Bhoot Fm 2022 | আমার নানির বাড়ি যাবার পথে সেই লাশ কাটা হসপিটাল

ভয়ংকর ভুতের গল্প

Bhoot Fm

Bhoot Fm

চেয়ে ছিলাম এই ঘটনাটি ভূত এফএম রেডিওতে শেয়ার করতে। কিন্তুু তার আগেই ভূত এফএম বন্ধ হয়ে যায়। আমরাতো এখন কার ছেলে মেয়ে তাই আগের খবর এতো যানতাম। যে ভূত এফএম বলতে ও একটা প্ল্যাটফর্ম ছিলো। পরে শুনতে পেলাম আমার একটা বন্ধুর নাকি এরকম ভূত এর গল্পের ওয়েব সাইট আছে তাই তাকে এই ঘটনাটি শেয়ার করতে বললাম। যাই হোক এসব কথা বাদ দেই আসল ঘটনা আসি।
আমার মা একদিন বাবার সাথে রাগ করে নানি বাড়ি চলে যায়। মার সাথে বাবার অনেক যগরা হওয়ায়, বাবা আমাকে বললো মাকে যেন বুঝিয়ে নিয়ে আসি। বাবা আমাকে নানির বাড়িতে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে অফিসে চলে গেলো। আমি তখন একটা মাদ্রাসায় পরতাম। মাদ্রাসা কতো দিন বন্ধ থাকায় আমি বাড়িতে ছিলাম। বাবা টাকা দিয়ে যখন চলে গেল আমি মনে মনে ভাবলাম মাকে আনতে সন্ধ্যায় যাবো। রাতে নানির বাড়িতে থেকে সকালে মাকে নিয়ে চলে আসবো। সারাদিন ঘুরা ঘুরি করে রাত প্রায় ১০টা বেজে গেল কখন খেয়াল ও করি নাই।
আমার নানার বাড়ি যেতে প্রথম মতো একটি বাসে করে ১২ বা ১৪ কিলোমিটার যেতে হয়। সিএনজি দিয়ে আরো ১৫ কিলো। বাস থেকে নেমে আবার সিএনজিতে উঠতে হয়। তার পরে আবার সিএনজি, এভাবে দুটো সিএনজি দিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার আসর পরে নানির বাড়ির বাজার পরে। তার পরে অনেকটা হেটে যাওয়ার পর নানির বাড়ি। রাস্তায় একা হসপিটাল পরে, ঐ হসপিটালটি অনেক পুরানো ও ভয়ংকর।

আমার খুব ভয় হতে লাগলো এতো দূর এতো রাতে কি ভাবে যাবো। আর না গেলে ও বাবা মারবে। বাবাকে খুব ভয় পেতাম আমি, সব চিন্তা ও ভয় ভুলে রওনা হলাম। বাসে উঠে পড়লাম এবং বাস থেকে নেমে দেখলাম প্রায় ১১টার কাছাকাছি সময় হয়ে গেছে। তার পরে আমি গিয়ে দেখলাম অনেক গুলো সিএনজি বসে আছে। আমি বললাম আপনারা কি যাবেন, তখন দেখলাম একটা সিএনজিতে কিছু পেসেঞ্জার বসে আছে। আমাকে সিএনজি ড্রাইভার বললো সিএনজির ভিতরে গিয়ে বসতে। এবং প্রায় ৩০মিনিট পর সব পেসেঞ্জার আসলে সিএনজি চালক সিএনজি ছাড়লো।

রাত তখন প্রায় ১২টার কাছাকাছি সিএনজি চলছে। চারো দিকে অন্ধকার রাস্তায় কোন লাইট নেই, সিএনজির লাইট দিয়ে চলছে সিএনজিটা। আমার তখন খুব ভয় হতে লাগলো সিএনজি থেকে নেমে পরলে আমি একা একা কি ভাবে যাবো। একথা চিন্তা করলে শরীলটা কেঁপে উঠছে। কাউকে কিছু বলতে ও পাচ্ছি না। হটাৎ করে আকাশ ফেটে বিদ্যুৎ এর মতো চমকাতে লাকলো। মনে হয় বড় ঝড় আসবে এবার ভয়ে আমার শরীল কাঁপতে শুরু করলো। আমার কাঁপা কাঁপি দেখে আমার পাশে থাকা একটি লোক বলে উঠলো, কি ছোট ভাই কি হয়েছে তোমার শরীল কাঁপছে কেন। আমি বললাম আসলে আমার শরীল বেশি ভালো না তাই এমন হচ্ছে মনে হয়।

