অনেক কষ্টের গল্প
❤️একটি গরীব ছেলের জীবন❤️
একটা গরিব ছেলে কলজের খুব
ধনী একটা মেয়ের
কাছে একটা চিঠি দিল।
মেয়েটা ছিল খুব অহংকারী।
চিঠিটা দেখা মাত্রই
সে ছেলেটাকে জুতা মারলো আর
সাথে সাথে প্রেন্সিপাল ও তার
বাবাকে কথাটা বললো । প্রেন্সিপাল খুব অপমান
করলো তাকে আর তখনই কলেজ
থেকে টিসি কেটে দিয়ে বের করে দিল
মেয়ের বাবা কলেজের অংশিদার ছিল
তাই ৷
মেয়ের বাবা পুলিশে ধরিয়ে দিল
ছেলেটাকে। ছেলেটা গরীব ছিল তাই থানা থেকে কেউ
নিতে আসেনি তাকে,শুধু তার এক ছোট ভাই এসেছিল দেখতে। খুব অত্যাচার
করলো পুলিশ তাকে, খুব মারলো ।
শেষে এক সপ্তাহ
পরে আধামরা করে ছেড়ে দিল। কলেজের আর এলাকার সব
লোকজন তাকে অপমান
করতে লাগলো ।
পরদিন সকালে কলেজের
বড় বিল্ডিং এর নিজে ছেলেটার
লাশটা খুজে পাওয়া গেলো । ছেলেটা অপমান আর কষ্ট সইতে না পেরে আত্মহত্যা
করেছে।
ছোট ভাইটা ছিল
তার কলিজার টুকরা, সে যখন
জানলো তখন সেও দুঃখ সইতে না পেরে মারা গেলো । এই দুইটা ছেলের কি সত্যিই দোষ
ছিল...??
মেয়েটা কিছুদিন
পর চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলো,
আর চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো,
তখন খুব কাঁদলো মেয়েটা । কেন ? চিঠিটাতে লেখা ছিল > আমার প্রিয় ক্লাসমেট,
আমি খুব গরীব ঘরের ছেলে এটা জানেন
আপনি । আমার মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল তাই আমাকে কলেজে ভর্তি
করিয়েছিল। যেন আমি একজন
ভাল শিক্ষক হতে পারি, অন্যকে
আমার
শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি ।
কিন্তু আমার মা কিছুদিন আগে মারা গেছেন ।
এখন আমি নিজের খরচ
চালাতে পারছিনা।
পরিক্ষার ফিস কি করে দেব
বুঝতে পারছিনা।
আমার ছোট্ট
ভাইটাকে নিয়ে খুব
কষ্টে আছি।
আপনার কাছে একটা অনুরোদ
রাখবো আপনি যদি পারেন
আমার ফিসের টাকাটা দিবেন
বা বাবাকে বলে মাফ
করাতে সাহায্য
করবেন। আমি খুব
ভাল পড়াতে পারি যদি বলেন
আপনাকে পড়াবো আর নাহলে চাকরি করে টাকাটা শোধ
করে দেবো।
আপনার এই উপকার
সারা জীবন
মনে রাখবো।
মুখে বলতে পারবোনা তাই
চিঠি দিলাম । ভাল থাকবেন, আর
সুখি থাকবেন এই কামনা
করি ৷৷
এই চিঠির
বিনিময়ে ছেলেটার
জীবনের পুরো
শিক্ষা হয়ে গেলো,
তাকে আর
শিক্ষকতা করতে হবেনা এখন।
সে আর
কাউকে শিক্ষার
আলো দিতে পারবেনা।
এইভাবে শেষ হয়ে যায়
অনেক গরীব এতিম ছেলেদের জীবন
সমাপ্ত