ব্রেকআপ এর কষ্ট
গল্পঃ ব্রেকআপের পর
লেখকঃ Yousuf Ahmed
..............................
মাহিম একা একা তাঁর রুমে শুয়ে নিরবে কেঁদে চলেছে। ব্যাক গ্রাউন্ড সাউন্ড হিসেবে একটা গান ও বেজে চলেছে,,,তুই যদি চিনতি আমায় পরানের পাখি, তোরে লিখে দিতাম আমার এ দু'টি আঁখি।
................
কে এই মাহিম, আর কি কারনেই বা কাঁদছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
........
মাহিম অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। কলেজের ছোট বড় সবার সাথেই অনেক ভালো সম্পর্ক তার। এই সম্পর্কগুলোর মাঝেই একটা স্পেশাল সম্পর্ক ছিলো তানিয়া।
তানিয়া মেয়েটি অনেক কিউট আর মিষ্টি একটা মেয়ে। তানিয়া আর মাহিমের রিলেশান টা কলেজ লাইফ থেকেই চলে আসছে। কিন্তু আজ কি এমন হলো যে মাহিম নিরবে কাঁদছে??
............
মাহিম চোখ দু'টি বন্ধ করে নিরবে চোখের জলে ঝড়িয়েই চলেছে ইতি মধ্যে তার মোবাইলে কল বাজতে শুরু করেছে কিন্তু মাহিম রিসিভড করলোনা।
আবারো কল বাজতে থাকে, এইবার মাহিম কলটা রিসিভড করলো....
-- হ্যালো (কান্না কান্না গলায়)
.
-- মাহিম তোর কি হয়েছে তুই কাঁদছিস কেনো??
.
-- কই কিছু হয়নি তো, এমনি।
.
-- প্লিজ বলনা আমায় প্লিজ!!
.
-- কিছু হয়নি রাখলাম, ভালো থাক বাই।
মাহিম কলটা কেটে দিলো। কিন্তু মহুয়ার চিন্তা হতে লাগলো, কি হয়েছে মাহিমের।
..
(মহুয়ার বিষয়ে তো বলায় হয়নি,, মহুয়া আর মাহিম অনেক ভাল বন্ধু। ছেলে আর মেয়ের মাঝে এরকম বন্ধুত্ব খুব কম ই দেখা যায়।)
........
এইদিকে মহুয়া চিন্তায় অস্থির, মাহিমের কথা বার্তা খুব একটা ভালো লাগলো না তার। আবারো ফোনে কল দেওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু ফোন বন্ধ। ফোন বন্ধ থাকায় মহুয়ার চিন্তা দিগুন হয়ে গেলো। অবশেষে মহুয়া ভেবে নিয়েছে মাহিমের বাসায় যাবে।
মাহিমের বাসায় গিয়ে সবার সাথে কথা হলো কিন্তু মাহিমের দেখা নাই। এর আগেও মহুয়া অনেকবার এই বাসায় এসেছে তাই বাসার সবার সাথে সাথে সব রুমও তার চেনা। তাই সোজা মাহিমের দরজার সামনে চলে গেলো।
--- একি অবস্থা!!! রুমের দরজা বন্ধ, ভেতরে স্পিকারে খুব জোরে গান বাজছে। কিছু তো একটা হয়েছে যেটা মাহিম আমার থেকে লুকিয়েছে, এর কারনটা আমাকে জানতেই হবে।
মহিম দরজা খোল। (বাহির থেকে)
কিন্তু মাহিম দরজা খোলেনা। দশ মিনিট বাহির থেকে দরজায় নক করার পর মাহিম দরজা খুললো।
--- একি মহুয়া তুই!!
.
-- হ্যাঁ আমি, কেনো আসতে পারিনা বুঝি?
.
-- আরে আমি কি সব বলেছি নাকি, ভেতরে আই।
.
-- কি হয়েছে তোর বলতো মাহিম। ( ভেতরে এক সাথে বসে)
.
