সুন্দরী মেয়ের গল্প | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প | রহস্যময় গল্প পর্ব ১

 সুন্দরী মেয়ে

রহস্যময় গল্প

একজন গরিব ছেলের সাথে একদিন পৃথিবীর বিশ্ব সুন্দরীদের মধ্যে একজনের দেখা হয়, মেয়েটি বুর্কা পরিধান করা অবস্থায় ছিল। মেয়েটির সাথে দেখা হওয়ার পর, সে ভাবতে লাগলো তার হাতের আর দুচোখের এতো সৌন্দর্য, তাহলে সে কতটা সুন্দরী, ছেলেটি এসব চিন্তা করত  করতে মেয়েটিকে তার মনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছে, সে ভাবতে লাগলো এই মেয়েটি যদি আমার স্ত্রী হতো। 
আর এদিকে মেয়েটি ও সেই ছেলেটিকে দেখে বললো আমি কখনো পুরুষ মানুষ দেখিনি, এই প্রথম আপনাকে দেখলাম! গতকাল আমার মা মৃত্যুবরণ করার পর, এই প্রথম আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছি, আমার ১৬বছরে একবার ও আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। 
প্রেমের গল্প
আমার মা বলেছে, পৃথিবীটা খুব ভয়ংকর, তাই সে আমাকে এতো দিন লুকিয়ে রেখেছেন, মানুষ আমার এতো সুন্দর্য দেখে আমার ক্ষতি করবে, আমাকে ছিঁড়ে বিরে খাবে, মা মৃত্যুর পূর্বে আমাকে বলে গেছেন ভাল একজন জোবক এর কথা, সে এই জমিতে কাজ করে, তার পরিবারে আপন বলতে কেউ নেই সে একা, তাই‌ কোন ভয় নেই আমার, মা বলেছে তাকে বিবাহ করে নিতে,
ভালোবাসার গল্প
আমার মনে হয় আপনিই সেই জোবক? যার কথা মা আমাকে বলতো, এখন বলেন আপনি আমাকে বিবাহ করতে রাজি আছেন কি'না।
রোমান্টিক গল্প
মেয়েটির এমন কথা শুনে ছেলেটির মনে খুব খুশী হতে লাগলো, সে আবারো বললো আপনি কি সত্যি আমাকে বিবাহ করতে চাচ্ছেন? 
মেয়েটি বললো আমি কখনো মিথ্যা কথা বলি না, কারণ আমি কখনো মানুষদের সাথে উঠা বসা করি নাই, যে মিথ্যা কথা শিখব।
গল্পের বই পড়তে চাই
খুব পর্দা অবস্থায় মেয়েটির বিবাহ হলো ছেলেটির সাথে, কারো এক নজর ও পরে নাই, চার দিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, যেরকম মেয়েটি চেয়ে ছিলো। 
কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি এই সাধারণ ছেলেটি এতো সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করেছেন। কেউ কল্প না ও করতে পারে নাই।
জীবনের গল্প
বাসর রাতে ঘরে ঢুকতেই দেখলেন তার চাঁদ মাখানো নতুন স্ত্রী গুমটা দিয়ে বসে আছে, সে দিন রাতে আর ছেলেটি ঘুমাতে পারে নাই, তার স্ত্রীর মুখ দেখে দেখে রাত কাটিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীতে এমন সুন্দর মেয়ে আর দৃতিয়টা নেই? তার এমন মনে হয়। আর তার স্ত্রী সারা রাত ঘুমিয়েছে, পরে সকালে উঠে দেখে তার স্বামী তার দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ গুলো লাল হয়ে আছে, সে বুঝতে পেরেছে তার স্বামী তার সুন্দর চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছে। সারা রাত শুধু চেহারা দেখে গেছে। এভাবে একমাস শুধু দেখেই গেছে তার স্বামী, আর মনে মনে ভাবে, মানুষ এতো সুন্দর হতে পারে, সুবাহানাল্লাহ।
ইসলামিক গল্প
এখন তারা সংসার শুরু করেছেন, ছেলেটি যেদিন থেকে এই মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তার দিন গুলো খুব সুন্দর ও ভালো ভাবে যাচ্ছে। খুব সুখে শান্তিতে তারা সংসার শুরু করেছেন।

একদিন কি হলো তাদের বাড়িতে একজন মহিলা আসলো, সে হটাৎ করে আসলো। আর এসেই বললো নতুন বউ দেখবে সে। বাড়িতে মেয়েটির স্বামী ছিলেন না, সে বাহিরে তার জমিতে কাজ করছিলেন। 

মেয়েটি বললো আমার স্বামী আসুক পরে দেখে‌ যাবেন। তখন মহিলা বললো এটা আবার কেমন কথা, আমিতো কোন পুরুষ মানুষ নইযে, তোমাকে দেখালে  কোন সমস্যা হবে।
মেয়েটি বললো আমার স্বামীর অনুমতি ছাড়া আমি আমার চেহারা কাউকে দেখাবো না, আপনি বসুন আমার স্বামী আসুক পরে দেখা যাবে কি করা যায়।

