কঠিন বাস্তব কবিতা
আমার এবং বাবার যুগের তফাৎ হলো এই
বাবার যুগের নৈতিকতা আমার যুগে নেই।
বাবার ঘরে ফকির এলে বসতে দিত পিড়ি
ফ*কির কাঁদে আমার ঘরের চায় না কেহ ফিরি।
বাপ কাকাদের বাড়ি ছিল এক উঠোনে বাঁধা
দুই গাঁয়ে দুই ঘর বেঁধেছি আমি এবং দাদা।
বাবার চোখে আসতো পানি কাঁদলে কুকুর ছানা
মানুষ কাঁদে তাও দেখি না আমি এমন কানা।
পথে বাবা গাছ লাগাতো পাইতে পথিক ছায়া
সেই পথিক আর পথ প্রতি নেই আমার কোন মায়া।
আমার শিশুকাল কেটেছে যত্নে মায়ের কোলে
আমার মেয়ে কান্দে তাহার মা চলে যায় স্কুলে।
বাবার দু চোখ ভরতো জলে কাঁদলে আমার মাতা
সঙ্গী মরে তাও ভিজে না আমার আঁখির পাতা।
বাবার কোলে মাথা রেখে মরল আমার দাদা
মাতা পিতার নেই না খবর আমি এমন গা*ধা।
বাপ কাকারা খাইলো মিলে যে নলকূপের পানি
সেটা নিয়ে আমরা দু ভাই করছি হানাহানি।
আগের মানুষ মূর্খ হলেও মানুষ ছিল ভালো
লেখা পড়া থাকলে ও আমার মনটা অনেক কালো।
আগের মানুষ গরিব হলে ও ভালো ছিল স্বভাব
লোকের এখন টাকা আছে নৈতিকতার অভাব।
শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প
নয়ন ভরা জল গো তোমার
আঁচল ভরা ফুল
ফুল নেব না অশ্রু নেব
ভেবে হই আকুল।
-কাজী নজরুল ইসলাম
নতুন সূর্য
প্রজাপতির কাছে রঙ করেছি ঋন
স্বপ্ন গুলো আবারো হবে রঙিন।
অশ্রু করেছি বৃষ্টির কাছে জমা
ফিরে এসো মোর প্রিয়তমা।
তোমার সমীপে হইয়া নত
সারাইবো সব পুরাতন ক্ষত।
ভেঙ্গে দিয়ে সব অভিমান
এই নীরবতার করো অবসান।
পূর্ণ করিবো শূন্যরে আজি
বরণ মালা ভরিয়া সাজি
তোমার দ্বারে অপেক্ষায় আমি
গ্ৰহন করো আমায় তুমি।
বাস্তব জীবন
***অনাহারী কবিতা***
আজকে মাগো পাশের বাড়ি
হয়নি কিছু রান্না,
খেলতে গিয়ে শুনতে পেলাম
তাদের করুন কান্না।
সারাটা দিন না খেয়ে সব
খুধার জ্বালায় মরে,
খাবার মতো আজকে কিছু
নেই যে তাদের ঘরে।
আমরা তো মা খেয়ে দেয়ে
বেশ তো আছি সুখে,
দাও না গো মা খাবার টা আজ
অনাহারীর মুখে।