রহস্যময় ঘটনা | আমি সব সময় এই স্বপ্ন গুলো কেন দেখি |

রহস্যময় ঘটনা

রহস্যময়-ঘটনা

আজকে ও এই স্বপ্নটা দেখলাম। আমার মৃত্যুর আগে মনে হয় স্বপ্নটা দেখে দেখে ঐ মেতে হবে। প্রথম প্রথম স্বপ্নটা আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। কিন্তুু দিন দিনতো ভয়ংকর রূপ ধারণ করা শুরু করলো। আমি যখন ঐ এই স্বপ্নের কথা ভুলে যাই। ঠিক সেদিনই এই স্বপ্ন নতুন রুপ ধারণ করে আমার কাছে আসে।
এইতো দুদিন আগে স্বপ্ন দেখলাম। 
আমি আবার অতিতের জায়গায় চলে আসলাম। আমার স্বপ্নে সব বাস্তবে রূপ নিয়েছে, আমি মাদ্রাসায় পরতাম আমার সেই প্রিয় হুজুরের কাছে, আমার সেই প্রিয় সব বন্ধুদের সাথে খুব মজা করে কুরআন তেলাওয়াত করছি। মনে হচ্ছে আমাদের থেকে সুখি এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমি যখন মাদ্রাসায় পরতাম আমরা সাপ্তাহে দুইবার একটি হাটে যেতাম। সেখানে সকাল ও বিকাল এর নাস্তার জন্য, কমদামে বিস্কুট থেকে পাওয়া যেত। আমরা এখান থেকে বিস্কুট নিয়ে যেতাম, আমি স্বপ্নে সব সময় এই হাটে যেতাম, আমি স্বপ্নে দেখলাম আমি হাটে গেলাম, সব জিনিস পত্র গুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে। আমি একটা একটা করে সব কিছু দেখতে লাগলাম।
এখন পর্যন্ত সব কিছু আগের মতো ঐ হচ্ছে, যা আমি অতিতে করেছি। আমি সব সময় হাটে আসলে এটা ঐ খেতাম, স্বপ্নে ও তাই করছি। কিন্তুু আমার হটাৎ করে হালিম খাওয়ার কথা মনে পরে গেল। আমি সব সময় হালিম এর সাথে বড় বড় হাড্ডি খেতাম খুব বড়। অনেক গুলো হালিম এর দোকানের মধ্যে একটা হালিম এর দোকানে সব থেকে বড় বড় হাড্ডি গুলো পাওয়া যেতো। আর সেখানে ও আমি খেতাম, স্বপ্নের মধ্যে যখন আমি হালিম খাওয়ার জন্য গেলাম। আমার আজকে কেমন যানি অন্য রকম লাগছে। আমি যখনই হালিম খাওয়ার জন্য গেলাম, আমি দেখলাম বিশাল বড় বড় হাড্ডি যা আমি জীবনে ও দেখিনি। আর হাড্ডি গুলো দেখতে পুরো মানুষ এর হারের মতো দেখতে। আমার মনে হচ্ছে মানুষের লাশ গুলো কবর থেকে নিয়ে এসে রান্না করে ফেলছে, আর তাই মানুষ বসে বসে খাচ্ছে। যার কাছে হালিম খেতাম সে আমাকে দেখে হাসছেন ও আমাকে ডাকছেন। আমি এসব দেখে ভয়ে অন্য একটি দোকানে চলে গেলাম। সেই দোকানের ছেলেটি আমাকে বলতে লাগলো ভাই ঐ দোকান থেকে হালিম খেয়েন না। কারণ সেখানে তারা মানুষের হার গুর রান্না করে খাওয়ায়। তারা খুব ভয়ংকর লোক তারা এমন হাড্ডি গুলো খাওয়ায় যা হুবহু মানুষদের হাড্ডি। আপনি আমাদের থেকে খান আমরা শুধু হালিম বিক্রি করি অন্য কিছু নয়। আমি লোকটিকে বললাম এক পেলেট হালিম দিতে এবং সে সাথে সাথে দিয়ে দিলো। আমার এসব কথা মনে করে খুব ঘৃণ করতেছে, খাইতে ইচ্ছা করছে না। তার পরে ও জোর করে আমি খাওয়া শুরু করে দিলাম।
কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম ঐ লোকটা আমার দিকে ভিকট চ্যাহারা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তার মুখ দিয়ে বলছে কি হালিম খাচ্ছেন আমাদের এখানে খেলেন না কেন? আপনার জন্য খুব বড় বড় হাড্ডি গুলো রেখেছি। আমি তখন হালিম এর পেলেটে দেখতে পেলাম বিশাল বড় একটা হাড্ডি যা দেখে আমি চিৎকার করে। হালিম এর পেলেট রেখে দৌড় দিলাম। এক দৌড়ে মাদ্রাসার গেটে এসে পরলাম, তখন হঠাৎ হুজুর ডাক দিলো মতিউর রহমান বাহিরে কি করছ? ভিতরে আসো। আমি হুজুর এর কথা শুনে ভিতরে গেলাম ও সবার সাথে শুয়ে পড়লাম। আমার এমন মনে হলো আমি মাদ্রাসায় পরার সময় কখনও এতো রাতে হালিম খাওয়ার জন্য যেতাম না। কিন্তুু আজকে এতো রাতে হালিম খাওয়ার জন্য কখন গেলাম। আমার এখন পুরো স্বপ্নটা মনে আছে, তাই আজকে আর এই স্বপ্ন আসবে না। আবার ভুলে গেলেই স্বপ্নটা আসবে তখন আবার লেখার চেষ্টা করবো।