স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প

 স্বামী স্ত্রীর অধিকার

স্বামী স্ত্রীর অধিকার

কাজ শেষে বাসায় ফিরে দেখি দুই বউ ঝ*গড়া করছে। 

একজনের চুল আরেক জন টান*তেছে। ওদের ঝ*গড়া দেখে নিজের মাথায় নিজে বাড়ি মারতে ইচ্ছে করছে। কেনো আমি প্রথম বউ হেমার উপরে রা*গ করে দ্বিতীয় বউ মালিনীকে বিয়ে করি! এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের ঝ*গড়া দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 


দুই বউ ঝ*গড়ায় এতোটাই মগ্ন হয়ে আছে যে, আমি দরজায় দাঁড়িয়ে তা কেউ খেয়াল করলো না। অনেকক্ষণ পর ছোট বউ মালিনীর চোখ পড়লো আমার উপরে। 


- মহেশ তুই এসেছিস! এই বলে আমার দিকে দৌড়ে এলো। দেখ এই সয়*তান বেটি কি করেছে আমার চুল ছিঁ*ড়ে। এই বলে আমায় জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো। 

মালিনি আমার কলেজ ফ্রেন্ড ছিল তাই আমাকে তুই করে ডাকে। 


আমাকে জড়িয়ে ধরতে দেখে এইবার বড় বউ হেমা আরো ক্ষে*পে গেলো। পিছন থেকে মালিনীর চুল ধরে টে*নে মাটিতে ফেলে দিল। আর চিৎকার করে বলল..... 

ব*দ বেটি তোর এতো সাহস হলো কি করে? আমার সামনে আমার জামাইরে জড়িয়ে ধরিস। এই বলে দুইজন এইবার মা*রা মা*রি শুরু করলো। 


হেমা বিয়ে হওয়ার পর একদিন রা*গ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। আনতে গেলে বলে আমি তোমার সাথে যাবো না। তখন তারে বলি না গেলে আরেক বিয়ে করবো। হেমা উত্তর দেয় পারলে করো বিয়ে। তাই বউয়ের উপর রা*গ করে দ্বিতীয় বিয়ে করি। সেই দিন থেকে জীবন আমার দূর্বি*ষহ হয়ে উঠলো। 


মা*রা মা*রি বেশি হচ্ছে দেখে দু'জন কে ছাড়াতে মাঝখানে ঢু*কলাম। দু'জন কে দু'দিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।


কি হয়েছে ঝ*গড়া কেনো করছো? 

হেমা বলল শুনো আমি তোমার প্রথম বউ তাই আজকে থেকে তুমি আমার সাথে থাকবে। না হলে বউ থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করার অপ*রাধে জে*লে পাঠাবো। 


এই কথা শুনে মালিনী বলে,,,,  

আজকে থেকে তুই আমার সাথে থাকবি না হলে আমিও পুলিশে দিবো। একটা বউ থাকতে আমাকে ঠ*কিয়ে বিয়ে করার অপ*রাধে। 


এই বলে দুইজন দু'দিকে চলে গেল। আমার তো মাথায় হাত এইবার কার কাছে যাবো। তাড়াতাড়ি করে পকেট থেকে মোবাইল বার করলাম আর বন্ধু আসাদ কে কল দিলাম৷ সব কিছু বলার পর আসাদ পরামর্শ দিল আজকে বাড়িতেই না থাকতে। 


তাই বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধু বাসায় গেলাম। বন্ধু অনেক খাতিরযত্ন নিলো প্রাণ ভরে রাতের খাবার খেলাম। তার পর ঘুমিয়ে পড়লাম বন্ধুর সাথে ফোনটা বন্ধ করে। যাতে কেউ কল না দিতে পারে। 


সকাল ৯টার দিকে কেউ এসে দরজা খোলার জন্য শোরগোল শুরু করলো। আসাদ সাহেব বাসায় আছেন?  


আসাদ চোখ কচলাতে কচলাতে বিছানা থেকে উঠলো। দরজা খুলতেই দেখলো পু*লিশ এসেছে। আমিও পুলিশের কথা শুনে তাড়াতাড়ি রুমের বাইরে গেলাম।  


আপনাদের মধ্যে মহেশ কে? পুলিশের প্রশ্নে উওর দিলাম জ্বী আমি। তখন আমাকে বলল,,,,, আপনাকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে বড় সাহেবের নির্দেশ। সঙ্গে আসাদকেও।


থানায় পৌঁছে দেখি আমার দু'বউ বসে আছে। আমি চমকে উঠলাম ওদের দেখে। জিজ্ঞেস করলাম তোমরা এইখানে কেনো? তখন থানার ওসি বলে,,,, 


তারা দু'জন এখানে কি করছে তা আমি বলছি। এই বলে ওসি সাহেব আমার গালে একটা চ*ড় বসিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে ডান পাশের সব গুলো দাঁত নড়েচড়ে উঠলো। আমাকে চ*ড় মারছে দেখে বন্ধু আসাদ রে*গে-মেগে ছুটে আসলো। 


কি ব্যাপার আপনি আমার বন্ধুকে মারলেন ক্যান?এই বলতে না বলতে বন্ধু আসাদের গালেও একটা বসে গেলো চ*ড়। বন্ধু এইবার মাথা ঘুরে মাটিতেই পড়ে গেলো। 


এক তো দুই বিয়ে করে আবার দু'বউ একি বাসায় রেখে বন্ধু সাথে আড্ডা মারে। দুটোকে জেলে ভরো আর ইচ্ছে মত লা*ঠি পি*টা করো। 


তার পর দুই ঘন্টা ধরে লা*ঠির বাড়ি খেয়ে জানতে পারলাম। আমি কালকে বাসা থেকে আসার পর দু'বউ আমাকে নিয়ে আবার ঝ*গড়া লাগে। এবং ঝ*গড়া করতে করতে বাসায় আ*গুন লাগিয়েছে। আমাকে বার বার কল করেও কেউ কিছু জানাতে পারেনি ফোন বন্ধ থাকায়। তাই পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে আসে। বিল্ডিং এর অন্য পরিবার গুলো আমার নামে মা*মলা করেন। ক্ষতি*গ্রস্ত হয়েছে প্রায় সবাই তাই ক্ষতিপূরন হিসেবে দশ'লাখ টাকা জরিমানা করে। 


এইটা জানার পর বন্ধু আসাদকে ইচ্ছে মত পি*টাতে লাগলাম। ওর কথা শুনে আজকে ঘর-বাড়ি টাকা-পয়সা বউ সব হারালাম। বউ'দুটাও ছেড়ে চলে গেল সাথে দু'বিয়ের অপ*রাধে দুই বছরের জেল সাজা প্রাপ্ত হলো। 


,,,,,,,,,,,,,,,,,, সমাপ্তি,,,,,,,,,,