হাসতে নাকি জানেনা কেউ
অমল একদিন স্কুলের হোমওয়ার্ক করে নিয়ে যায়নি..!😩😩
শিক্ষক :- হোমওয়ার্ক করনি কেন..!😾😾
অমল :- স্যার, লোডশেডিং ছিলো..!😌😌
শিক্ষক :- তা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিতে..!😒😒
অমল :- স্যার, দেশলাই ছিলো না।🤐🤐
শিক্ষক :- দেশলাই ছিলো না কেন...!🙄🙄
অমল :- ঠাকুরঘরে রাখা ছিলো স্যার।😊😊
শিক্ষক :- আচ্ছা, ঠাকুরঘর থেকে নিলে না কেনো..!😡😡
অমল :- গোসল করিনি, ঠাকুরঘরে ঢুকবো কী করে..!☹️☹️
শিক্ষক :- তা গোসল করতে কে বারণ করেছিলো...!😤😤
অমল :- জল ছিলো না স্যার..!😬😬
শিক্ষক :- জল কেন ছিলো না..!😖😖
অমল :- পাম্পের মোটর চলছিলো না স্যার..!🥹🥹
শিক্ষক :- আরে বোকা, মোটরটা কেন চলছিলো না..!😒😒
অমল :- স্যার, আপনাকে তো প্রথমেই বললাম যে লোডশেডিং ছিলো...!🫠🫠🫠
বাঁচতে হলে হাসতে হবে
বল্টু ও কেল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে...🤗🤗
কেল্টু:দোস্ত, গত রাতে আমাদের বাসায় চোর এসে সব কিছু নিয়ে গেছে..!🫤🫤
বল্টু: তা তুই চোরটাকে ধরতে পারলি না..!🥲🥲
কেল্টু: ধরেছিলাম তো কিন্তু,ছেড়ে দিয়েছি..!😁😁
বল্টু: {অবাক হয়ে} বলিস কী রে! তুই চোরটাকে ধরেও ছেড়ে দিলি..!😤😤
কেল্টু: আমার মাথার বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য..!🥹🫡
বল্টু: {আরও অবাক হয়ে} তা চোরের সাথে তোর বুদ্ধির সম্পর্ক কী..!🥹🥹
কেল্টু: কেন তুই শুনিসনি চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে..!🙂🙂
হাসতে পারলে জীবন সুন্দর
এক অন্ধ ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন।
ওয়েটার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন : মেনু বলবো স্যার? 🙂
তিনি বললেন : আপনি রান্না করার খু/ন্তি নিয়ে আসুন, আমি গন্ধ শুঁকে খাবারের অর্ডার দেবো। 🥱
ওয়েটার রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালেন। ম্যানেজার রান্নাঘর থেকে একটা খু/ন্তি এনে দিলেন। 🙄
অন্ধ ভদ্রলোক সেটা শুঁকে নিয়ে বললেন : আমাকে গার্লিক ব্রেডের সাথে স্প্যানিশ ওমলেট দিয়ে দিন! 😁
ম্যানেজার অবাক! 🤔
আসলেই কিছুক্ষণ আগে ঐ খু/ন্তি দিয়ে স্প্যানিশ ওমলেটই তৈরি করা হয়েছে! 😶
এইভাবে অন্ধ ব্যক্তিটি রোজ আসেন, আর হাতা বা
খু/ন্তি শুঁকে তাঁর পছন্দের খাবার অর্ডার করেন। ঠিক ঠিক, যে যে রান্না সেদিন হয়েছে! 😜
ম্যানেজার ভাবলেন, দেখি একদিন অন্যরকম ভাবে পরীক্ষা করবো। 🤨
খু/ন্তি/টি পরের দিন ভালো করে ধুয়ে মুছে কিচেনে গিয়ে ম্যানেজার তার বৌ সোনালীকে বললেন : তুমি খুন্তিটি ভালো করে তোমার ঠোঁটে ঘষে দাও।
সোনালী তাই করে তার স্বামীর হাতে দিয়ে দিলেন! 😚
ম্যানেজার অন্ধ ব্যক্তিটিকে খু/ন্তি/টি দিলেন। খু/ন্তি/টি হাতে নিয়ে শুঁকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললেন : ও মাই গড!!! 😲😲😲
!
!
!
এ তো সোনালী! আমার পুরনো প্রেমিকা! সে কি এই রেস্টুরেন্টে কাজ করে?
