খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার গল্প কষ্টের ২০২২

 না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

হাজারো ব্যাথা যন্তনা সহ্য করে ও তোমাকে পাইনি আমি, কারণ তুমি আমার নয় অন্য কারো হয়ে গেছ। তার পরে ও অনেক চেষ্টা করেছি তোমাকে পাওয়ার জন্য, এতোটা কষ্ট করে ও তোমাকে আপন করে পাইনি, তোমার কথা মনে হলে, কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। রাতে ঘুমের মধ্যে কেঁদে ওঠি, শুধু মাত্র তোমার জন্য, যানি তুমি আমাকে ভুলে গেছ, তুমিতো এখন টাকা সম্পদ পেয়েছ । শুনেছি তোমার বড় যায়গায় বিয়ে হয়েছে, তোমার বাবা মার অনেক পা হাতে ধরে ছিলাম তোমার জন্য, এতো কেঁদেছি তোমার জন্য, কিন্তুু কারো মন গলেনি। কারণ হচ্ছে ধন-সম্পদ কিছু নেই আমার কাছে, থাকলে হয়তো তুমি আজকে আমার হতে।
শুনেছি তোমার এতো ধন-সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সুখ নেই তোমার কপালে। কারণ তোমার বাবা-মা তোমাকে টাকা পয়সা ধন-সম্পদের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। 
শুনেছি তোমার বাবা মা নাকি তোমার স্বামীর বাড়িতে আসতে পারে না, এতো ধন-সম্পদ এর কারণে তাদের ফকির ফকির লাগে।
আজকে আমার ও ভালো যায়গায় চাকরি হয়েছে, হয়তো তোমার স্বামীর মতো এতো ধন সম্পদ নেই। ঐদিন চেষ্টা করলে তুমি আসতে পারতে আমার কাছে, কিন্তুু আসো নি, কারণ তোমার ও‌ ধন সম্পদের লোভ ছিল। আজকে তোমার সব আছে, টাকা পয়সা ধন-সম্পদ, এতো কিছু পেয়ে ও তুমি খুশি নও । কারণ টাকা পয়সা দিয়ে কখনো মনে সুখ কেনা যায় না। ঐ দিন তোমার মার সাথে দেখা, উনি আমার অফিসে কি যানি একটা কাজে আসলো, তার পরে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি এখানে কেন, আমি বললাম আমি এই অফিসে চাকরি করি। আপনি... আমি কিছু বলার আগেই তোমার মা বললো, বাবা টাকা পয়সার লোভে পড়ে আমি আমার মেয়ের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছি। বাবা তুমি আমাকে মাফ করে দি..ও, তার পরে আমি কিছু বলার আগেই উনি চলে গেলেন। আমি একদিন সময় করে তোমাদের বাড়ি গেলাম দেখলাম তোমাদের বাড়ি ঘর তালা মারা। পরে বুঝতে পেরেছি, তোমার বাবা মা এই বাড়ি ঘর বিক্রি করে দিছেন, দূরে চলে গেছেন। এভাবেই কেটে গেল ১০বছর, আমি ও বিয়ে করে সংসারী হয়েছি, একা জীবন আর ভালো লাগছিল না, আমার ৫ বছরের একটি মেয়ে ও আছে। হটাৎ একদিন অফিসে যাওয়ার পথে, তোমার সাথে দেখা, তুমি পাগলের মতন রাস্তায় বসে ছিলে, আমার তোমাকে দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না, সত্যি তুমি এটা । তোমার কিছুটা সামনে যেতেই, বুঝতে আর বাকি ছিল না এটা তুমি । তুমি ও আমাকে দেখে, চোখের পানি ছেড়ে দিলে, আর বললে আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি তোমাকে মার্কেট থেকে ভাল কিছু কাপড় কিনে দিলাম, তার পরে গোসল করিয়ে ভালো মতো খাবার খায়িয়ে, আমার বাড়িতে নিয়ে গেলাম, বিয়ের