বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী | বিশ্ব সুন্দরী নারী

 সবচেয়ে সুন্দরী নারী

সবচেয়ে সুন্দরী নারী

--আয়নায়ে হুরের বয়ান--

"

আব্দুল ওয়াহেদ ইবনে জায়েদ (রঃ) বলেন --তিনি একবার আল্লাহর রাস্তায় হিযরত করিয়াছিলেন। তাহার সাথে এক যুবকও ছিল। তাহার বয়স ১৬। আল্লাহর কালাম  উঁচু করার জন্য তাঁহারা  রোম এলাকায় যখন উপস্থিত হন,তখন রোমীয় সৈন্যরা তঁহাদেরকে বাধা প্রদান করে। শত্রুসেনারা তাঁহাদেরকে চতুর্দিক হইতে বেষ্টন করিয়া ফেলে। ঠিক সে মুহূর্তে উক্ত যুবক চিৎকার করিয়া বলিতে আরম্ব করিল,হায়! আমি ত আয়নায়ের জন্য পাগল হইয়া গিয়াছি। আমি তাহার জন্য অস্থির হইয়া পড়িতেছি। তাহার এ ধরনের কথ শুনিয়া সবাই বলিতে আরম্ব করিল, ছেলেটি সম্ভবত পাগল হইয়া গিয়াছে।

অতঃপর সে আব্দুল ওয়াহেদ (রঃ)_ এর নিকট হাজির হইয়া বলিল, "হে আব্দুল ওয়াহেদ! আমি ত আয়নায়ের জন্য পাগল হইয়া গিয়াছি। এ কথা শুনিয়া আব্দুল ওয়াহেদ (রঃ) বলিলেন, হে বৎস! তোমার কি হইয়াছে?

(জান্নাতে আয়না নামক এক হুর আছে, যাহার ডান দিকে আছে সত্তর হাজার, এবং বামে সত্তর হাজার এবং সামনে এক লাখ চল্লিশ হাজার। সে বলিতেছে, সে ব্যক্তি কথায়? যে সৎকাজের আদেশ দেয় আর অসৎ কাজ হইতে বিরত থাকিতে বলে)


ছেলেটি বলিল, আমি স্বপ্নে দেখিলাম, এক ব্যক্তি আমার হাত ধরিয়া বলিতেছে, চল,আমি তোমাকে আয়নায়ের কাছে নিয়ে যাইব। অতঃপর সে আমার হাত ধরিয়া আয়নায়ের কাছে নিয়া চলিল। একটি পানির নহর দৃষ্টিগোচর হইল।সেই নহরের কিনাড়ায় দাঁড়াইয়া আছে মেয়েরা। তাহাদের পরিধানে এমন সুন্দর পোশাক! যাহা আমি কোনদিন দেখিনাই।তাদের রুপ দেখিয়া আমি পাগল হইয়া গেলাম।

সেই মায়েগুওলি আমাকে দেখে বলিল, স্বাগতম! স্বাগতম! আয়নায়ের স্বামী আসিয়া গিয়াছে। আমি প্রশ্ন করিলাম, তোমাদের মধ্যে আয়না কে? তাহারা বলিল আমরা ত আয়নায়ের চাকরানী। আমাদের রাণী রহিয়াছেন আরো আগে। সেখানে গেলেই তাহাকে পাইবেন।

আমি আয়নায়ের খোঁজে অগ্রসর হইলাম। তথায় দেখিতে পাইলাম, এক দুধের ঝর্ণার পাড়ে দাঁড়াইয়া আছে কতগুলি সুন্দরী, যাহাদের দেখিয়া আমি অভিভূত হইয়া গেলাম। তাহারা আমাকে দেখামাত্র বিলিতে আরম্ব করিল,আপনার আগমন শুভ হউক।আয়নায়ের স্বামীর জন্য সুসংবাদ। আমি বলিলাম, প্রথমে বল দেখি  আয়না কে? তাহারা আমাকে জানাইল, আমরা ত আয়নার সেবিকা। আপনি অগ্রসর হউন, আয়নাকে পাইবেন।

আমি ভাবিতে লাগিলাম, আয়নার বাঁদীদের সৌন্দর্য এত  বেশী হইলে আয়না কেমন হবে? এই কথগুলো আমার মনে ঘুরপাক খাইতেছিল। আয়নার সাথে আমার মোলাকাতের আগ্রহ আরও বাড়িয়া গেল।

