হাস্যকর মজার গল্প | পুরানো মজার গল্প | ছোট মজার গল্প

 দুই বন্ধুর মজার গল্প

দুই বন্ধুর মজার গল্প

বল্টু শহরে থাকে। তার

বউ সখিনা থাকে গ্রামে। বল্টু বন্ধু আবুল সেও শহরে থাকে। আবুল খুব ঘন ঘন গ্রামে আসতো। 

.

.

তো বল্টু একদিন সখিনার জন্য “শাড়ি” কিনে পাঠালো আবুলের মাধ্যমে। :

:

প্যাকেট খোলা দেখে সখিনা বুঝতে পারলো আবুল

শাড়ির প্যাকেট

খুলে দেখেছে।

.

.

.

কিছুদিন পর আবার

বল্টু সখিনার জন্য “ব্লাউজ” কিনে পাঠালো আবুলের মাধ্যমেই। আবারো প্যাকেট খোলা দেখে সখিনা বুঝতে পারলো আবুল প্যাকেট খুলে

দেখেছে।

.

.

বেশ কিছুদিন পর আবার

বল্টু সখিনার জন্য প্যাকেট “দুধ” কিনে পাঠালো ঐ আবুলের মাধ্যমেই। :

:

এবার সখিনা প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখে প্যাকেট তো খোলা এর উপর আবার প্যাকেটে অর্ধেক দুধ নাই।

.

.

তাই সখিনা রাগে- দুঃখে বল্টুকে চিঠি লিখলো। চিঠিতে যা লিখলো

.

.

.

. .

.

শোন তোমার বন্ধু ঐ

আবুইল্যা একটা জানোয়ার !! সে প্রথমে আমার শাড়ি খুলছে, আমি কিছু বলি নাই।তারপর আবার ব্লাউজ খুলছে তারপরেও

তোমারে কিছু কই নাই !!.

.

এখন সে আমার অর্ধেক দুধ খাইয়া ফালাইছে! কিছু একটা কর.... .😂😂😂😂

.

.

চিঠি পড়ার পর বল্টু তো পুরাই বেহুঁশ...😫😁😁😁

বল্টুর মজার গল্প

" দোকানে যত পচা আম আছে

সব প্যাক করুন।🙂

দোকানদারঃ "সে কি !!! এত পচা আম

নিয়ে করবেন টা কি"!!!🥺

 "আপনি সব পচা আম প্যাক

করবেন, নাকি অন্য দোকানে যাবো?

দোকানদারঃ"সরি, এক্ষুনি রেডি করছি, এই নিন। সব পচা আম মিলিয়ে দুই কেজি হয়েছে।🤗

"এবার এই আমগুলো সাইডে রেখে,

আমাকে বাকি আমগুলো থেকে এক কেজি আম দিন।😁

দোকানদারঃ "আপনার পা দুটি কোথায় ভাই...?

একটু সালাম করবো!🙂 

চালাক কাস্টমার

মজার গল্প

বন্ধু বাইক এক্সিডেন্ট করেছে! খবর শুনে হাসপাতালে গেলাম ওকে দেখতে।

না, বেটার তেমন কিছু হয়নি। অবস্থা ভালোই। হাত-পায়ে সামান্য ব্যথা পেয়েছে।

হাসপাতালে একটা মেয়ের সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে। মেয়েটা দেখতে এতো সুন্দর আর মায়াবী! দেখলেই কোলে নিতে ইচ্ছে করে!

কোলে নিয়ে মেয়েটাকে আদর-টাদর করলাম। মেয়ের মাটাও বেশ হাসিখুশি।

বাড়িতে এসে দেখি গমগমে অবস্থা! কিছুই বুঝতে পারছি না। ছোটোবোন কে জিজ্ঞেস করলাম," কী হয়েছে রে?"

"জানো না! কী হয়েছে? "

আমি উদাস দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, "বুঝতে পারছি না! "

ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল, " ন্যাকা কিছুই জানে না! "

রুমে চলে গেল। কিছুই বুঝতে পারছি না! ঘটনা কী?

মায়ের রুমে গেলাম। মা মুখ গোমড়া করে বসে আছে। আমার দিকে একবার তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।" কী হয়েছে মা?"

কিছুই বলল না!

বাইরে এসে দেখি ফুফু এসেছে বাড়িতে। ফুফু আমায় দেখে বলল, "এমন কাজটা কেমনে করলি রে বাপ!"

কী কাজ করলাম রে বাবা? বন্ধু এক্সিডেন্ট করায় দেখতে গেলাম, এতে এমন কী হলো।

"কী হয়েছে বলো তো ফুফু?"

"থাক আর লুকাতে হবে না। সবাই জেনে গেছে। তোর ফুফা আসছে। ও আসলে সবাই মিলে দেখতে যাব।"

একটু অবাক হলাম। আমার বন্ধু এক্সিডেন্ট করেছে। সেটাও এত ভয়ংকর কোনো এক্সিডেন না। ওকে দেখার জন্য ফুফা ফুফু যাবে কেন?

না, বাড়ির সবার কী যেন হয়েছে কে জানে? যা করে করুক।

ফুফা এসে বলল, "আরে ইয়াংম্যান তুমি তো আমাকে হারিয়ে দিয়েছ!'

আমি উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ফুফার দিকে। 

"সবাই জেনে গেছে বলে হতাশ হচ্ছ। এতে তো ভালোই হলো।" হা হা হা

"কী জেনে গেছে ফুফা?"

"নটি বয়! কী করে জানল বুঝতে পারছ না তা-ই তো? তোমার ফুফুই তো আমায় দেখাল তোমাদের ছবিটা। যাই বলো তোমার মেয়েটা দেখতে বেশ হয়েছে! "

"আমার মেয়ে কোথায় পেলেন!"

ফুফা মোবাইল বের করে ছবিটা দেখাল। একটা মেয়ে কোলে দাঁড়িয়ে আছি আমি। পিছনে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে একজন মহিলা। মানে বাচ্চার মা। সামনে একটা মেয়ে যে সেলফিটা তুলেছে।

ক্যাপশনে লেখা খালা হলাম!🙂