পূর্বে আমি তোমার সাথে সম্পর্কের সমস্ত কথা বলে ছিলাম আমার স্ত্রীকে। তাই আর বেশি কিছু বলতে হলো না, আমি বলার সাথে সাথেই চিনতে পেরেছিলো আমার স্ত্রী তোমাকে। আমি এখন যাচ্ছি তোমার বাবা মার ঠিকানা বের করতে, তুমি এখানে থাকো, আমার স্ত্রীর কাছে রেখে অনেক চেষ্টা করে তাদের ঠিকানা বের করে ছিলাম, ঐ দিন আর অফিসে যাওয়া হয়নি। ওদের ঠিকানা বের করে দিয়ে, আমি তাদের মেয়েকে ও আমার স্ত্রী এবং ৫বছরের মেয়েকে সাথে নিয়ে ঐখানে যাই, এবং সমস্ত কথা খুলে বলি। আমাকে তারা বললো, অনেক বার মেয়ের আশায় তারা তাদের মেয়ের জামাইর বাড়িতে গিয়ে ও পায়নি তাদের মেয়েকে। তার মেয়ের জামাই, বলতো আপনার মেয়ে অন্য কারো সাথে পালিয়ে গেছে, আপনারা আর কখনো আমার বাড়িতে আসবেন না, ও ঐ যে আমার মেয়েকে পাগল করেছে, এটা বুঝতে পাড়ি নাই, আর তার পরে অনেক আফসুস করে বললো, আমাকে কেন তারা মেয়ের জামাই হিসেবে কবুল করে নাই। তাদের মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে আমি আর আমার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আবার রওনা হলাম, অনেক চেষ্টা করেছে আমাদের কিছু দিন এর জন্য রেখে দিতে, কিন্তুু আমি বললাম আমি আর এই মায়ায় জড়িয়ে পরতে চাই না। আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিয়েন, অনেক জালিয়েছি আপনাদের। বাড়িতে এসে বড় একটা নিঃশ্বাস নিলাম, মনে মনে ভাবতে লাগলাম, অতিথের কথা ভাবতে লাগলাম , অনেক কষ্ট পেয়েছি। কারণ উনারা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, আজকে তাদের চোখ খুলেছে, বুঝতে পেরেছে ঐ দিন কতটুকু ক্ষতি করেছে তাদের মেয়ের, আমি ও কম কষ্ট পাইনি । কিন্তুু দেখতে দেখতে ১০টা বছর চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল। তার পর আমার স্ত্রী সন্তান আছে, ওদের প্রতি আমার সব থেকে বেশি মায়া ও দায়িত্ব পরে গেছে। আমি কখনো আর তোমার কাছে যেতে পার্ব না। আমি আর কখনো তোমার জন্য কষ্ট পাবনা, কারণ তোমার কথা চিন্তা করার আগে, আমার স্ত্রী ও মেয়ের চিন্তা করতে হবে। আমি চাই তুমি সবসময় ভালো থাকো, তোমার বাবা মার সাথে। হটাৎ করে আমার স্ত্রী বলে উঠলো, আপনি কি চিন্তা করছেন, আপনি চাইলে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে নিতে পারেন আমি বাধা দিব না। আমার স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে, মনটা আনন্দে ভরে গেল, আমি কোন ভুল করি নাই এই মেয়েকে বিয়ে করে। আমি আমার স্ত্রীর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম, আমি কথা দিচ্ছি জীবনে তোমাকে ছাড়া কোন মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে কবুল করে নিতে পারবো না। আমার স্ত্রী ও আমার এমন কথা শুনে আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো, আমি ও মানুষ চিনতে ভুল করি নাই, এবং আমার কপালে চুমু খেতে লাগলো। এভাবেই আমার স্ত্রী সন্তানের সাথে জীবন কাটতে লাগলাম।