স্ত্রী সহবাসের দোয়া | স্বামী স্ত্রীর সহবাস এর নিয়ম | মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়


 স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম

স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম

১| স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়া।

( بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

সহবাসের দোয়া বাংলায় উচ্চারনঃ ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।’

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি (যৌন মিলন বা সহবাস)। তুমি আমাদের কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এই মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, সে সন্তাকেও শয়তানের আক্রমন থেকে দূরে রাখ। )

২ | সহবাসে স্ত্রীর বাধ্যতামূলক কি?

স্বামী উত্তেজিত হয়ে গেলে, স্ত্রীর বাধ্যতামূলক স্বামীর সাথে সহবাস করা। নাহলে ফেরেশতারা তাদের উপর লানত করেন।
সহবাস করার সময় অবশ্যই সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ রেখে সহবাস করা উচিত, যাতে করে অন্য কেউ না দেখে।
অন্য কারো চোখে পরলে অবশ্যই সমালোচনা করবে, এতে পরিবেশ নষ্ট ও গুনাহগার হবেন।

স্বামী স্ত্রী দু-জনই সহবাস এর কথা এসব অন্যদের সাথে শেয়ার না করা। এসব বললে ও আপনি গুনাহগার হবেন। মানুষ খারাপ মন্তব্য করবে, ও খারাপ চিন্তা ভাবনা করবে।

৩ | স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস

কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে জোর-দাবি করে পিছনের রাস্তায় সহবাস করে, তাহলে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অভিশাপ লাগবে।

স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করা হচ্ছে হারাম, যদি কোন মুসলিম স্বামী-স্ত্রী এতে লিপ্ত হয়। অবশ্যই তারা গুনাহগার হবেন।
আর দ্বিতীয়তো হচ্ছে পিছনের রাস্তায় সহবাস হলে, স্ত্রীর হক নষ্ট হয়, পুরুষাঙ্গের ক্ষতি হয়। 

কোন স্বামী তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তা সহবাস করলে, সে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্য কাজ করবে, এবং সে পশুর মতো হয়ে যায়। আর নারী পিছনের রাস্তায় সহবাস সজ্য করতে পারে না।

কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তায় সহবাস করার ইচ্ছা যাগে, অবশ্যই যেনো তার উত্তেজনা কমিয়ে নেয় সহবাস এর মাধ্যমে, তার পরেও এমন নিকৃষ্ট কাজ না করা। উত্তেজনা কমিয়ে নিলে, এমনিতেই কমে আসবে এমন ইচ্ছা।

৪ | স্ত্রী সহবাসের পর

স্বামী স্ত্রীর দু-জনই কিছু সময় একে অপরকে জরিয়ে ধরে শুয়ে থাকা। স্ত্রীর উপর স্বামী শুলে, এমন ভাবে শুয়া যাতে স্ত্রীর কষ্ট না হয়।

স্বামী স্ত্রী সহবাস করার পরে অবশ্যই যতোটা সম্ভব ফরজ গোসল করে নেয়া, না হলে জমিন থেকে তার উপর লানত আসে, তাকে অভিশপ দেয় জমিন। আর এমন নাপাক অবস্থায় চলাচল করা ও ঠিক নয়।

৫  | স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় সহবাস

কোন স্বামীর জন্য জায়েয হবে না মাসিক অবস্থায় সহবাস করা। যতখণ না স্ত্রীর মাসিক বন্ধ হয়, ও পাক পবিত্র হয়।
স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন সময়ে সহবাস না কারা এবং মাসিক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

হাদিস শরিফে স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত আছে, মাসিক অবস্থায় সহবাস করা হারাম। তাই অবশ্যই সেই সময় স্ত্রীদের সাথে না মেলা-মেশা করা, যতখণ না সে পাক পবিত্র হয়।

মাসিক চলাকালীন একটি নারী খুব অসুস্থ থাকে, অসহ্যকর ব্যাথা-বেদনা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি। তার সাথে শরীরের অবস্থা ও খুব খারাপ হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্ত ভাঙ্গার কারণে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, এমন অবস্থায় স্বামী তার সাথে সহবাস করা, তার উপর অমানবিক জুলুম ছাড়া আর কিছুই হবে না। তাই অবশ্যই স্ত্রী সুস্থ হওয়া পর্যন্ত একটুও কষ্ট করি।