ইসলামিক বিয়ে পড়ানোর নিয়ম | ইসলামিক বিয়ে

 ইসলামিক বিয়ের গল্প

ইসলামিক বিয়ের গল্প

প্রিয় এক আপুর বিয়ে হলো আজকে। বারাক আল্লাহু ফিক। 

এই প্রশান্তময় বিয়ে দেখে আমার বিয়ে করার ইচ্ছে বেড়ে গেল যেন। আমার দেখা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বিয়ে ছিল। মাশা'আল্লাহ। 

ভিতরে এতো এতো মহিলা ছিল অথচ কাওকে পুরুষের দৃষ্টি থেকে বাচাঁর জন্য আড়ালে থাকতে হয়নি। পর্দা নিয়ে ভাবতে হয়নি। খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি। 

আলহামদুলিল্লাহ। 

কোনো পরপুরুষের এক দৃষ্টিও কনের দিকে পড়ে নি। ছোট থেকে বড় সবার হাতে ফোন থাকা সত্যেও বউয়ের সাজে কনের পিক কেউ তোলে নি। ইচ্ছে হয়তো হয়েছিল অনেকেরই কেউ সাহস পায়নি। কনের সতর্কতার জন্য। 

বিয়ে পড়ানোর জন্য হুজুর কনের সামনে আসেননি। রেজিস্ট্রি খাতায় সাইন দেওয়ার সময়ও কনের পাশে কোনো পুরুষ ছিল না। 

বর কোনো বিয়ের শেরোআনি পরে বিয়ে করতে আসেননি। এসেছেন সৌদি শেহজাদ সেজে। এটাও আমার প্রথম দেখা। 

বিয়ে শেষে বরকে রোমে আনা হয়েছে ঠিকই। অথচ সেখানে কোনো মহিলা বা পরপুরুষ ছিল না। শুধু বর আর কনের ভাইয়েরা ছিলেন। মাশা'আল্লাহ। বিয়ে শেষে এক পশলা কান্নার বৃষ্টি বয়ে যায়। মুহুর্ত পরেই কনে সহ সবাই ভিতরে মেঘ রেখে শান্ত হয়ে যায় কনেকে কালো পর্দায় আবৃত করার জন্য। 

কান্না বুকে নিয়েই নিজেকে পরিপূর্ণ কালোতে ঢেকে নিতে একটুও ত্রুটি করেননি। কত শান্তি পূর্ণ বিয়ে। এমন বিয়ে অনুধাবন করিয়ে দেয় যে বিয়ে হচ্ছে এক বরকতপূর্ণ ইবাদাত।


অবিবাহিত বোনদের মোজানাতে বিশেষ কয়েক টি চাওয়া👇




★ ইয়া আল্লাহ আমাকে তুমি নামাজি ঘরে প্রবেশ করি,বেনামাজির ঘরে নয়,,


★ইয়া আল্লাহ আমাকে একজন উওম জীবনসঙ্গী দান করুন,,


★যে আমার ইহকাল পরকাল দুই কালের সাথী হবে,, 


★যার সাথে সারাটি জীবন কাটাবো যার কাছে আমি ভালো থাকবো যে আমাকে ভালো রাখবে,,


★সে থাকবে সৎ চরিএবান,,সে আমার মনের মতো পারফেক্ট হবে,,




★যার কাছে দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দরী নারী আমি থাকবো,,


★যার চোখের দৃষ্টি আমার থেকে অন্য নারীর দিকে কখনো জাবে না,,


 ইয়া আল্লাহ তোমার কাছে তো কোনো কিছুর অভাব নেই,আমি তো সামান্য কিছু চেয়েছি,, ইয়া আল্লাহ তুমি আমার নেক ইচ্ছে টা কবুল করো,,


 সবাই সবার জন্য দোয়া করিয়েন যাতে সবাই সবার মনের মতো পারফেক্ট জীবনসঙ্গী আল্লাহ দান করে,,


 [ আমিন ]