মায়ের কষ্টের ছবি
এক লোক তার মাকে চ'র মা>রে ।
.
.
লোকটি ভূল বুঝতে পেরে এক আলেমের কাছে গেলো ।
.
.
আলেমের কাছে যখন বললো, হুজুর! আমি তো এই ভূল করে ফেলেছি, আমার শাস্তি কি ?!
.
.
আলেম নিজের চোখের পানি ছেড়ে দিলেন…
.
.
একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন একটা দোয়া করলেন । আবার নিচের দিকে তাকিয়ে জোরে কেঁদে দিয়ে বললেন, কি দো>ষ ছিলো তোমার মাতার ??
.
.
উত্তর লোকটি বললেন, আমার সন্তানকে চ>র মেরেছেন তিনি, আমি কিভাবে সইবো বলেন ??
.
হুজুর বললেন, তোমার হাতে কোনো অসুবিধা হয়েছে ??
.
উত্তরে লোকটি বললেন, আমি মা>রলে তার ক্ষতি হবে, আমার কি হবে ??
.
.
আলেম সাহেব বললো, বাবা এক দৌড় দেও । যতক্ষন পর্যন্ত মায়ের পা খুঁজে না পাও দৌড়াতে থাকো । দুনিয়াতে হাত বাঁচাতে হলে, আর পরকালে জা>হান্নাম থেকে বাঁচতে হলে এক্ষুনি দৌড় দেও ।
.
.
লোকটি ভয় পেয়ে দৌড়াতে লাগলো, দুঃখজনক ভাবে দুমিনিটের মধ্যেই রাস্তা পার হতে না হতে, তার অপর ব>র্জপাত পড়ে ।
.
.
লোকটির লা>শ-টি যখন জানাজা করা হবে, তখন ঐ আলেম এসে খেয়াল করলো, লোকটির শরীরে কোনো জায়গায় ক্ষ>তি হয়নি, তবে তার এক হাত আ>লাদা হয়ে গেছে ।
.
.
হুজুর দেখলেন, এক বৃদ্ধ মহিলা এক হাতে লাঠি ভর করে, অন্য ওপরের দিকে করে, কি যেন গুন গুন করছে ।
.
.
হুজুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেসা করলেন, আপনি কি আপনার সন্তানকে অ>ভিশাপ দিচ্ছেন ?!
.
.
উত্তর বৃদ্ধ মা, নিন্মসুরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আইজকের দিনে আমার সোনামনির জন্ম হইছে বাজান? আইজকের দিনে আমার বাজানের ছোট্ট হাতটা, আমি ধরে কইছিলাম, আব্বা! তুমি একদিন বড়ো হয়ে এই হাত দিয়া আমারে খাওয়ায় দিবা । কিন্তু বাজান, হা>তটা দেহি এহন নাই! আমার বাজানো না>ই ।
.
.
এরপর, মহিলা লাঠি দিয়ে ভর করে, ইকটু এগিয়ে যেয়ে ছেলেটির মাথায় হাত রেখে বলে, তোমার সন্তানের গায়ে হা>ত দেওয়ার জন্য আমার উপযুক্ত শা>স্তি হইছে বাজান! কিন্তু আমিতো তোমাকে মাফ করে দিছিলাম, তোমার কেন এমন হইলো ?!
.
.
হুজুর জিগ্গাসা করলেন, কি গুনগুন করছিলেন ?!
.
.
মা- উত্তরে দিলেন নাহ । মা শুধু তাকিয়ে রইলেন পশ্চিম আকাশের দিকে ।
(সমাপ্ত)
~~লেখক : তামিম হাওলাদার ।
~~গল্পের ধরণ : কাল্পনিক ছোট ইসলামিক গল্প ।
~~ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন ।
~~এরকম আরো গল্প পড়তে আমাকে উৎসাহ দিবেন দয়া করে?!