আমি আরও অগ্রসর হইলাম। দেখিতে পাইলাম, এক শরাবের ঝর্ণার ধারে দাঁড়াইয়া আছে অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী। তাহাদের রুপ লাবণ্য পিছনের সকল সুন্দরীদেরকে ছাড়াইয়া গিয়াছে। তাহারা আমার আগমনে বিলিতে লাগিল, আয়নায়ের স্বামীর জন্য সুসংবাদ! আমি বলিলাম, হে আল্লাহর বান্দীগন! প্রথমে ত বল,আমার আয়না কথায়? তাহারা জানাইল, আমরা আয়নার সেবিকা। আপনি অগ্রসর হউন, তাহাকে পাইবেন।

আমি অতি উৎসাহে সামনে অগ্রসর হইলাম। একটি মধুর নহর দেখিতে পাইলাম।,যাহার কিনাড়ায় দাঁড়াইয়া আছে অপরূপ যুবতীগন তাহাদের বর্ণনা দেওয়ার মত ভাষা আমার নাই।তাহারা আমাকে দেখামাত্র বলিতে শুরুকরিল, মারহাবা! মারহাবা! আয়নার স্বামী আসিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় আয়নাকে দেখার জন্য আমার  আগ্রহ আরও বাড়িয়া গেল। তাহাদের বলিলাম, হে আল্লাহর বান্দীগন,আয়না কি আছে? তাহারা জবাব দিল,,, হাঁ তিনি আছেন।,আপনি আগে যান।

সামনে অগ্রসর হইয়া দেখি একটি তাঁবু। তার সামনে দাঁড়াইয়া আছে অপাদমস্তক অলংকার সজ্জিত অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতীগন । তাহারা আমাকে দেখামাত্রই তাবুর ভিতর গিয়া আয়নাকে খবর দিল, হে আয়না! তোমার স্বামী  আসিয়া গিয়াছে।

আমি তাহাদের কথা শুনিয়া আয়নায়ের তাঁবুর দিকে দ্রুত  অগ্রসর হইলাম। তাঁবুর ভিতরে গিয়া দেখি,স্বর্ণ  ও ইয়াকুতের মুক্তা জড়ানো পালংকের উপর আয়না বসিয়া আছে।

(এই আয়না সম্পর্কে হাদীসে বলা হইয়াছে ---৭০ হাজার চাকরানী তাহার ডানে আর ৭০ হাজার বামে থাকিবে। তাহার পরনে থাকবে ৭০জোড়া কাপড়। প্রতি জোড়া কাপড়ের রং হইবে আলাদা। ৭০ প্রকারের সুঘ্রাণ থাকিবে তাহার শরীরে। মাথায় থাকিবে মুকুট। সেই মুকুটে ৭০ টি ইয়াকুত পাথর থাকিবে। একটি পাথর যদি দুনিয়ায় রাখা হয় তবে গোটা দুনিয়া আলোকিত হইয়া যাইবে। তাহার মাথার চুল এতো লম্বা যে, চলার সময় পা  পর্যন্ত আসে।সেই চুলের একটি চুলও যদি দুনিয়ায় রাখা হয় তবে গোটা দুনিয়া আলোকিত হইয়া যাইবে।তাহার কাপড়ের ৭০ জোড়া ভেদ করিয়া শরীর দেখা  যাইবে। তাহার চেহারায় দৃষ্টিপাত করিলে নিজের চেহারা দেখা যাইবে।

আয়না আমাকে দেখে বলিল, "হে আআল্লাহর দোস্ত! তুমার -আমার মিলন খুবই নিকটে।তাহাকে দেখা মাত্রই আমার ইচ্ছে হইল তাহার সাথে আলিঙ্গন করিয়া নিই।ইতিমধ্যে তাহারা দিকে অগ্রসর হইলাম।ঠিক সেই মুহূর্তে আয়না আমাকে বলিল, মানুষ বড় অধৈর্য।  এখন নয়, এখন  ত তুমি জিন্দা ভয় পাইও না। কিছুক্ষন পর তুমি আর আমি নাশতা করিব।

স্বপ্নের বর্ণানা শেষে যুবকটি বলিল, হে আব্দুল ওয়াহেদ (রঃ) আমি আর এক মুহূর্তও বাচিতে চাই না। কারণ আমি আয়নাকে হাসিল করতে চাই।

অতঃপর রোমীয়দের বিরুদ্ধে এ ছেলেটি প্রথম আল্লাহর রাস্তায় জান কোরবান করিয়া শহীদ হইয়া গেলেন।

         "আলহামদুলিল্লাহ্‌"

পাঠকদের জন্য একটি  প্রশ্ন আছে,  সঠিক  উত্তর টা  চাই।

* সে বলিতেছে,,,অর্থাৎ আয়নায়ে হুর-কি বলিতেছে?

অথবা!

*কাদের কথা  বলিতেছে?