প্রেমের গল্প রোমান্টিক
গল্পের নাম : গরিবের ভালোবাসা
• মেয়ে : হ্যালো, ফোন ধরো না কেনো?
• ছেলে : সরি ঘুমায়ছিলাম।
• মেয়ে : এখন কয়টা বাজে হ্যাঁ ??
• ছেলে : একটা মনে হয় বাজে।
• মেয়ে : এতো দেরি করে কেউ ঘুম থেকে উঠে??
• ছেলে : আমার মতো গরিব ঘরের ছেলে উঠে।
• মেয়ে : নাস্তা করছো?
• ছেলে : না , করব।
• মেয়ে : কখন?
• ছেলে : বিকেলে ইকটু চা খেয়ে নিবো।
• মেয়ে : আজ বিকেলে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবা , আর আমাকে ফুসকা খাওয়াবে ওকে।
• ছেলে : আচ্ছা ঠিক আছে দেখি ম্যানেজ করতে পারি কিনা।
• মেয়ে : কি ম্যানেজ করবে?
• ছেলে : কিছু না রাখি।
• মেয়ে : মনে থাকবে তো পাখিটা আমার?
• ছেলে : হুম। ( মন খারাপ করে )
• মেয়ে : আচ্ছা মনে যেন থাকে, না আসলে কিন্তু তোমাকে ছেড়ে সারাজীবনের জন্য চলে যাবো।
• ছেলে : প্লিজ গরিব বলে আমার সাথে এমন কইরো না , আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।
• মেয়ে : সত্যি?
• ছেলে : হুম সত্যি সত্যি । ( হাপাতে হাপাতে )
• মেয়ে : তাহলে আমি যা বলবো তা মানবে তো?
• ছেলে : আচ্ছা নিয়ে যাবো বলছিতো। কিন্তু আমার সাথে তুমি গেলে লোকে কি ভাববে?
• মেয়ে : কি ভাববে , প্রেমিক প্রেমিকা ভাববে।
• ছেলে : না আসলে আমাকে তো তোমার সাথে মানায় না।
• মেয়ে : না মানালে না মানাক , আমি জানি না আমাকে নিয়ে যেতে হবে আর ফুসকা খাওয়াতে হবেই। ( জেদ ধরে )
• ছেলে : আচ্ছা আমি আসবো।
• মেয়ে : আচ্ছা bye।
• ছেলে :( চুপ আছে )
• মেয়ে : কি হলো bye বলো।
• ছেলে : হুম bye।
কি ভাবছেন ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে যাবে না , আর মেয়েটা ছেলেটাকে বাধ্য করছে ? । না , তাদের ভালোবাসা সত্য ।
ছেলেটা পুরো কাঁদো কাঁদো ভাব হয়ে গেছে । কিভাবে টাকা আসবে , কিভাবে ওকে নিয়ে যাবে । তখনি কেউ একজন দরজায় টোকা দিলো । ছেলেটি ভাবলো , হয়তো বাড়িওয়ালা আসছে ভাড়া চাইতে। সে আরো বিরক্ত বোধ করলো। ভয়ে , বিরক্তিতে , দুঃখে তার এখন মাথা পুরো হেং হয়ে গেছে । সে দরজার কাছে যেতেই একটা ফোন আসলো। সে না দেখেই বলে উঠলো .....
• ছেলে : কি টাকা লাগবে টাকা ? ( রাগের সুরে )
• মেয়ে : এই তুমি কাকে বলো। ( কাঁদো গলায় )
• ছেলে : সরি সরি আমি ভাবছি , দোকানদার । কাল থেকে পেরেশান করে যাচ্ছে।
• মেয়ে : ওহ , দরজা এখন খুলো।
• ছেলে : কেন তুমি আসছো , প্লিজ চলে যাও আমার অবস্থা ভালো না।
• মেয়ে : একসপ্তাহ বেকার হয়েই এই অবস্থা হইছে ? দরজা খুলো ডেলিভারি মেন আসছে , বিরিয়ানিটা নিয়ে খাও ।
• ছেলে : কিন্তু আমার কাছে তো ...
• মেয়ে : আমি টাকা দিয়ে দিছি।
লাইন কেটে গেলো।
দুই পেকেট বিরিয়ানি সাথে এক লিটারের কোক সব মনে হয় দুই মিনিটে খেয়ে ফেললো । এই বার আবার ফোন আসলো ...
• মেয়ে : এই তুমি পসরকে আসো এখনি।
• ছেলে : কিন্তু ,
• মেয়ে : কোনো কিন্তু না না আসলে কিন্তু খবর আছে ।
• ছেলে : আচ্ছা ঠিক আছে আসতেছি। ( বিরক্তির সুরে )
• মেয়ে : হুম আসো।
পার্কে .....
• মেয়ে : এতো লেট করে কেও ? আধাঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
• ছেলে : সরি , হেটে আসছি তো তাই একটু লেট হয়ে গেছে।
• মেয়ে : তুমি এতদূর হাইটা আসছো ! ( অবাক সুরে )
• ছেলে : ,(চুপ)
এই নিউ এই পেকেট টা রাখো , এইখানে নীল পাঞ্জাবি আছে। বিকেলে পরে আসবা। আর তোমার বিকাশে পাচ হাজার টাকা পাঠাই দিছি। ঐটা দিয়া কয়েকদিন ইকটু কষ্ট করে চলো। বাবা নিজের কাজে একটু বাইরে গেছে তো ফিরলে আমি তোমার ব্যবস্থা করে দিবো ওকে।
ছেলেটার মুখের ভাষা হারায় গেছে।
• ছেলে : তুমি কি দয়া দেখাচ্ছ
• মেয়ে : না এটা তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা। তোমাকে এভাবে দেখে আমি সারারাত ঘুমাতে পারি নাই। প্লিজ না করো না।
• ছেলে : তাহলে এটাকি ভালোবাসার ঋণ?
• মেয়ে : হুম।
• ছেলে : আচ্ছা আমি টাকা দিয়ে দিবো কয়েকদিনের মধ্যে সুদ সহ।
• মেয়ে : এক থাপ্পড় দিবো , ঐ ঋণের কথা বলছে কে? ( রাগের সুরে )
• ছেলে : তো কোন ঋণ?
• মেয়ে : আজকে বিকেলে ফুসকা খাওয়াবে আর নীল পানাজাবিটা পরে আসবা তাহলেই হবে আর সাথে আমাকে নিয়ে ঘুরবে।
ছেলেটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরছে। চোখে পানি টল টল করছে। মেয়েটাও ছেলেটার বুকে মুচকি মুচকি হাসছে।
• মেয়ে : এই ছাড়ো , এখনি ঋণ শোধ করতে বলি নাই।
ছেলেটা এবার ওকে ছেড়ে দিয়ে খুশির হাসি হাসতে হাসতে বাসার দিকে যাচ্ছে।