ম্যানেজার বেহুস!!!! 🥴🥴🥴
প্রচুর হাসতে হবে
এক্স আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে,
'আমাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানাও।'
দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠে কোথায় আয়নায় একটু নিজের চেহারা দেখে দিন শুরু করবো, তা না উঠেই দেখি এই হতভাগার ম্যাসেজ। আমাদের ব্রেকাপ হয়েছে ৬মাস হলো আর সে পেছনে পড়ে আছে ২মাস ধরে। ও আমাকে চিট করেছিল বলেই আমি ছেড়ে দিয়েছি ওকে। ও আমাকে বলেছিল,
আমি তো তোমাকে ভালোবাসি কিভাবে বলবো এটা ওর সাথে প্র্যাক্টিস করতাম। ও আমার কাজিন হয়। একটা মানুষ কতবড় হতচ্ছাড়া হলে এসব বলতে পারে এটা আমি ভেবে পাইনা।
যাইহোক, ম্যাসেজের রিপ্লাই দিলাম,
- কেনো? তোমার কাজিন তোমার বাচ্চার মা হতে যাচ্ছে?
রিপ্লাই দিয়ে আমি চলে গেলাম নাস্তা করতে। বাসায় দুপুরবেলা উঠে সকালবেলার নাস্তা করা কতটা ভয়ানক এইটা আমার মত দুপুরবাসিরা ভালো জানে।
খেয়ে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখি এক্স লিখেছে,
- তুমি আমাকে এভাবে কষ্ট না দিলেও পারতে ছোঁয়া। আমি বাবা দিবসের শুভেচ্ছা কেনো জানাতে বলেছি জানো? আমি স্বপ্নে দেখি আমাদের মেয়ে হয়েছে। তোমার আমার মেয়ে, আমি তোমার বাচ্চার বাবা। আসলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি ছোঁয়া।
আমি উত্তরে বললাম,
- কিন্তু আমি নিজেকে তোমার বাচ্চার ফুপি হিসেবে দেখি।
ম্যাসেজে হাহা দিয়ে এক্স আমাকে বললো,
- তুমি এখনো সেই আগের মতই ফানি আছো ছোঁয়া। আমি চাই আমাদের মেয়ে তোমার মত হোক আর সংসারে প্রথম মেয়ে হওয়া মানে আল্লাহর বরকত। আচ্ছা শুনো বাবাকে তোমার ছবি দেখিয়েছি। বাবা বলেছে ছেলের বউ তার ভালো লেগেছে।
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। একটা মানুষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেহায়া হলে বোধহয় এমন কথাবার্তা বলতে পারে।
অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম ওকে এই যাত্রায় একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত। আমার জানামতে ও ওর বাবাকে বেশ ভয় পায়। আংকেলের সামনে একদম সাধু। আংকেলের জানা উচিত তার ছেলে কেমন। ওর আইডিতে গিয়ে আংকেলের আইডি খুঁজে বের করলাম।
শুনেছি আংকেল অনেক স্মার্ট। আংকেলকে সালাম দিলাম,
- আসসালামু আলাইকুম আংকেল। ভালো আছেন?
- হ্যাঁ মা। তুমি ভালো আছো? তুমি ছোঁয়া না?
আমি অবাক। আসলেই ও আংকেলকে আমার কথা বলেছে। আমি তাও কঠিন হয়ে আংকেলকে বিচার দিলাম,
- আংকেল আপনার ছেলে আমাকে চিট করেছিল। এখনো স্বীকার করেনা। ওকে আমি বিশ্বাস করিনা।
সেদিন আংকেলের সাথে অনেক চ্যাটিং হয় আমার। কথা বলে বুঝতে পেরেছিলাম যে ওকে আমি ভুল বুঝেছি। এরপর আস্তে আস্তে আমাদের ভেতর সব ঝামেলা মিটে যায়।
দেখতে দেখতে আমাদের বিয়েটাও হয়ে যায়। আমি অনেক খুশি থাকলেও কেনো যেনো আমার বন্ধু-বান্ধবীরা কেউ খুশি না।
আজকে আমাদের বৌভাত।আমি বেশ আয়োজন করে একটা মাইক ম্যানেজ করে বললাম,
আজকে আমাদের বিয়ে হয়েছে শুধুমাত্র আমার শ্বশুরের জন্য। সেদিন যদি বাবাকে ফেইসবুকে নক না করতাম তাহলে আজ আমাদের বিয়েটাই বোধহয় হতোনা আর আমি এমন চমৎকার একজন মানুষ হারাতাম।
কথাগুলো শুনে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলো। হঠাৎ আমার শ্বশুর বাবা মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে বসলেন,
কিন্তু মা আমি তো ফেইসবুকই চালাই না!
তাহলে ওইটা কে ছিলো?