হাসতে হাসতে অজ্ঞান | হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা

হাসতে হাসতে শেষ

হাসতে হাসতে শেষ

ম্যাডাম ক্লাসে ঢুকেই বললেন, "বিজয় তুই

নাকি রিয়াকে প্রেমপত্র দিয়েছিস! 

রিয়া তো তোর প্রেমপত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।" 


ম্যাডামের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেল।


-রিয়া ম্যাডামের একমাত্র মেয়ে। ডাইনী মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান।


-ম্যাডাম আবার বলল, "কিরে, তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন?"


ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু

হয়ে গেল। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট

করে ফেলার মতন অবস্থা।


জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া

দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ম্যাডাম এমনিতেই আমাকে দেখতে পারেন না।

তার উপর তাঁর মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি,

সেটা পড়ে বেচারি অজ্ঞান...


ম্যাডাম আমার অবস্থা যে আজ কি করবেন, সেটা বুঝার বাকি রইলো না। মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকছি।


-ম্যাডাম আস্তে আস্তে এগিয়ে এলেন আমার দিকে। 

ক্লাসের সবাই সার্কাস দেখার অপেক্ষায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম আমার কাছে এসে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বললেন, "পড়ে শোনা।"


ম্যাডামের কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ। আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাডাম তাঁর ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে উঠে বললেন, "এক্ষুণি পড়ে শোনা বলছি।"


-আমি কাঁপতে কাঁপতে চিঠি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম...


আমার হৃদয় পাখি রিয়া, কেমন আছো তুমি? 

জানি তুমি ভালো নেই। তোমার ডাইনী মা ৪৫ মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে, বাপরে...!!

ঈশ্বর জানেন সারাদিন তোমার উপর ঐ ডাইনীটা কতো নির্যাতন চালায়। তুমি বললে আমি উনার বিরুদ্ধে মামলা করবো।


প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার বুক কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে বাংলাদেশের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। অথচ মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কাউকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ওটা আমারি বুকের ভূমিকম্প!


তুমি তো জানো, সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি গণিতের প্রতি দিতাম, তাহলে আইনস্টাইনের মতন আমারও পকেটে দুই-চারটা নোবেল থাকতো। কিন্তু দেখো, আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমারই কথা চিন্তা করি। 


কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য চিন্তাটাও ঠিকমতন করতে পারি না।

হঠাৎ করে তোমার মা আমার চিন্তার মধ্যে এসে আমাকে লাঠিপেটা করে, আর বলে, "এ্যাই; তুই আমার মেয়েকে নিয়ে এতো চিন্তা করিস কেন?" 


সেইদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাঁদে

যাচ্ছি হানিমুন করতে। রকেটে আমি আর তুমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা থেকে যেন তোমার ডাইনী মা টা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বলেন, "এবার খেলা হবে...।"

.

.


-হঠাৎ ধপাস করে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ

পেলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাডামই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছেন।


সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তার ডাকতে গেলাম।


ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপল ম্যাডাম আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন, "তুমি নাকি ম্যাডামের মেয়ে রিয়াকে চিঠি দিয়েছ? কি ছিল সেই চিঠিতে? দেখি, চিঠিটা আমাকে দাও।" 


আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপল ম্যাডামকে বললাম, "আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন ম্যাডাম।"😐