রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব | রোজার ফজিলত | রোজা না রাখার শাস্তি

রোজা নিয়ে কিছু কথা

রোজা নিয়ে কিছু কথা

ঐতো কিছু দিন আগে একজন লোক আমাকে বললো। আমি যেনো রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করতে পারি।
তখন আমি বললাম আপনিতো তাহলে সব গুলো রোজা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
আমার কথায় সে বললো না আমি রোজা ও নামাজ আদায় করতে পারি না। কারণ রমজান মাসে আমার অনেক কাজ থাকে আমি খুব ব্যস্ত থাকি।
অথচ সে রমজান মাসে মরতে চায়। কি হবে রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করে, হয়ে কিছু সময় কবরের আযাব হবে না। কবরের আযাব ক্ষমা থাকবে। রমজান মাস চলে গেল ঠিকই কবরের আযাব শুরু হবে যাবে।
এসব আবেগী কথা বাদ দিয়ে, রোজার মাসকে আঁকলে ধরুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও ৩০টা রোজা আদায় করুন। আল্লাহ জন্য একটা মাস কাজ বন্ধ রাখতে পারবেন না? আর যদি না রাখতে পারেন রোজা ও নামাজ গুলো অন্তত আদায় করুন।

রমজান মাসে মৃত্যুর করলে মানুষ বলে কবরের আযাব ক্ষমা করা হয়।
কিন্তু রমজান মাসতো সারাবছর থাকবে না। তখন আপনার কি হবে? তাই আবেগের বশে নিজের ক্ষতি করবেন না। আল্লাহর হুকুম গুলো মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রোজা গুলোকে পূরণ করুন। দেখবেন আল্লাহ পাক খুশি হয়ে আপনার কবরের আযাব ক্ষমা করে দিবেন।

ইসলামিক বাস্তব গল্প

একবার মৃত্যু হয়ে গেলে ফিরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তখন মানুষের নেক আমল করার কোন পথ থাকে না। শুধু নেককার সন্তান ও সদকায়ে জারিয়া বাদে।
সত্যি যদি মৃত মানুষ কবর থেকে ফিরে আসতে পারতো, আমার মনে হয় তার থেকে বেশি কেউ কখনো নেক-আমল করতে পারতো না।
তাই সব সময় নেক-আমল করার চেষ্টা করুন। দুনিয়ার ধন-সম্পদ আপনার সাথে যাবে না, সাথে যাবে ঈমান ও আমল।
বিশেষ করে রমজান মাস পেয়ে কখনোই ছেড়ে দিবেন না, রমজান মাস পেয়ে যে তার গুনাহ গুলো ক্ষমা করাতে পারলো না, তার থেকে হতভাগা আর নেই।

মৃত মানুষ কখনো কবর থেকে ফিরে আসতে পারবে না। যদি পারতো তাহলে কখনোই তার সাথে নেক আমল করে পেরে উঠতো না। 😭