মহিলাটি রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল, এবং মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো। সামান্য একটা ছেলের এরকম স্ত্রী কি ভাবে হলো। তার চেহারা ঐ দেখতে দেয় না, কারণ কি? তাহলে কি কোন রহস্য আছে? মহিলা তার স্বামীর কাছে বুদ্ধি করে গিয়ে বললো, তুমিতো পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করেছ, আমি তোমাদের বাড়ি থেকে তোমার স্ত্রীকে দেখে আসলাম। এমন সুন্দরী মেয়ে আমি জীবনে ও দেখিনি, মেয়ের স্বামী ও মহিলার সাথে তাল মিলিয়ে বলতে লাগলো আমার স্ত্রী এতোটা সুন্দর যে, রাতে তার রুপের আলোতে পুরো রুমে আলোকিত হয়। তাকে একবার কেউ দেখলে চোখ ফিরাতে পারে না, শুধু দেখতেই মনে চায়। মহিলা এবার সব বুঝতে পারলো তার জন্য সে আমাকে তার চেহারা দেখায়নি।

মহিলা মেয়েটির স্বামীর সাথে কথা বলে। সুজা জমিদারের কাছে এই কথা বললো, জমিদার ছিলো খুব খারাপ মানুষ, সে মানুষদের খুব নির্যাতন করতো। মহিলা বললো আপনার মতো এতো বড় জমিদার থাকতে, এতো সুন্দরী রুপসী সামান্য একটা গরীব ছেলের ঘরে কি ভাবে। 
জমিদার রেগে গিয়ে তাদের দুই-জনকে ধরে নিয়ে আসলো।
রহস্যময় গল্প
এই মেয়ে তুমি আমার মতো এতো বড় জমিদার থাকতে, সামান্য একটা গরীব ছেলেরে বিয়ে করছ কেন? তোমার কি আমাদের চোখে পড়ে নাই ।

মেয়েটি এবার বুঝতে পেরেছে ধরা পড়ে গেছে আর কিছু লুকিয়ে লাভ নেই। যদি সত্যি কথা বলে জমিদার তাদের কোন ক্ষতি না করে। তাই সব সত্যি বলে দিল এবং তাদের দুজনের সংসারে যাতে কেউ কোন খারাপ নজর না দেয় তার জন্য জমিদারের কাছে অনুরোধ করলো, কিন্তুু মেয়েটি যানে না, জমিদার ঐ সব থেকে বেশি তাদের ক্ষতি করবে।

জমিদার সব কিছু শুনে, মেয়েটির চেহারা দেখার জন্য পাগল হয়ে গেলো। তার আর কোন কথা শুনতে মন চাচ্ছে না।
জমিদার এবার সরাসরি বললো এই মেয়ে তোমার চেহারা আমি দেখতে চাই, জমিদারের সভায় বসা সবাই ও বললো আমরা ও দেখতে চাই।
গল্প ভালোবাসার গল্প
মেয়েটি না করায় জোর করে তার চেহারা খুললো। তার চেহারা দেখে সবাই স্বপ্নের জগতে চলে গেল, এতোটা সুন্দর মানুষ জীবনে কখনোই দেখেনি কেউ, এই সুযোগে মেয়েটি তার স্বামীকে নিয়ে এখান থেকে পালিয়ে গেল।

মেয়েটি বললো এখন আমাদের আর বাড়িতে যায়া চলবে না। জমিদার আমাদের ক্ষতি করবে আমরা এখান থেকে দূরে চলে যাব।
স্বামী ও বুঝতে পেরেছে জমিদার এতো সহজে তাদের ছাড়বে না। 
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা
জমিদারের হুঁশ ফিরে আসতেই, সে এলাম করে দিলো, যে তাদের দুজনকে ধরে নিয়ে আসতে পারবে, তাদের জমিদার তার সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দিবেন। জমিদার জীবনে এতো সুন্দর মেয়ে মানুষ দেখে নাই, জমিদার এই মেয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছ, তানা হলে এতো বিশাল সম্পত্তির অর্ধেক কেউ দেয়।
মানুষ সম্পত্তির লোভে পড়ে মেয়েকে না পেলে ও তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। জমিদারের কাছে, জমিদার মেয়েটির স্বামীকে বললো আমার সব কিছু তোমাকে দিয়ে দেব তার পরে ও তুমি এই মেয়েকে আমার হাতে তুলে দাও। মেয়েটির স্বামী বললো আপনি আমাকে আপনার সম্পত্তি দিয়ে আমার স্ত্রীকে কিনতে চাচ্ছেন। 

পৃথিবীতে কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দিবেন না। সে সুন্দরী হোক বা অসুন্দর। আপনি হাজারো চেষ্টা করে ও আমার স্ত্রীকে আমার থেকে আলাদা করতে পারেন না। তখন জমিদার তাকে বললো আমি তোমার স্ত্রীর সাথে একটা রাত কাটাতে চাই, তার বদলে তুমি আমার সব কিছু নিয়ে যাও ।

ছেলেটি মনে মনে ভাবতে লাগলো এখান থেকে বের হতে হবে আমাকে,‌‌‌পরে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাব। আগে জমিদারের মহল থেকে বের হই। তার জন্য জমিদারের কথা শুনে আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে।
পর্ব+১

পরের পর্ব....