মেয়েদের কষ্টের জীবন
ব্রেকআপ হওয়ার ২ বছর পর
ছেলে: ক্ষমা করা যায় না আমাকে?
মেয়ে: হুম যায়!
ছেলে: তাহলে করো না কেন?
মেয়ে: করেছি অনেক আগেই
ছেলে: তাহলে কাছে নাওনা কেন.
মেয়ে: ক্ষমা আমি করেছি কিন্তু আমার অনুভূতিরা
করেনি।
ছেলে: মানে?
মেয়ে: বুঝবে না.
ছেলে:তাহলে বোঝাও?
মেয়ে: ধৈর্য আসে না আর।
ছেলে: এখন আর ভালোবসো না?
মেয়ে: তুমি বেসেছিলে!
ছেলে: হ্যা
মেয়ে: তাহলে ছেড়ে গিয়েছিলে কেন?
ছেলে: ভূল করেছিলাম
মেয়ে: একটা ভূলের মাসুল সারাজীবন দিতে হয়।
ছেলে: কি বলতে চাইছো
মেয়ে: আমাকে যেতে হবে এখন?
ছেলে: কিসের এতো তাড়া?
মেয়ে: ব্যাক্তিগত।
ছেলে: অনেক বদলে গেছো তুমি?
মেয়ে: অস্বাভাবিক আর কি,এখন একা থাকা শিখে গেছি।
ছেলে: আর কতবার ক্ষমা চাইবো?
মেয়ে: চাইতে হবে না আর।
ছেলে: অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে নাহ?
মেয়ে: আসি ভালো থেকো?
ছেলে: আগে তো আমাকে যেতে দিতে না এখন নিজেই তাড়া দিচ্ছো
মেয়ে: পরিস্থিতি মানুষকে বদলে যেতে বাধ্য করে।
ছেলে: শেষবারের মতো ক্ষমা করে দেও?
মেয়ে: ভালো থেকো।
সমাপ্ত।
মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা
মেয়েটা যখন ক্লাস এইটে পড়ে,তখন একটা ছেলেকে প্রোপোজ করেছিল!
.
মেয়েটা বর্ণে কালো হওয়ার কারণে ঐ ছেলেটা তাকে রিজেক্ট করে দেয়!
.
মেয়েদের বুক ফাঁটে তবু মুখ ফাঁটে না।
কিন্তু মেয়েটির মুখ ফেঁটেছিল বলেই হয়তো এই লজ্জার স্বীকার হতে
হয়েছে!
মেয়েটা কিছুতেই এই বিষয়টা মানতে পারছিল না।
.
সারারাত কেঁদে কেঁদে বুক
ভাসাতো।
সব সময় মন খারাপ করে
থাকতো!
.
মেয়েটা নিজের মধ্যে প্রচুর জেদ তৈরি করলো!
প্রচুর লেখা-পড়া শুরু করলো।
কারণ,তাকে যে অনেক বড় হতে হবে!
.
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় প্রথম হয়ে গেল!
বাবা-মা জোর করে বিদেশ ফেরত এক ছেলের সাথে মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে ফেললো!
.
মেয়েটা যে কালো?
.
কেউ এই মেয়েকে বিয়ে
করবে না!
তাই,বাবা-মা বিয়েটা
ঠিক করলো!
কিন্তু মেয়েটা তার বাবা-মাকে ভয় দেখালো যে, বিয়ে দিলে সে গলায় দঁড়ি দেবে!
.
মেয়েটা বললো,সে যেদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবে ঠিক সেদিন-ই বিয়ে করবে!
.
যেই কথা সেই কাজ।
জীবন যুদ্ধে নেমে গেল মেয়েটি!
.
নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়!
.
ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়িয়ে নিজের লেখা -পড়ার খরচ চালাত।
.
বাসা থেকে টাকা চাইতো না।
এস,এস সি পরীক্ষায় বোর্ড স্ট্যান্ড করলো অঁজপাড়া গাঁয়ের একটা স্কুল থেকে!
এরপর মফস্বলের কলেজ থেকে এইচএসসি তেও বোর্ড স্ট্যান্ড!
.
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে ঐ কালো মেয়েটা এখন হাইকোর্টের জজ!
মেয়েটার ক'দিন আগেই বিয়ে হয়েছে!
ছেলে একজন ডিসি!
.
যে ছেলেটা ঐ মেয়ের প্রোপোজ ফিরিয়ে দিয়েছিল সে এখন গার্মেন্টস' এ চাকরী করে!
.
আসলে,যারা মানুষকে ফিরিয়ে দেয় তারা কখনো বড় হতে পারে না!
যারা আঘাত পেয়ে ফিরে যায় তারাই যুগে যুগে বড় হয়।
.
জীবনে জেদ থাকলে অনেক উঁচুতে উঠা যায়।
.
সবাই তো সুন্দরীদের পেছনেই ছুটে!
খোদার /ভগবানের সৃষ্টি সবই সমান। সাদা-কালো আপেক্ষিক।
.
নিজের ভেতর প্রচুর জেদ তৈরি করুন।
যেখানে হচট খাবেন, সেখান থেকেই উঠে দাঁড়ান!
.
জীবনে ঝড় আসবেই। ব্যর্থতা থাকবেই।
.
জীবনে সবচেয়ে ভালো জায়গায় যেতে চাইলে জেদ করতে শিখুন।
আপনি আপনাকে ছাড়িয়ে যান।
আপনার সাফল্য নিশ্চিত।
.
💕মন ছুঁয়ে যাওয়া নতুন নতুন গল্প পড়তে ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন।