খারাপ থেকে ভালো হওয়ার উপায় | খারাপ মানুষ নিয়ে উক্তি

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি কে

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি কে

★★সব মেয়েরাই পড়বেন প্লিজ★★

.............-------------..............-------.......?

আজ মেয়েদের সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। জানি মেয়েদের কাছে কথাগুলো তিতা লাগবে..!! কারন উচিৎ কথা সব সময় তিতা হয়।

তবুও পড়বেন। আপনাদের ভুল ধারনা গুলো ভেঙে যাবে...

যখন কোনো ছেলে তোমাদের ইফটিজিং করে বা ইফটিজিং জাতীয় কিছু করে! তখন তোমরা বলো, তোদের ঘরে কি "মা-বোন" নাই.? কেনো.? সব কাজে "মা-বোন" কে টানো কেনো..!! তোমরা মায়ের জাত হয়ে তোমরা মা-বোনকে ছোট করছো কেনো..!!

মেয়েরা মায়ের জাত। কিন্তু ছেলেরা কি.?

একটি ছেলে তোমার ভাই, একজন পুরুষ তোমার বাবা, আর একজন পুরুষ যে হবে

তোমার ভবিষ্যৎ...

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, পিছন থেকে একটা ছেলে কিছু বললে অথবা শিস বাজালেই এটি ইভটিজিং এবং ওরা মানুষ রূপী অমানুষ।

ওদের কি ঘরে মা বোন নেই?

এই কথা কেনো আসলো.?

আচ্ছা যখন মাথায় তেল দিয়ে নম্র, ভদ্র, শান্ত একটা ছেলে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায় চুপচাপ, তখন তোমরা মেয়েরা হুঁ হুঁ করে হেঁসে উঠা মায়ের জাতিরা কেমন করে বিব্রত করে?

কেনো! তোমাদের ঘরে কি বাপ ভাই নেই? ছেলেটি কি বাপের জাত না? বাপকে কি সম্মান করা যায় না?

দিন দিন ছোট ছোট হচ্ছে তোমাদের জামা, আর বড় বড় হচ্ছে ছেলেদের চোঁখ। তোমরা নিষ্পাপ, আর ছেলেরা অপরাধী.? কেনো.?

তোমরা নিজেকে সেক্সি, হট, হিসেবে শো করতে পারো, তাহলে ছেলেরা তো তাদের মন গড়া কমেন্ট করবেই। কারন তোমরাই তো তাদের উৎসাহীত করছো। কিঁছু কিঁছু মেয়েরা ফেজবুকে সেক্সি, হট পিক আপলোড দেয় ঠিকই। আবার ছবির উপরে লিখে দেয়, "No Bad Comment" কেনো.? তুমি যেমন স্টাইলে ছবি আপলোড দিছো! কমেন্ট টাও তো সেই অনুযায়ী আসবে তাই না.?

করলে দোষ না, কিন্তু বললে দোষ.?

তোমার শরির, তোমার ইজ্জত, এটা তোমার সম্পদ। তোমার শরিরটা কেনো বাজারের বিক্রয়ের দ্রব্য না। যে তুমি পাবলিকের সামনে শো করবা। মনে রেখো, একজন পর্দাশীল নারি ডাবের পানির মত, সচ্ছ, এবং মূল্যবান, যা শুধু একজনই পান করতে পারে। আর একজন বেপর্দা নারী পুকুরের পানির মত, যার যখন ইচ্ছা, সে পুকুরে নেমে গোসল করতে পারে..

তোমরা যে ছোট ছোট জামা-কাপড় গুলো পরো, সেটাতে তোমাদের শরিরের আকার আকৃতি বোঝা যায়। কিঁছু কিঁছু মেয়েরা পর্দা করে ঠিকই। কিন্তু ওটাকে পর্দা করা বলে না। বোরকা পরে ঠিকই, কিন্তু বডি ফিট, শরিরের সাথে মিশে থাকে, কোমরের ভাঁজ কয়টা সেগুলো গননা করা যায়। এটা কেমন পর্দা.? মাথায় কাপড় দাও ঠিকই, কিন্তু মুখটা রাখো খোলা .! মুখে মাখো ১কেজি ময়দা, ঠোঁটে মাখো লিপিস্টিক, চোঁখে দাও কাজল, কপালে দাও টিপ।

এটা কেমন পর্দা.? পর্দা মানে কিন্তু নিজের বডি-ফিগার শো করা নয়, বরং পর্দা মানে সব কিছু ঢেকে রাখা...

আর কিঁছু কিঁছু মেয়ে তো ছেলেদের জামা-প্যান্ট পরে নিজের রুপটা এমন ভাবে প্রকাশ করে.! সে যে ছেলে কি মেয়ে সেটাই বোঝা যায়না। আজ পর্যন্ত কখনো দেখেছ,

কোনো ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় পরে রাস্তাঘাটে ঘুরতে.?

তোমরা মেয়ে, মায়ের জাত। তোমরাই যদি তোমাদের সন্মান রাস্তাঘাটে নস্ট করো! তাহলে পরের ছেলে তোমাদের সন্মান দেবে, এমন আশা কিভাবে করো.?

আচ্ছা প্রেম করছো দু'জনেই। প্রেমিক সাহেবও তো বেকার, ছাত্র মানুষ। তাহলে কেনো তুমি তাকে মিসকল দিবা?

ছেলেটি তো তোমাকে ড্রেস, কসমেটিক, মোবাইল, টেডিবিয়ার, চকোলেট কত্ত কিছু উপহার দেয়। কই তোমরা তো একটি গোলাপ ও কেনার কথা মনে করোনা.?

গাড়িভাড়া গুলোও ঐ ছেলেটিই দিচ্ছে, বাসের সিট তোমার জন্য ছেঁড়ে দিচ্ছে, লাইনে দাঁড়ালে আগে যেতে দিচ্ছে (লেডিস ফার্স্ট) বিপদে পরলে দৌড়ে আসছে, আনন্দে হাসছে, বেদনায় সান্ত্বনা দিচ্ছে, আশা দিচ্ছে, ভরসা দিচ্ছে, রাগ করে গালিও দিচ্ছে, আবার অতি কষ্টের ভাগীদার হয়ে গোপনে কাঁদছে...

কখনো ভেবেছো সম্মানিত মা জাতি হিসেবে, কেমন লাগে ঐ তেল মাথায় কেবলাকান্ত, খ্যাত ছেলেটির যখন বুঝতে পারে একদল মেয়ে ব্যঙ্গ

করছে তাকে নিয়েই?

প্রেমিক ছেলেটি কয়েক মিনিট কথা বলতে প্রতিদিন রিচার্জ করছে। কত ধান্ধা করে টাকা

যোগাড় করছে। কিন্তু ভেবেছো কি কখনো? তোমারও কল করা উচিত,

ছেলেটি কেনো ফোনটা কেটে দিয়ে কল ব্যাক করে সব সময়?

কখনো অনুভব করেছো কি? কেমন লাগে ঐ মুহূর্তে একটি ছেলের যখন তার পকেট পুরো ফাঁকা অথচ শেষ ১০০টাকা বিল দিলে আগামী সাতদিন তাকে হেঁটে টিউশন করতে যেতে

হবে? তবুও বিল টা সেই দেয়।

কারণ সে বাপের জাত..

কই কখনো ভাবনি তো,একটি গোলাপ তার হাতে দিলে আবেগে সে কতটা আত্মহারা হতে পারে।

হতাশ ছেলেটিকে সাহস দিয়ে বলেছো কি.! আর সিগারেট খেওনা, ভাল দিন আসবেই.!


ছেলেরা তো কাঁদতে জানে না। বালিশ না ভিজলেও নিকোটিনের ধোঁয়া জানে কতটা নির্ঘুম রাত কাটায়তারা.

তারা ভাই, তারা বাবা,তারা প্রিয়তম, তারা বন্ধু, তারা হারামী। তাদের কত্ত দায়িত্ব! তোমরা শুধু নিয়েই যাচ্ছো, কেন বিনিময়ে দিতে পারছো না? মায়ের জাতি হয়ে তিন গুণ বেশি পাওনা তোমার। কিন্তু বাপের জাতিকে এক ভাগ ও দাওনা কেন? ভাবনি.! ভাবার সময় হবেও না হয়তো..