স্ত্রীকে পরকিয়া থেকে বাঁচানোর উপায় | প্রবাসী স্বামীদের জন্য

 পরকিয়া

পরকিয়া

পাঁচ থেকে বছর বছর পরে একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর কাছে আছে, তখন স্ত্রী কতটা আনন্দিত হয়, স্বামী ও তার স্ত্রীকে আনন্দিত দেখে, কতটা খুশি হয়। হয়তো স্বামী তার পরিবার ও স্ত্রীর জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়ে ছিলো।

পাঁচ থেকে ছয় বছর পরে যখন স্বামী তার বাড়িতে এসে শুনতে পায়, তার যাওর পর থেকে সে পরকিয়া করে বেড়িয়েছে, তখন স্বামীর মনে কেমন কষ্ট লাগে, অথচ তার জন্য পাঁচ থেকে ছয় বছর বাহিরে, গিয়ে খেটেছেন স্বামী। এমন ঘটনা এই সময়ে বেশি হচ্ছে।

স্বামী বাহিরে গিয়ে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে, আর স্ত্রী দেশে বসে বসে, সেই টাকা দিয়ে পুরুষদের সাথে ঘুরে বেড়ায়, স্বামী যখন বাহির থেকে দেশে ফিরে আসে, তখন তার স্ত্রী তাকে চিনতে অশিকার করেন, স্বামী সমস্ত টাকা পয়সা স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে ছিলেন, এখন স্বামীকে, নয় বরং তার পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে থাকবে, স্বামীকে তখনই ছেড়ে দেন।

পরকিয়া প্রেম

পরকিয়া প্রেম হয় বেশিরভাগ প্রবাসীদের স্ত্রীদের সাথে, কারণ স্বামীর সাথে বিয়ে হওয়ার পর পরই, স্ত্রীকে একা রেখে বাহিরে চলে যায় স্বামী। একজন ‌নারীর ও খায়েশ থাকে, স্বামীর সাথে থাকার ইচ্ছা থাকে, তার যৌবন জালা থাকে, নারী খুব সরল ও ধৈর্য হারা থাকে, হয়তো সব নারী এক নয়, কিন্তু স্বামী পাশে না পেয়ে সে এমন কাজ করতে বাধ্য হয়।

স্ত্রীর পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার পিছনে স্বামী ও দায়ি, কারণ সে তার স্ত্রীকে যুবতী অবস্থায় ছেড়ে চলে যায়, এমন সময় স্বামী তার স্ত্রীর কাছে থাকা সব থেকে উত্তম। কারণ এই সময়টা চলে গেলে, আর ফিরে আসবে না। তাই স্বামীদের করণীয়, এই সময় স্ত্রীর সাথে কাটানো।
সামান্য কিছু গল্প এই বিষয়ে।

বাস্তব জীবনের গল্প

বাহিরের দেশ থেকে একজন বড় বিজ্ঞান আসলো, একজন মাছ ধরার জেলেদের কাছে, তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি সারাদিন কত টাকার মাছ ধরো, জেলে বললো, আমি এতটুকু পরিমাণ মাছ ধরি, তা'দিয়ে, আমি আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলতে পারি। আমি কিছু সময় মাছ ধরি, আর বাকি সময়টা স্ত্রী সন্তানদের সাথে কাটাই।
তখন সেই বিজ্ঞান লোক বলে উঠলো: আমি কি তোমাকে আরো বেশি আয় রোজগার এর পথ বলে দিব?
তখন বিজ্ঞান বলতে লাগলো, আমি তোমাদের আরো কিছু নৌকা দিব, সেগুলো দিয়ে তোমরা, আরো বেশি মাছ ধরবে এবং সেগুলো বিক্রি করে করে, আরো নৌকা কিনবে ও একসময়, তোমাদের অনেক নৌকা ও টাকা হবে? সেই টাকা দিয়ে তুমি দেশের বাহিরে গিয়ে, ২০ থেকে ২৫ বছর কাজ করবে, তার পরে বাকি জীবনটা, স্ত্রী সন্তানদের সাথে কাটবে।
তখন সেই নৌকার জেলে বলে উঠলো, তাহলে এখন আমরা কি করি? ২০-২৫ বছর, ধরে ইনকাম করে, তাদের কখনোই পাশে পাবনা, কারণ ২০-২৫ বছরে কত কিছু ঘটে যেতে পারে। এমন বুঝ আপনার আমার মধ্যে দরকার।
জেলে কি বলেছিলেন? আমি এখন কি করি, আমি এখনতো স্ত্রী সন্তানদের সাথে কাটাই, তাহলে বাহিরে গিয়ে কেন ২০-২৫ বছর নষ্ট করবো।