-- তেমন কিছুনা।
.
-- তো বলছিস না কেন?? বল কি হয়েছে!!
.
-- তানিয়ার সাথে ব্রেকআপ।
.
-- হিহিহিহা 😁😁।
.
-- কুত্তা তুই হাঁসছিস কেন?? (একটু রাগি ভাবে)
.
-- এইটা কোন কথা হলো, তুই পুরুষ নাকি এইবার সেটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
.
-- লাথি খাবি কিন্তু কু...... (😠)
.
-- আচ্ছা ছাড় বিকেল ৩ টায় বেরবি ওকে!!
.
-- কেনো??
.
-- যেটা বলছি সেটা করবি বেস আর কিছু শুনতে চাচ্ছিনা।
.
-- ওকে বের হব, কিন্তু কারন টা কি বলবি তো।
.
-- গেলেই বুঝতে পারবি আর এসব ন্যাকা কান্না বন্ধ করে খেয়ে নে জলদি!! তিনটা বাজতে বেশি সময় নাই আর। আমি গেলাম।
....................
ঘড়িতে সময় বিকেল তিনটা....
মহুয়া কল করতেই মাহিম তার সামনে হাজির।
--- কই যাবি কিছু তো বলবি নাকি!!
.
--- মুভি দেখতে যাবো চল।
.
--- কি বলিস!! আমার এমন সময় তোর খুব আনন্দ হচ্ছে তাই নাহ!!
.
-- ধুর পাগল তোর ভালো লাগবে তাই বলছি চল।
.
-- মোটেও আমার মুড নাই, তুই যা।
.
-- মেজাজ টা খারাপ করিস না যে!! টিকিট কাঁটা শেষ।
.
-- এমন এমন সময় এমন কাজ করিস নাহ, রাগ লাগে আমার। চল......
.
-- হিহিহা লাভ ইউ, চল।
.
-- কুত্তা একটা তুই।
.
-- তুই!
.
-- তুই কুত্তা।
.
-- ওকে আমিই (মুহুয়া)।
.......
দুজন পাশাপাশি সিটে বসে মুভি দেখছিলো। কোন এক সময় মাহিমকে জাপটে ধরে মহুয়া। কিন্তু মাহিম কিছু মনে করেনি কারন তারা অনেক ভালো বন্ধু।
........................
সিনেমা শেষে দুজন দ'জনের মতো বাসায় চলে যায় আর বলে যায়,
দেখা হবে আগামিকাল কলেজে।
........
কলেজে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে এক জায়গায় বসে আড্ডা দিত কিন্তু মহুয়া আজ কাউকে সাথে না নিয়ে শুধু মাহিম আর সে দুজনেই এক সাথে বসলো।
..........
অন্য দিকে তানিয়ার চোখে এই দৃশ্যটা পড়লো। গতকাল সিনেমা হলে প্রবেশের আগেও তানিয়া দেখেছে তাদের। একটু খারাপ লাগলেও কিছু করার নাই কারন মাহিমের সাথে তার আর কোন সম্পর্ক নাই।
..........
মহুয়া আর মাহিম আড্ডা দিয়েই চলেছে। মহুয়া এক দৃষ্টিতে মাহিম কে দেখছিলো। এক সময় মাহিম বলেই দিলো,,,
--- তোর ভাব কিন্তু ভালো ঠেকছেনা আমার মহুয়া।
.
-- তো কেমন ঠেকছে শুনি।
.
-- ডাল মে কুছ কালা হে।
.
--- হাহাহা, চল ক্লাসে যাই।
.
-- ওকে চল.....
গল্পের ভালোলাগা খারাপ লাগা দিকগুলো কমেন্ট করে আপনারা জানিয়ে দেবেন এবং আপনাদের সাড়া পেলে নেকস্ট পার্ট খুব তাড়াতাড়ি দেব।।।।
আপনাদের মনের মত গল্প পেতে সব সময় Jibonjuddhogolp.com সাইটের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
🥀❤️🥰