ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
রাত খুব গভীর হয়েছে আমি একা একা হাঁটছি বাড়ির পথে। রাস্তায় কোন মানুষ নেই চারো দিক নিঃশব্দ হয়ে আছে। রাস্তার দু পাশে খুব জংগল। আমার হাঁটার শব্দের আওয়াজে মনে হচ্ছে, কেউ এই শব্দে খুব বিরক্ত বোধ করছে। মনে হচ্ছে সে বলছে আর একবার এমন শব্দ হলে তকে মেরে ফেলবো। ভয়ে আমার পুরো শরীর কাঁপছে, মনে মনে চিন্তা করলাম দৌড় দিব। চিন্তা করার পর পরই খুব জোরে দৌড় দিলাম। অন্ধ কারে কিসের সাথে খুব জোরে ধাক্কা খেলাম এবং মাটিতে পড়ে গেলাম। মাটিতে পড়ে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। অনেক সময় অজ্ঞান ছিল, যখন জ্ঞান ফিরলো আমি অন্ধ কারে পরে ছিলাম। তখন উঠে আবার দৌড় দিলাম, এবার দৌড়াতে দৌড়াতে চোখে পরলো একটি দোকানে, ঐ দোকানের পাশে খুব লাইট জ্বলছে। এবার লাইটের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম আর ঘড়ির দিকে তাকালাম, দেখলাম রাত ১২.৪৫ এমন বাজে। খুব ভয় হতে লাগলো, এতোটা রাত কি ভাবে কাটলো। আমি যখন বের হয়েছি তখনতো রাত ১০টা বেজে ছিল। এতটা সময় কি ভাবে পারহলো, তাহলে কি আমি এতোটা সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলাম।
এবার লাইটের আলোতে ও কেমন যানি ভয় ভয় লাগছে। আমার আশে পাশে তাকাতেই শরিলটা শিউরে উঠছে, মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে কোন মানুষ নেই, শুধু আমি একা।
এমন ও মনে হচ্ছে, আমার চার পাশে ভূত আর ভূত তারা আমায় চার দিক থেকে ঘেরাউ করে রেখেছে।
এই রাস্তাটা এমন ভয়ঙ্কর যে, রাতে কি দিনে ঐ কেউ গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। আমাদের বাড়ির যেতে হলে এই রাস্তা দিয়ে ঐ আস্তে হয়। তানা হলে নদীর মধ্যে দিয়ে ছাড়া রাস্তা নেই। নদীর মধ্যে দিয়েতো আর নৌকা ছাড়া চলা ফেরা করা যায় না। আর এতো রাতে কোন নৌকা চলে না। এবার চার দিক থেকে শিয়াল এর ডাক শুনতে পাচ্ছি, মনে হচ্ছে এই শিয়াল গুলো আমাকে ছিঁড়ে খাবে।
শিয়াল এর ডাকে মনে আরো বেশি ভয় করছে, আশে পাশে যদি কোন মানুষ থাকতো তাহলে হয়তো তার সাথে চলে যেতাম কিন্তুু কেউতো নেই এখানে। আমি সামনে এগুতে ভয় পাচ্ছিলাম, রাস্তায় উঁকি দিলে দেখা যাচ্ছে। রাস্তার দু'পাশে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার, মনে মনে ভাবতে লাগলাম সকাল হলে ঐ সামনে এগুবো। রাস্তার পাশে একটা যায়গায় বসলাম, শিয়াল এর ডাক গুলো মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে আরো বেরে যাচ্ছে। কিছু সময় বসার পর লাইট এর আলো কমতে লাগলো মনে হচ্ছে ব্যাটারির চার্জ নেই। এই ব্যাটারি গুলো রোদের তাপে চার্জ হয়। দুদিন খুব বিষ্টি ছিল হয়তো তাই চার্জ হয়নি বেশী। লাইডের আলো কমার সাথে সাথে ভয়টা ও বেরে যাচ্ছে। হটাৎ করে লাইডটা বন্ধ হয়ে গেল, চার দিক আবার অন্ধকার হয়ে গেল। এবার অন্ধকারে শিয়াল গুলো মনে হচ্ছে আমার খুব কাছে চলে এসেছে । আমি আর বসে থাকতে পারলাম না, উঠে জোরে দিলাম এক দৌড়। দৌড়াচ্ছি আর দোড়াচ্ছি, মনে হচ্ছে যে আমার মতো অসহায় মানুষ আর একটি ও নেই। হটাৎ করে রাস্তার মাঝখানে কি যানি একটা চোখে পড়লো, কিছুটা সামনে এগুতেই দেখলাম কালো কাপড় পরিধান করা একটা ছায়া রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। এটি দেখে আর আমি ঠিক থাকতে পারলাম না জ্ঞান হারিয়ে পরে গেলাম। তখন আর আমার কিছু মনে নেই, যখন জ্ঞান ফিরলো আমি দেখলাম রাস্তার কিছু মানুষ আমার চোখে পানি দিচ্ছে, আর বলছে ভাই কি হয়েছে আপনার রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছিলেন যে । আমি সব কিছু খুলে বললে এই ভাই আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। তার পর থেকে আর কোন দিন রাতে বের হইনি বাড়ি আসার জন্য। আমি কাজ করতাম একটি কম্পানিতে, ওখানে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে ছুটি হতো, আমি কাজের প্রথম দিকে বাড়িতে আসার পথে এমন ঘটনা ঘটে আমার সাথে। আমি বাড়িতে এই ঘটনাটি জানাইনি, তাহলে আমার বাবা মা এখানে কাজ করতে দিবে না।
আপনাদের কোন ঘটনা আমাদের এই সাইটে দিতে চাইলে, আমাদের এই জিমেইলে পাঠাতে পারেন।
jibonjuddhogolpo@gmail.com