স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার কথা ও সম্পর্ক | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ঝগড়া | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা গল্প

 স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত

স্বামী স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা এমন হওয়া উচিত, স্বামীর অভাব অনটন দেখা দিলে, স্ত্রী স্বামীর পাশে থাকা, আর স্ত্রীর অসুস্থতার সময় স্বামী তার স্ত্রীর পাশে থাকা। এভাবে থাকতে পারলে কখনোই তাদের বিচ্ছেদ ঘটবে না।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গুলো মজবুত করতে, সব সময় একে অপরের সাথে ভালোবাসা ও আদর সোহাগ করা। স্ত্রীদের সব সময় ভালোবেসে রাখা, স্ত্রীরা সবসময় তার স্বামীর আদর সোহাগ চায় ও তাকে নিজের পাশে চায়।

স্বামীরা তার স্ত্রীকে সব থেকে বেশি পছন্দ করে, যদি সেই স্ত্রী তার দরিদ্র অবস্থায় তার পাশে থাকে, ধন-সম্পদ নিয়ে নয়, স্বামী নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। এমন স্ত্রীদের তাদের স্বামীরা বেশি ভালোবাসে। এমন স্ত্রীরা সবসময় তার স্বামীর কাছে সম্মানিত হয়।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা হয় হালাল ও পবিত্র। এই সম্পর্ক আল্লাহ পাক পছন্দ করেন, সমাজ পছন্দ করেন, সব যায়গায় সম্মান ও মর্যাদা পায়। কারণ এটা হচ্ছে হালাল সম্পর্ক। যাতে কোন অপবিত্রতা নেই।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা উক্তি

নারী তুমি সুখী থাকতে চাও, তাহলে কখনোই স্বামীর মুখে মুখে কথা বলো না। স্বামীর মুখে মুখে কথা বললে কপালে তোমার সুখ জুটবে না।

সেই স্ত্রী বেয়াদব হয়, যে তার স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করে। স্বামী কোন হুকুম দিলে কখনো মেনে চলে না। তার ইচ্ছা মতো সে জীবন চালাতে চায়। হয়তো এজন্য এমন নারী গুলো তার স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্বামীর ভালোবাসা কি ভাবে পাবে তুমি। তুমিতো তার হুকুম মেনে চলতে বাধ্য নও। তুমিতো দ্বীনের উপর চলতে রাজি নও। তুমিতো তোমার দেহটা স্বামীর জন্য পবিত্র করে রাখনা। আসলে তুমি স্বামীর হুকুম মেনে নয়, তোমার হুকুম মতো স্বামীকে চলাতে চাও। হয়তো এজন্য স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হও।

এখন স্বামী স্ত্রীর সংসারে সুখ শান্তি থাকে না, কারণ হচ্ছে স্ত্রীরা তার স্বামীকে তার হুকুম মেনে চলাতে চায়, তাকে নিজের মতো করে নাচাতে চায়, অথচ স্ত্রীকে তার স্বামীর খেদমত করার জন্য বানিয়েছেন, আর স্ত্রী স্বামীকে দিয়ে তার খেদমত করাচ্ছে, শুধু খেদমত নয় অমানুষিক অত্যাচার ও করছেন। হয়তো এজন্য নারীদের কপালে সুখ শান্তি জুটে না।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ছন্দ

স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে হলে অবশ্যই তাকে, দ্বীনের পথে নিয়ে আসতে হবে, কারণ দ্বীনের বুঝ তার ভিতরে চলে আসলে, তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও চলে আসবে। আল্লাহ পাক দ্বীনদার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঐ ভালোবাসা বেশি দিয়েছেন। হয়তো এজন্য দ্বীনদার স্বামী স্ত্রীরা বেশি সুখী হয়।

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কখনো কমবে না, স্বামীর রাগ উঠলে স্ত্রী যদি চুপ থাকে, স্ত্রীর রাগ উঠলে স্বামী যদি চুপ থাকে, স্বামী রাগের মাথায় কিছু বললে, স্ত্রী মুখে মুখে তর্ক না করলে, আবার স্ত্রী কিছু বললে স্বামী কিছু না বললে। এভাবে থাকতে পারলে কখনো স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কমবে না, যগরা জাটি ও হবে না।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আল্লাহ পাক সৃষ্টি করে দিয়েছেন, হালাল ও পবিত্র করে, তার পরে ও কি হতে পারে, এর থেকে পবিত্র সম্পর্ক কি আর হয়। যা কি না আল্লাহ পাক নিজে সৃষ্টি করেছেন।

নারী পুরুষের মধ্যে উত্তম হলো তারা। যারা সর্বদা হালাল রিজিক বহন করে। তার মধ্যে স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে হালাল ও পবিত্র। যদি তারা আল্লাহর হুকুম মতো বিবাহ করে।