নতুন রোমান্টিক গল্প | বেস্ট রোমান্টিক গল্প | খুব রোমান্টিক গল্প

 বাংলা রোমান্টিক গল্প

বাংলা রোমান্টিক গল্প

তিন বছর পর দেশে এসে জানতে পারি যে, আমার পরী'র দুইটা জমজ বাচ্চা হয়েছে। এবং সে আবারও প্রেগন্যান্ট। এবারেও তার দুইটা জমজ বাচ্চা হবে।


একথা শুনে আমি বেশ অবাক হলাম। আমার মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছিলো না। তবুও খালাতো ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম বাচ্চার বাবা কে? আমার খালাতো ভাই ইনিয়েবিনিয়ে যা বলল তার সারমর্ম এমন যে, 

"আমি দেশে থাকাকালীন পরী যেমন শান্তশিষ্ট ছিলো, কখনও বাসা থেকে বের হতো না। কিন্তু আমি বিদেশে চলে যাওয়ার কিছুদিন পরেই সে একদম পালটে যায়। সকালে বাসা থেকে বের হতো। সারাদিন এলাকার ভোলা আর রামুর সঙ্গে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াতো। তবে ভোলার সঙ্গেই তাকে সবচেয়ে বেশি দেখা যেত। আমাদের গ্রামটা চারপাশে গাছপালায় ভরপুর। ভোলার সঙ্গে আমার পরী সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াতে। বাড়িতে ফিরতো সন্ধ্যার দিকে। তাকে এতোসময় বাইরে থাকার জন্য কিছু বললে সে উল্টো রেগে গিয়ে ফোসফোস করতো। সবসময় তো ওকে পাশের বাড়ির ভোলার সাথেই দেখা যেত। মনে হয় বাচ্চার বাবা ভোলাই হবে। ভোলা যেভাবে বাচ্চাগুলোকে আদর করে... "


আমি সিগারেটে লম্বা একটা টান দিয়ে বুক ভরে ধোঁয়া নিলাম। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম,

- পরী এখন কেমন আছে? সুস্থ আছে তো? কিছুদিন পরেই তো ওর আবারও জমজ বাচ্চা হবে। খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক করছে তো?


- পরী সুস্থ আছে। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতোই করছে। খালা সবসময় ওর খেয়াল রাখে। যাতে ওর কোন সমস্যা না হয়।


কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, 

- পরী এখন কোথায় আছে? আমাদের বাড়িতেই না-কি আবারও ভোলার সঙ্গে বের হয়েছে? 


- সকালবেলা তো দেখেছিলাম ভোলার সঙ্গে বের হয়ে ছিলো। এতোক্ষণে বোধহয় বাড়িতে চলে আসছে। 


আমি আর এক মুহূর্ত দেরী না করে ছুটে গেলাম বাড়ির দিকে। বাড়ির উঠানে পা রাখতেই দেখি ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা উঠানে খেলা করছে। আমি একবার দেখেই বুঝে গিয়েছি বাচ্চা দুটো পরীরই। পরী যেমন ফর্সা, বাচ্চা দুটিও ওর মতোই ফর্সা হয়েছে। আমি কাছে গিয়ে বাচ্চা দুটোকে আদর করতে যেতে তারা ভয় পেয়ে উঠানের অন্য দিকে চলে গেল। আমি রুমে যেতেই দেখি পরী আমার বিছানায় আরাম করে শুয়ে আছে। আমাকে দেখে প্রথমে একটু অভিমান করে দূরে থাকলেও কিছুক্ষণ পরেই আবার ছুটে এসেছে আমার কাছে। পরী বেশ চালাক। আমি বিদেশ থেকে যে বড় লাগেজ নিয়ে এসেছি, এটা দেখেই সে ছুটে এসেছে। সে বুঝে গিয়েছে এর ভেতর অনেক কিছু আছে। তবুও পরী আমার কাছে আসতেই আমি তাকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরলাম। ও চুপচাপ আমার বুকের সঙ্গে লেপ্টে আছে। কোনো নড়াচড়া করছে না। কিছুক্ষণ পরে আমার মা রুমে আসতেই পরী আমার কোল থেকে নেমে গেল।


লাগেজ খুলে সবকিছু মা'কে বুঝিয়ে দিলাম। ততক্ষণে পরীর বাচ্চা দুইটা রুমে চলে এসেছে। আমি ওর বাচ্চাদের আদর করতে যাবো, তখন মা রাগ করে বলল,

- তোকে নিয়ে আমি আর পারি না। বিদেশে যাওয়ার আগে কোথা থেকে পরীকে নিয়ে এলি। ওর খেয়াল রাখতে বললি। কিন্তু সে তো কারো কোনো কথাই শোনে না। 


আমি পরীর দিকে তাকাতেই সে লেজ নাড়াতে নাড়াতে মিউ মিউ করে ডেকে আমার কোলে এসে উঠলো। ততক্ষণে পরীর দুই বাচ্চা আর ভোলাও লেজ নাড়াতে নাড়াতে আমার কাছে এলো আদর নিতে। ভাবতেছি এবার পরী আর ভোলার বিয়েটা দিয়েই দিবো। আচ্ছা ওদের বাচ্চাগুলোর নাম কী রাখা যায়?


-গল্পঃনাম_বিভ্রাট

কাব্য গাজী