এবার সিএনজি থেকে নেমে সাথে সাথে আরেকটি সিএনজি পেয়ে গেলাম। উঠে পরলাম এবং পৌঁছে গেলাম নানির বাড়ির বাজারে।

সিএনজি ড্রাইভার আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল আর বললো সাবধানে ছোট ভাই। এই রাস্তাটি বেশি ভালো না তুমি এতো রাতে কোথায় এসেছো। আমি বললাম আমার নানির বাড়িতে, সিএনজি ড্রাইভার বললো সাবধানে যেও। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, সিএনজি ড্রাইভার চলে গেল আমি হাঁটতে শুরু করলাম। হাতের ঘড়িতে দেখলাম প্রায় ১টা ১০ এর কাছাকাছি একটা সময় ছিলো তখন। বাজারের সব দোকান গুলো বন্ধ হয়ে গেছে, কোন লোক জন দেখা যাচ্ছে না কোথাও। মনে হচ্ছে সবাই চলে গেছে আর যারা দোকানে থাকে তারা ও সবাই ঘুমাচ্ছে, দোকান এর ভিতর। আমার সব থেকে ভয় করছে হসপিটাল এর কথা ভেবে। ঐ হসপিটালের রাস্তার পাশের রুম  টাতে লাশ কাটতো বা পোসমাডাম করতো। এসব ভেবে পুরো শরীর ঘেমে যাচ্ছে ভয়ে। শুনেছি ঐ রুমটার পাশে নাকি লাশের শরীর বা হাত পা চলা ফেরা করতে দেখছে লোক জন। আমার মা নানির বাড়ি থেকে এসে এসব কথা বলতো আমাদের।

তার পরে ও মন কে বুঝালাম এসব মিথ্যা কথা। এবার সাহস করে জোরে জোরে পা চালিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। চার পাঁচ মিনিট জোরে জোরে হাঁটার পর হসপিটালের গেটের সামনে এসে পরলাম। দেখতে পেলাম কোন সব্দ নেই চারো দিকে নিঃশব্দ রাস্তা, কোন কুকুর বা বিরাল ও নেই রাস্তায়। ভয়ে আমি দৌড় দিলাম ঠিক তখনই ঘটলো ভয়াবহ ঘটনা। আমি দেখলাম মানুষের একটা শরীল যার কোন মাথা নেই, সে হাঁটছে আমার দিকে। আমি আবার ও দেখলাম সে ঠিক আমার দিকেই আসছে। এটা দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারলাম না ভয়ে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

যখন আমার জ্ঞান ফিরলো আমি দেখলাম আমি নানির বাড়িতে একটা রুমে। মা আমার পাশে বসে কাঁদছে আর আমার বাবাকে বকছে। আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমার সাথে কি ঘটছে, আমি সব কিছু খুলে বললাম মাকে। তার পরে আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম আমি এখানে আসলাম কি ভাবে। মা বললো তকে একজন লোক সকালে পরে থাকতে দেখে, বুঝতে পারলো তুই মনিরের ভাগিনা। তাই তোর মামাকে খবর দিলে। তোর মামা তকে এখানে নিয়ে আসে। আমি আর মা একদিন নানির বাড়িতে থেকে আবার মার সাথে বাড়িতে চলে আসি। মা বাবার সাথে অনেক যগরা করে, মা বলে আজকে আপনার জন্য যদি আমার ছেলের কিছু হয়ে যেতো তাহলে কি করতেন।

এর পর থেকে আমার পুরো এক মাস জ্বর থাকে শরীলে। তার পরে আমি আর কখনো একা একা কোথাও যাইনি। এখনতো সেই দিনের কথা মনে হলে শরিলটা ভয়ে কেঁপে উঠে।