খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
২ সপ্তাহ আগে আমার gf এর বিয়ে ছিল,
কিন্তু বিয়ে টা হয়নি । কারন বিয়ের দিন আমি তাকে তুলে নিয়ে আসছিলাম
এবং কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলি দুইজন।
আমার বাবা মা বিষয়টা মেনে নিল
না, বিধায় আমাকে বাসা থেকে বের
করে দিল। অসহায় দুইটা প্রাণ ঘুড়ছিলাম।
আমি ভাবলাম যত কষ্টই হোক
মেঘা কে একটা থাকার ব্যাবস্থা
আমাকে করে দিতেই হবে।
হাতে কিছুটাকা ছিল। ঐই টাকা
দিয়ে মেঘা কে একটা মহিলা মেসএ
তুলে দিলাম।
আমার কাছে প্রায় সব টাকা শেষ । কথায় আছে বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায় । এক জন ও
আমার পাশেএসে দাঁড়ায় নাই।
কি না করছি তাদের জন্য । যাই হোক
এটাই হয়ত পৃথিবীর নিয়ম । বড্ড
স্বার্থবাদী এই পৃথিবীটা ! এই দিকে
রাত হয়ে গেল।
হাতে একটা টাকাও নাই।
সখের মোবাইল ফোনটা বেঁচে দিলাম
রাস্তার টোকাই এর কাছে।
টাকা হাতে আছে কিন্তু খাইতে ইচ্ছা
করছে না।
ভাবছিলাম আমি যদি একটু কষ্ট করি
তাহলে মেঘা ভাল থাকবে । এরমধ্যে
আমি একটা থার্ড ক্লাস মেসে উঠলাম ।
অন্তত আকাশের উপর ছাদ টা
পেয়েছিলাম ।
খুব কষ্টে একটা হোটেলে ওয়েটারের
চাকরী পেলাম।
নিজেকে প্রশ্ন করলাম
টাকাই কি সব কিছু !
একদিন অপরাহ্নে,হোটেল এ ১০
জন ফরেনার আসল
কিন্তু কেউ তাদের খাবারের অর্ডার
নিতে পারলনা ।
আমি BBA তে
অধ্যায়নরত ছাত্র তাই ইংরেজিতে কথা
বলার কৌশল টা আমার অনেক আগে
থেকেই জব্দ করা ছিল । তাদের সাথে
কথা বলে হোটেল ম্যানেজারকে
সন্তুষ্টি করে ফেললাম । ফলে
আমাকে ফ্লোর ম্যানেজার করে দিল ।
বেতন ও ১৮ হাজার টাকা।
মেঘা কে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নতুন বাসা
ভাড়া নিলাম। দুইজন একসাথে থাকব
মনে ঝড় উঠতে লাগল। মেঘা র মেসে
গিয়ে জানতে পারলাম মেঘা তার
বাবার সাথে বাসায় চলে গিয়েছে।
একটা মেয়ে আমাকে বলল ভাইয়া
মেঘা আপু আপনাকে এই চিঠিটা
দিতে বলছে।
চিঠিটা এমন ছিলো>আশিক,যখন তুমি আমাকে বিয়ে করে সুখী করতে
পারবে না তবে কেনো আমায় সুখের
রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছিলে?
তোমার অবস্থা এখন আর পাঁচটা সাধরণ
ঘরের থার্ডক্লাস ছেলেদের মত ।যাই
হোক তোমার বাসায় ডিভোর্স এর
পেপার চলে যাবে প্লিজ আমাকে
যদি একটু ভালবাসো তাহলে সাইন টা
করে দিও।
-নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েছিলাম
চিঠির দিকে। মাত্র ১০ টা দিন কষ্ট করতে পারল না! ব্যার্থতা আমারি ছিল।
আমি একটা অপদার্থ ছেলে যে মেঘা
কে ভালবেসে নিজের জন্মদাতা
পিতামাতাকে ছেড়ে তার কাছে
চলে এসেছিলাম । প্রতিদানে কি
পেলাম আমি !!! ক্ষুদার্থ পেট, শ্রমিকের
মত জীবনযাপন।
আজ সেই মেয়েটির বিয়ে । শুনেছি
নাকি ছেলের অনেক অনেক টাকা।
সারমর্ম :::>টাকার ভীড়ে হয়তবা চাপা
পরে যাবে আশিক নামের
ছেলেটার আর্তনাদ।
জীবনের সব কিছুই নির্ভর করে টাকার
উপর।
যখন টাকা ছিল মেঘা আশিক এর
ছিল,আজ টাকা নেই মেঘা অন্য
কারো.।
আমরা চাইনা এই মেঘা দের। আসুন মন থেকে ভালবাসি। ভালবাসাকে
ভালবাসি কারো শরির বা টাকাকে
নয়। ............
...............
এই কারণে কোনো মেয়ে কে বিশ্বাস করতে পারি না।
যারা একটু কষ্ট হবে বলে ভালোবাসার মানুষ টাকে পর করে দেয়।আসলে মেয়েরা ভালো ছেলে দেখে না, দেখে শুধু ছেলেদের টাকা।
১০০% মাঝে 65% মেয়ে ভালো মনের মানুষ না খুজে,।খুজে টাকা আছে এমন ছেলেদের।শুনেছি টাকা না থাকলে নাকি ভালোবাসা ঘরের জানালা দিয়ে পালায়।আসলে কী কথা টা ঠিক???????