বাস্তব জীবনের গল্প | বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প

 বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস

বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস

"স্যার!আমি আজকে একজন ভাইয়ের বোনকে রে/প করে এসেছি।আপনার কথামতো কাজ করেছি।"


কুনাল প্রাপ্তির হাসি দিয়ে বললো,

"বাহ্!ভালো কাজ করেছিস।কিন্তু কথাটা এইভাবে বললি কেন?"


সৃজিত মলিন হাসি হেসে বললো,

"আসলে খবর নিয়ে জানতে পারলাম মেয়েটার একটা বড়ো ভাই আছে,সেজন্য বললাম একজন ভাইয়ের বোনকে রে/প করে এসেছি।"


"ওহ তাই বল!কোনো প্রমাণ ফেলে আসিসনি তো?"


"না!মেয়েটার চোখ বাঁধা ছিলো আর হাত-পাও বেঁধে দিয়েছিলাম তাই কিছু জানতে পারেনি।"


"তোর কাজে আমি ভীষণ খুশি, নে তোর দরকারি টাকাটা।এখানে পুরো টাকাই আছে, যা গিয়ে তোর বোনের চিকিৎসা করা।"


সৃজিত টাকাটা নিয়ে চলে গেলো।


কুনাল অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। অবশেষে কুনালকে করা অপমানের প্রতিশোধ নিতে স/ক্ষ/ম হলো ও। ভরা ভার্সিটিতে অপমান করেছিলো মেয়েটা কুনালকে,এতো সহজে কি ছেড়ে দেওয়া যায় নাকি?


সেদিন ছিলো বুধবার,

কুনাল নিজের বোনের ভার্সিটিতে গিয়েছিলো ওর সাথে দেখা করতে। তখনি ও একটা মেয়েকে দেখতে পায়,বেশ সুন্দরী আর আকর্ষণীয়া সে। ওর বোনকে মেয়েটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে ওঠে,

"মেয়েটার নাম সৃজা,ও আমাদের সিনিয়র।"


কুনাল নিজের বোনের সাথে দেখা করে সৃজার কাছে যায়। তারপর সৃজাকে অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলে,কুনাল আজ অবধি বহু মেয়েরই স/র্ব/না/শ করেছে, একসাথে রাত কাটিয়েছে।একসময় কুনাল সৃজাকে কুপ্রস্তাব দেয়, সাথে সাথেই সৃজা রেগে গিয়ে গোটা ভার্সিটির সামনে কুনালের গালে সজোরে একটা থা/প্পড় মা/রে।"


পুরো ভার্সিটি এতে অবাক হয়ে যায়,কুনাল নামকরা একজন বিজনেসম্যান,ওকে একটা সাধারণ মেয়ে এইভাবে থাপ্পড় মা/রা/য় সবাই বেশ শকড!


সৃজা থাপ্পড় দিয়ে বলে,

"অন্যকে সম্মান করতে শিখুন,আর আমি আপনার মতন নিচু মনের মানুষ নই যে আমি আপনার বলা কুপ্রস্তাবে রাজি হবো। আমার নিজের কাছে আমার চরিত্রের দাম আছে, আমি চরিত্রহীন নই।"


কুনালও সেদিন বলেছিলো,"এই থাপ্পড়ের বদলা সে নেবে, ওর চরিত্র কতটা স্বচ্ছ থাকে সেটাও ও দেখবে।"


কুনাল সে কথা সহজে ভুলতে পারেনি সেজন্যই ও সৃজিতকে বলে ওকে রে/প করার জন্য। সৃজিতের বোনের খুব বড়ো একটা অসুখ করে যার কারণে সৃজিতেরও অনেক টাকার দরকার ছিলো কুনালকে এই ব্যাপারে বললে কুনাল তখন ওকে মেয়েটাকে রে/প করার প্রস্তাব দেয় যদিও সৃজিত প্রথমে রাজি হয়না কিন্তু পরে রাজি হতে বাধ্য হয়।আর আজকে কাজটা করেও নেয়।


🍁


কুনাল বাড়ি ফিরতেই ওর মা বলে ওঠে,

"তোর বোন এখনো বাড়ি ফেরেনি, ওকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।আমার খুব টেনশন হচ্ছে।"


"চিন্তা কোরোনা মা, ও চলে আসবে আর কিছুক্ষণ দেখো।"


রাত ২.০০ বেজে যায় তবুও কুনালের ছোটো বোন বাড়ি ফেরেনা। কুনাল ওর বোনকে খোঁজার সবরকম চেষ্টা চালাতে থাকে, এক সময় বাড়িতে পুলিশ এসে বলে,

"আপনার বোনকে ধ/র্ষ/ণ করা হয়েছে, ওকে আমরা নার্সিংহোমে ভর্তি করেছি আপনারা চলুন আমাদের সাথে।"


ওর বোনকে রে/প করা হয়েছে শুনে কুনালের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। আজকে একটা মেয়ের রেপের কথা শুনে ও খুশি হয় আর এখন নিজের বোনের রেপ করার খবর পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায়।ওর বোনকে কে রে/প করেছে তার তদন্ত শুরু হয়।


সকালে নিউজ চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে দেখানো হয়,

"বিখ্যাত ব্যবসায়ী কুনাল চৌধুরীর ছোটো বোন কেয়াকে গতরাতে ধ/র্ষ/ণ করা হয়েছে,কেয়া চৌধুরী এখন নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন,ধ/র্ষ/ক কে তা জানতে পুলিশ ত/দ/ন্ত চালাচ্ছে কিন্তু এখনো অবধি কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।"


সৃজিত খবর দেখে বাঁকা হাসে, কারণ কাজটা ওরই করা, সৃজা সৃজিতেরই বোন।সৃজিতকে যখন মেয়েটার ছবি দেখানো হয় সেদিনই ওর পায়ের তলার মাটি সরে যায়। তখনি ও প্ল্যান করে কুনালকে যোগ্য শাস্তি দেবে ও। তাই কুনালের করা প্ল্যানে কুনালের বোনেরই সর্বনাশ করে সৃজিত।আর এই কাজে যে কুনাল সৃজিতকে সন্দেহ করবেনা এই ব্যাপারেও নিশ্চিত থাকে সৃজিত।


সৃজা সৃজিতকে ডাকতে আসতেই সৃজিত বলে ওঠে,

"বোন আমি একজনকে শাস্তি দিতে গিয়ে খুব বড়ো পাপ করে ফেলেছি রে,যে পাপের কোনো ক্ষমা হয়না।"


সৃজা বলে ওঠে,

"এই সকাল সকাল মজা করিস না তো, খেতে আয়।"


🍁

নার্সিংহোমের বেডে শুয়ে রয়েছে কেয়া, পাশে বসে আছে কুনাল আর ওদের মা। অঝোরে কান্না করে চলেছে কেয়া আর বলছে,

"দাদাভাই!আমি কি এমন পাপ করেছিলাম রে যে আমার সাথে এমনটা হলো।"


কুনাল মনে মনে বলতে লাগলো,

"পা/প তুই করিসনিরে বোন, পাপ আমি করেছি, খুব বড়ো পাপ করেছি!অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়তে গিয়ে নিজেই সেই গর্তে পড়ে গেছি।পাপ আমি করেছি।আর পাপের শাস্তিও পেয়েছি।"


                      "সমাপ্ত"


পাপ

স্বর্ণা

অনুগল্প


যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন 📕-সাহিত্য কুটির-📗