ছেলেকে নিয়ে বাবার স্ট্যাটাস
গল্পটি দয়া করে সবাই পড়বেন,,,,,,,
শীতকাল পড়েছে সব বন্ধু মিলে প্ল্যান করেছে ঘুরতে যাবে! চাঁদা ৫০০০ হাজার টাকা করে।
আমি হঠাৎ বলে উঠলাম,
আমার কাজ আছে রে এবার তোরা যা আমি যেতে পারবো না!
তাদের ভেতর থেকে এক বন্ধু বলে উঠলো, শালা ফকিন্নীর বাচ্চা! সব প্ল্যান নষ্ট করে দেস।
আমি মুচকি হেসে তাদের মধ্যে থেকে চলে আসলাম।
তাদের আর বললাম না,
যার বাবার সাপ্তাহিক আয় ১২৫০ টাকা, সে কিভাবে ৫০০০ হাজার টাকায় ঘুরতে যেতে পারে।
পড়াশোনা শেষ বিদায় অনুষ্ঠান করবে! এবার আর না করলাম না।
এক বন্ধুকে ডেকে নিয়ে বললাম ভাই, বিরিয়ানির প্যাকেটটা কি বাড়ি নিতে দিবি?
সে চিৎকার করে বলে উঠলো,
শালা ফকিন্নীর বাচ্চা জীবনে প্রথম কোন একটা কাজে অংশ নিলি তাও বিরিয়ানির প্যাকেট বাড়ি নিতে হবে?
আমি মুচকি হেসে চলে আসলাম। যে বাবা পুরো মাসের হাত খরচ বাঁচিয়ে বিদায় অনুষ্ঠান করার জন্য টাকা দিলো, সে বাবার সাথে সুখ ভাগ করতে না পারলে আমি আবার কিসের সন্তান।
পরীক্ষা চলে এসেছে, সব বন্ধুরা নতুন জামা কাপড় কিনে নিয়েছে।
আমি আব্বাকে বললাম,
আব্বা, আপনার গত ঈদের জুতা জোড়া আমাকে বের করে দিবেন?
আমি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি,, আব্বা চোখের পলক ফেলছেন না! আমি আর পিছনে তাকালাম না।
আচ্ছা, পলক পড়ার সাথে কি আব্বার চোখের নোলা জল গড়িয়ে পড়বে?
পরীক্ষা শেষ! প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে!
সবাই ভিজে, ভিজে বাড়ি চলে যাচ্ছে।
আমি বাস স্টপে নামতেই দেখি আমার ১২৫০ টাকায় সাপ্তাহিক বেতনে কাজ করা বাবাটা ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পথে যেতে যেতে আব্বাকে বললাম,
আব্বা আপনাকে একটা কথা বলবো রাখবেন?
আব্বা মুচকি হাসি দিলো।
আমি বললাম, পরের জন্মে আপনি আমার সন্তান হয়ে জন্মায়েন। এ জন্মে তো আর আপনার ঋণ শোধ করতে পারবো না! তাই পরের জন্মে সন্তান হয়ে ঋণ শোধ করে দিয়েন।
আব্বা হঠাৎ আমার হাত ধরে আমাকে থামিয়ে দিলেন। আমি চোখ ইশারায় জানতে চাইলাম কি হয়েছে?
আব্বা বললেন সামনে গর্ত পশ্চিম দিক দিয়ে চলো!
কিছু দূর যেতেই আব্বাকে আবার বললাম,
আব্বা আমি সিদ্ধান্ত বদলেছি!
আব্বা বললেন কিসের সিদ্ধান্ত?
আমি বললাম পরের জন্মে আপনাকে সন্তান বানানোর সিদ্ধান্ত!
আব্বা বললেন তাহলে কি সিদ্ধান্ত নিলে?
আমি বললাম, পরের জন্মেও আমি আপনার সন্তান হয়েই থাকতে চাই। আপনার ঋণ কখনো শোধ করতে চাই না।
এই পৃথিবীতে আপনি ছাড়া আমাকে কেউ আগলে রাখতে পারবে না।