বাস্তব ভালোবাসার কষ্টের গল্প | প্রেম ভালোবাসা নিয়ে উক্তি

প্রেম ভালোবাসা

প্রেম ভালোবাসা

প্রেমিকার সাথে সারারাত কথা বলাটা ভালোবাসার পরিচয় হলেও,বউয়ের সাথে একরাত গল্প করাটাই নেহাৎ বোকামী...


প্রেমিকার লাল গোলাপ পছন্দ বলে সারা দুনিয়া এক করে লাল গোলাপ হাতে দিতে ব্যস্ত প্রেমিক,কিন্তু বউয়ের জন্য কখনোও একটা লাল গোলাপের আবদারে তার আদিখ্যেতা লাগে


প্রেমিকার হাতে বিস্বাদের খিচুড়িও অমৃত মনে হয়,মাসান্তে বউয়ের রান্নায় একদিন লবণ কম হলেই সেটা তার ভিষণ বড় অপরাধ


প্রেমিকার জন্মদিনে মাথায় শুধু তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চিন্তা ঘুরপাক করে,আর স্ত্রীর বেলায় হিসেবটা শুধু পাওনার দুয়ারে গিয়েই ঠেকে।


প্রেমিকার জন্য ৩২ মাইল দূরে গিয়ে ৩০ টাকার ফুচকা কিনতেও বাধে না,আর স্ত্রীর জন্য মাসে একদিন সময় বের করাটা অপচয় বলে মনে হয়


প্রেমিকা অসুস্থ হলে ১০ মিনিট পরপরই তার খোজ নেওয়াটা কেয়ার বলে গন্য, আর স্ত্রী অসুস্থ হলে কেয়ার দরকার হয় না বিরক্ত বিরক্ত লাগে


একটা হারাম সম্পর্ককে মানুষ যেভাবে গুরুত্ব দেয়,সেটা যদি হালাল সম্পর্কে দেওয়া হতো তাহলে চারদিকে এত ডিভোর্সের ছড়াছড়ি হতো না।

প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা

যুবতীর গুণের প্রশংসা শুনে তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে না দেখেই বিয়ে করেন এক যুবক। স্ত্রীকে বাসরঘরে গিয়েই প্রথম দেখেন। কিন্তু স্ত্রীর ঘোমটা খুলতেই তিনি মনোবেদনায় বিষণ্ণ হয়ে পড়েন।


দেখেন, তার পরম কাঙ্খিত স্ত্রী রূপসী নয়, কালো। তাই তিনি স্ত্রীর কক্ষ ত্যাগ করেন। মনের দুঃখে স্ত্রীর কাছে আর ফিরে আসেন না। নাম তার আমের বিন আনাস। অবশেষে স্ত্রী নিজেই তার কাছে যান। প্রিয় স্বামীকে বলেন, ‘ওগো! তুমি যা অপছন্দ করছো, হয়তো তাতেই তোমার কল্যাণ নিহিত আছে, এসো।’ অতঃপর আমের স্ত্রীর কাছে যান এবং বাসর রাতযাপন করেন।


কিন্তু দিনের বেলা স্ত্রীর অসুন্দর চেহারার প্রতি তাকাতেই তার মন খারাপ হয়ে যায় আবার। মনের দুঃখে আমের এবার বাড়ি ছেড়ে দেন। চলে যান বহুদূরে, অন্য শহরে। এদিকে বাসর রাতেই যে তার স্ত্রী গর্ভধারণ করেছেন, এ খবর তিনি রাখেন না। আমের ভিনদেশে লাগাতার বিশটি বছর কাটান।


বিশ বছর পর তিনি নিজ শহরে ফেরেন। এসেই প্রথমে নিজ বাড়ির কাছের সেই প্রিয় মসজিদে ঢোকেন। ঢুকেই দেখেন এক সুদর্শন যুবক পবিত্র কোরআনের মর্মস্পর্শী দরস পেশ করছেন। আর বিশাল মসজিদ ভরা মানুষ পরম আকর্ষণে তা হৃদয়ে গেঁথে নিচ্ছে। তাঁর হৃদয়গ্রাহী দরস শুনে আমেরের অন্তর বিগলিত হয়ে যায়। আমের লোকদের কাছে এই গুণী মুফাসসিরের নাম জানতে চাইলে লোকেরা বলেন, ‘ইনি ইমাম মালেক।’


আমের আবার জানতে চান, ‘ইনি কার ছেলে?’ লোকেরা বললো, ‘এই এলাকারই আমের বিন আনাস নামের এক ব্যক্তির ছেলে। যিনি বিশ বছর আগে বাড়ি থেকে চলে গেছেন, আর ফিরে আসেননি।’ আবেগে উত্তাল আমের ইমাম মালেকের কাছে এসে বললেন, ‘আমাকে আপনার বাড়িতে নিয়ে চলুন। তবে আমি আপনার মায়ের অনুমতি ছাড়া আপনার ঘরে প্রবেশ করবো না। আমি আপনার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকবো।


আপনি ভেতরে গিয়ে আপনার মাকে বলবেন, দরজায় একজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আমায় বলেছিলেন, তুমি যা অপছন্দ করছো, হয়তো তাতেই তোমার কল্যাণ নিহিত আছে।’ এ কথা শুনেই ইমাম মালেকের মা বললেন, ‘হে মালেক! দৌঁড়ে যাও, সম্মানের সঙ্গে উনাকে ভেতরে নিয়ে আসো, উনিই তোমার বাবা। দীর্ঘদিন দূরদেশে থাকার পর উনি ফিরে এসেছেন।’ এই হলেন সেই গুণবতী মা, যিনি ইমাম মালেক (রহ.)-এর মতো সন্তান গড়ে তোলার কারিগর।


তাই রূপবতী নারী দ্বারা নয়, গুণবতী নারীদের মাধ্যমেই পৃথিবী আলোকিত হয়।