে ছিলি, তোর মার আজকে অপারেশন। তুই কিছু টাকার বেবস্থা করে ছিলি আরো টাকা লাগবে। তখন আমি তোর মার কথা ভেবে টাকা গুলো দিয়ে ছিলাম।

মনে রাখিস ভাল পুশাক ও ভাল গাড়ি নিয়ে চলা ফেরা করলে ঐ সাবাই বড় লোক হয়ে যায় না।

আর এখন যার সাথে প্রেম প্রেম খেলা করতে ছিলি। সে ছিলো পুলিশ কমিশনার এর ছেলে। সে তকে সত্যি কারের ভালোবেসে ফেলে ছিলো। তার বাবা ও যানে তার ছেলের ভালোবাসার গল্প।

আমরা তাকে ও সাথে করে নিয়ে এসেছি। 
স্যার এখনতো সব কিছু বুঝতে পেরেছেন। আপনার ছেলের মতো আমাদের জীবন নিয়ে ও এই মেয়ে খেলা করেছে। তাই তার উপর বড় কোন বেবস্থা নেন যাতে সে, আর কোন ছেলেদের সাথে ভালোবাসার খেলা করতে না পারে।

শুন একটা কথা ভালো করে। একদিন তুই সত্যি কারের ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে যাবি। কিন্তুু তখন কেউ তকে সত্যি কারের ভালোবাসবে না। আর সারা জীবন যাতে তুই জেলে পচে মরিস আমরা সে বেবস্থাই করবো। স্যার নিয়ে যান এই মেয়েকে।

সকালে বারে বারে তার ব্রেকিং নিউজ দেখিয়েছে। তার নিউজ দেখে দেশের মানুষ খুব ক্ষেপে যায়। এসব দেখার পর আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এরকম আরো গল্প পড়ুন এখানে।