রহস্যময় ঘটনা | রহস্যময় গল্প পর্ব ২ | রহস্যময় ঘটনা ২০২২

রহস্যময় গল্প

রহস্যময় গল্প

প্রথম পর্ব পরে আসুন।

আমি দেখলাম আমার স্ত্রী পুরো উলঙ্গ অবস্থায় শুয়ে আছে। আর তার চুল গুলো ও অগুচালো, দেখে মনে হচ্ছে অন্য কেউ আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এসব দেখে আমার এবার খুব রাগ হলো আমি আমার স্ত্রীকে ডেকে তুললাম। আর জিজ্ঞেস করলাম তুমি এসব কি শুধু করছো, আর কেন করছো। আমি আরো কিছু বলার আগেই এবার আমার স্ত্রী কাঁদতে শুরু করে দিল।

আর বললো এই বাড়িটা ঠিক না, এখানে আসার পর থেকে আমি কেমন যানি হয়ে গেছি। আমি নিজে ও যানি না আমার সাথে এসব কি হচ্ছে। আমার শুধু মনে আছে দুজন লোক ঘরে ঢুকে আর দরজা বন্ধ করে দেয়, আমি যখন রুমের দরজায় ধাক্কা দেই তার পরে আমার আর কিছু মনে থাকে না। আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম এই দুজন কারা তুমি চিনতে পেরেছো।

আমার স্ত্রী বললো একজন পুরুষ ও একজন মহিলা, রুমের দরজা খুলতেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই, যখন জ্ঞান ফিরলো আমি দেখি আমি বিছানায় উলঙ্গ আমার শরীরে কোন কাপড় নেই। এমন অবস্থা প্রতিদিন আমার সাথে ঘটতে লাগলো, আমি আপনার সাথে ও বলতে পারছি না। যদি আপনি এসব শুনে আমাকে ছেড়ে দেন, আমি আপনার সাথে সহবাস ও করতে পারিনি, কারণ আমার শরীরে এতো বেথা যার জন্য কোন মেয়ে এমন অবস্থা সহবাস করতে পারবে না।

আমি এজন্য আপনার সাথে সহবাস করতে চাচ্ছিলাম না। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আর এই বাড়িতে আমি থাকলে হয়তো এভাবে ঐ একদিন মরতে হবে। আমার মনে হয় এই বাড়িতে কিছু একটা আছে। যে কিনা আমাকে প্রতিদিন নষ্ট করছে, আমার মনে হয় এই বাড়িতে কারো বড় কোন ক্ষতি হয়েছে। তাই এসব ঘটছে আমার সাথে, আপনি এই বাসাটা বদলে ফেলুন তাঁরা তারি ।

এসব তুমি কি বলছো, আরো আগে কেনো বললে না। যেই বাড়িতে আমার স্ত্রীর ক্ষতি হবে সেই বাড়িতে একটা মুহূর্তের জন্য থাকবো না। সকাল হতেই এখান থেকে চলে যাবো, তার পরে এসে বাড়ি থেকে মাল ছামানা নিয়ে যাবো। এখন অনেক রাত হয়ে গেছে আর আমি খুব ক্লান্ত হয়ে আসি। ঘুম থেকে উঠে সব খোঁজ কাছ করে রওনা হবো দূরে কোথাও।

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার স্ত্রীর কান্না শুনতে পেলাম। তার পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে তোমার কাঁদছ কেন, ও আমাকে দেখে আমার গালে জোরে দুটো থাপ্পড় দিয়ে বললো। আজকে যদি তোর স্ত্রীকে কেউ ধর্ষণ করতো। তাহলে কি তুই তাকে ছেড়ে দিতি, আমি তোর স্ত্রীকে প্রতিদিন উলঙ্গ করতাম শুধু মাত্র এসব আমার সাথে ঘটেছে তা বুঝানোর জন্য, কিন্তুু আমার কোন ক্ষমতা নেই তাকে ধর্ষণ করার। আর তোর স্ত্রীর শরীর ব্যথা করতো, আমি তার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করছি বলে। হয়তো এজন্য তার শরীরে‌ ব্যথা হচ্ছে।

আমি ও তোর মতো এই বাড়িতে একসময় থাকতাম। তোর স্যার আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে ও মেরে এই বাড়িতে পুতে রেখেছে। আমি যানতে পারলে সে আমাকে ও মেরে দেয়।

ভূতের গল্প

পরে আমার লাশটা পুলিশ নিয়ে গেলে ও আমার আত্মা এখানে ঐ রয়ে যায়। আমি ওয়াদা করি, তাকে না মারা পর্যন্ত এখান থেকে যাবো না। তাই আমার আত্মা এখানে রয়ে যায়। তুই তোর স্যারকে এখানে নিয়ে আস, তানা হলে এখান থেকে কোথাও যেতে পারবি না। তোর স্ত্রী আর তুই।

আমি এ কথা শুনে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। পরে দেখলাম আমি বিছানায় শুয়ে আছি, এবং আমার স্ত্রী আমার পাশে শুয়ে রয়েছে। আমি আমার স্ত্রীকে জাগিয়ে জিজ্ঞেস করলাম: আচ্ছা তুমি আমাকে কি? কিছু বলতে ছিলে। আমার স্ত্রী বললো কখন আমিতো মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। আমি শুধু রাতে আপনার সাথে কথা বলে ছিলাম পরে আর বলিনি।

 আমার স্ত্রীর কথা শুনে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আর মনে মনে ভাবতে লাগি সত্যি এই বাড়িতে কি ঘটছে আমার তা যানতেই হবে।

আমার স্ত্রীকে আমি সব ঘটনাটি খুলে বললাম। আর বললাম আমরা এই সমস্যাটা ঠিক না করে। এখান থেকে বেরুতে পারবো না। বেরুতে চাইলে আমাদের ক্ষতি হবে। আর তোমার ধর্ষণ হয়নি। সে তোমার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করলে, তোমার শরীরে ব্যথা শুরু করে। আর তার জন্য তোমার মনে হয় তুমি ধর্ষিত হয়েছ। আমার এটা ও মনে হয় সে আমাদের বড় কোন ক্ষতি করবে না। সে চাচ্ছে তার স্ত্রীর খুনিকে এখানে নিয়ে আসি।